নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৯ এএম, ২৪ অগাস্ট, ২০১৯
গতকাল শুক্রবার হঠাৎই গৃহপরিচারিকা টুনির বাড়িতে হাজির হন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও সন্তানরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নের যোগানিয়া কাচারি মসজিদ সংলগ্ন টুনির বাবা আক্কাছ আলীর বাড়িতে বেড়াতে যান ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। টুনির পরিবার জানিয়েছে, এবারের কোরবানির ঈদ মাশরাফির বাসায় কাটায় টুনি। ঈদের পরে সে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার ইছা পোষণ করে। সেই ইচ্ছা পূরণে কেবল টুনিকে পাঠানো নয়, নিজের গোটা পরিবারের লোকজন নিয়েই টুনিদের গ্রামের বাড়িতে হঠাৎ করেই চলে আসেন মাশরাফি।
মাশরাফির আগমনের বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করা হলেও নিভৃত পল্লীতে দু’টি মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে মাশরাফির আসার বিষয়টি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে লোকজনের ভিড় সামলাতে মাত্র আড়াই ঘণ্টা অবস্থানের পর শেরপুর ত্যাগ করতে হয় মাশরাফিকে।
এলাকার মানুষজন বলছেন, টুনির প্রতি মাশরাফি পরিবারের দারুণ মমতা। টুনির বাবা আক্কাছ আলীকে মাশরাফি বাড়ি করে দিয়েছেন। তার চিকিৎসার যাবতীয় খরচও মাশরাফি বহন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় একটি হাউজিং অ্যাপার্টমেন্টে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকরির সময় মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে পরিচয় হয় আক্কাছ আলীর। ওই অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মাশরাফি ও তার পরিবার। ওই পরিচয় সূত্রে প্রায় ৮ বছর আগে হতদরিদ্র আক্কাছ আলীর মেয়ে টুনিকে তার বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজে দেন তিনি। বয়স আর শারীরিক অসুস্থতার কারণে আক্কাছ আলী সেখান থেকে বিদায় নিলেও মাশরাফির বাসাতেই রয়ে গেছে টুনি। দীর্ঘ ৮ বছরে মাশরাফির স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে টুনির গড়ে উঠেছে নিবিড় সম্পর্ক। তারা এখন টুনিকে তাদেরই একজন মনে করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন