ইনসাইড বাংলাদেশ

মেয়রের প্রশ্রয়ে অনুপ বিশ্বাসের বেপরোয়া মদব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ২৮ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

মাঝে মাঝে অভিযানে চুনোপুটিরা হয় গ্রেপ্তার, কিছুটা সাজা তাদেরই মেলে। কিন্তু চোলাইমদের যে অবৈধ ব্যবসা এখন বন্দর নগরী চট্টগ্রামজুড়ে ছেয়ে গেছে, তার মূল হোতার নাগাল কখনোই পাওয়া যায় না। তিনি থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। চট্টগ্রামের প্রভাবশালীরা তাকে ছায়া দিয়ে যান অর্থের বিনিময়ে। তিনি অনুপ বিশ্বাস- বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে সঙ্গে যারা উঠাবসা। কখনও জাতীয় পার্টি, কখনও আওয়ামী লীগ। কখনও সংস্কৃতিসেবী, কখনও ক্রীড়া সংগঠক। দশকের পর দশক তার নেতৃত্বে চট্টগ্রামজুড়ে চলছে চোলাই মদের ব্যবসা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন ফিশারিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনুপ বিশ্বাসের মদের মহাল থেকে ৩০ হাজার লিটার মদ জব্দ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে আটক করা হয় ৪৫ জন মাদকসেবীকে। কিন্তু এ নিয়ে হয়নি কোনো মামলা।

জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৯ জনকে চারদিনের জেল ও ৪০০ টাকা জরিমানার সাজা দেওয়া হয়েছে। ছেড়ে দেওয়া ১৬ জনের মধ্যে পাঁচজন ছিল পথচারী। আর বাকি ১১ জনের অনুমতি ছিল মাদক সেবনের। মাদক সেবনের অনুমতি নেই এমন ২৯ ব্যক্তি সাজা পেলেও মদ বিক্রেতা অনুপ বিশ্বাস বরাবরের মতোই রয়ে গেছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে! বৈধ লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে মদ বিক্রেতা অনুপ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাশকুর রহমানও।

অনুপ বিশ্বাস চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার ফিশারিঘাট এলাকার ১২৮ নম্বর ইকবাল রোডের চারতলা একটি ভবনে মদের মহালের লাইসেন্স পান। এর আগে এ মহালটি ছিল ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায়। ২০০৫ সাল থেকেই মূলত মদের মহালের আড়ালে শুরু হয় চোলাই মদের ব্যবসা। শুরুতে ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে এলাকার প্রভাবশালী একশ্রেণীর যুবক ও মধ্যবয়স্ক শ্রেণীদের এক থেকে তিন লিটার পর্যন্ত মদ বিনামূল্যে দেওয়া হতো। বিনামূল্যে পাওয়া মদের কিছুটা নিজেরা সেবন করতো, বাকি মদ অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দিতো। এভাবে একসময় এই ব্যবসা জমজমাট হয়ে ওঠে।

অবৈধ চোলাইমদের ব্যবসাকে নির্বিঘ্ন রাখতে অনুপ বিশ্বাস স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ রাখা ছাড়াও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন উদার হাতে টাকা ছিটিয়ে। এভাবে তার চোলাইমদের অবৈধ ব্যবসা এখন নগরজুড়ে ছেয়ে গেছে।

জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে অনুপ বিশ্বাস জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সঙ্গে ছিল তার ঘনিষ্ঠতা। জাতীয় পার্টির সুবিধা নিয়ে দীর্ঘ সময় তিনি পাথরঘাটা ২ নম্বর পুলিশ বিটের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সাল থেকে অনুপ বিশ্বাস জাতীয় পার্টির সখ্য ছেড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

জানা গেছে, অনুপ বিশ্বাস আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে জাতীয় পার্টি করলেও তখন থেকেই ভেতরে ভেতরে সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোটা অংকের অনুদান দিতেন। এই সময় থেকে মেয়রের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে অনুপের। সিটি মেয়রের পৃষ্ঠপোষকতায় এ সময় অনুপ বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট (একাংশ) চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। বর্তমানে তিনি ওই সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি।

অনুপ বিশ্বাস বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সিজেকেএসের সাধারণ সম্পাদক হলেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো দলের ম্যানেজার হিসেবে অনুপ বিশ্বাস গেল বছর ৫ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল তিউনিশিয়া সফর করেন। সিজেকেএস-তায়কোয়ানডো লীগ এবং সিজেকেএস-সিডিএফ প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগের স্পন্সরও অনুপ বিশ্বাস এন্ড ব্রাদার্স। গত বছর সিজেকেএস-তায়কোয়ানডো লীগের দুদিনব্যাপী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের পাশে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুপ বিশ্বাসকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।

রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ার পাশাপাশি প্রশাসনের নীরবতায় অনুপ বিশ্বাস পুরো এলাকাকে মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদকারীরা আছেন হুমকিতে। মদব্যবসা সচল রাখতে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সুকৌশলে হিন্দু ও মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর হুমকিও দেন অনুপ বিশ্বাস ও তার সহযোগী সাগরের লালিত সিন্ডিকেট।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ প্রার্থীর জয়

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে  চেয়ারম্যান হিসেবে সাতজনসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৬ জন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের তথ্য জানান।

ইসির কর্মকর্তারা জানান প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি একরামুলকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা।

মঙ্গলবার (, ২০২৪ এপ্রিল) জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।


 অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন 

সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন