ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপির আমলে বুয়েটের সনি হত্যার কথা মনে আছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ০৮ অক্টোবর, ২০১৯


Thumbnail

সাবেকুন নাহার সনির কথা মনে আছে? চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ স্কুলে মাধ্যমিক দিয়ে ভর্তি হন চট্টগ্রাম ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে। চিকেন পক্সের কারণে দুটো বাদ দিয়ে এইসএসসির বাকি সব পরীক্ষা দিতে হয়েছিল সিক বেডে শুয়ে। তবু কৃতিত্বের সাথে স্টার মার্ক পেয়ে পাশ করে যান। অতঃপর ১৯৯৯ সালে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমি-কৌশল বিভাগে। তাদের ব্যাচের নাম ছিল- স্বাপ্নিক’৯৯। বেশ সতেজ হাসি-খুশি থাকতেন তিনি। লেভেল-১ টার্ম-২ পর্যন্ত ছিলেন হলেই। এরপরে লেভেল-২ টার্ম-১ –এর প্রথম দিকে হলের সিট ছেড়ে দিয়ে পরিবারের সাথে ঢাকার বাসায় উঠেন।

অতঃপর শুরু হলো লেভেল-২ টার্ম-২। `স্বাপ্নিক` বুয়েটিয়ানরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল লেভেল পূর্তি উৎসবের। এর সাথে বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হয়ে যাওয়ায় বুয়েটের প্রথা অনুযায়ী ক্লাস ছুটির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে বুয়েট ছিল সরগরম।

তবে এটাই ক্যাম্পাসের সম্পূর্ণ চিত্র নয়। এর পাশাপাশি বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-জুড়ে চলছিল তৎকালীন সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্রদলের’ দৌরাত্ম। সাধারণত বুয়েট পলাশী বাজার প্রভৃতি এলাকার চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল ক্যাডাররাই দেখভাল করতো। এবং তখনকার ঢাবি-র ছাত্রদল ক্যাডার সুর্য সেন হলের ‘টগর’-ই ছিল এই টেন্ডার রাজ্যের মূল নিয়ন্তা। এদিকে চট্টগ্রামের সাকা চৌধুরীর অনুগত ও তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ‘পিন্টু’-র স্নেহভাজন মোকাম্মেল হায়াৎ খান ‘মুকী’ ছিল ছাত্রদল বুয়েট শাখার সভাপতি। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের পদটিও ছিল তার দখলে। এই মুকী যখন নিজ এলাকার তথা বুয়েটের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির ‘দায়িত্ব’ নিজে বুঝে নিতে চায় এবং সেই লক্ষে নিজস্ব গানম্যান, ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলে বিপত্তি বাঁধে তখনই। বুয়েটকে কেন্দ্র করে এই দুই ছাত্রদল ক্যাডার ‘টগর’ ও ‘মুকী’-র বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। জুন মাসের শুরুর দিকে বেশ বড় অংকের একটা টেন্ডারকে সামনে রেখে টগর-মুকীর শক্তিমত্তার চূড়ান্ত পরীক্ষা অনিবার্য হয়ে উঠে।

সেদিন ৮ই জুন সকালবেলা বিশ্বকাপ উপলক্ষে ছুটির দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রধান ফটকে তালা মারা হয়। ভিসি আর ছাত্রপক্ষের মধ্যে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। গেট আটকানোর ফলে ঐদিন ক্লাস হয়নি। লেভেল পূর্তি উৎসবের প্রস্তুতির জন্য স্বাপ্নিক’ ৯৯ ব্যাচের অনেকের মতো সনিও ক্যাম্পাসে ছিলেন। বুয়েট বন্ধের উপক্রম হওয়াতে তাঁদের অনুষ্ঠানও পিছিয়ে যায়। ব্যস্ততা না থাকায় সবাই ক্যাম্পাসে বসে খোশ-গল্পে মেতেছিলেন।

ওদিকে টগর-মুকী একে অন্যকে আক্রমনের উদ্দেশ্যে বুয়েটে নিজেদের পজিশন নিচ্ছিল। কয়েক মুহূর্তে বুয়েট পরিণত হয় যুদ্ধক্ষেত্রে। বেলা ১টার দিকে প্রথম গোলা-গুলির আওয়াজ শোনা যায়। এর কিছুদিন আগে এসব ঘটনার জের ধরে ক্যাম্পাসের ভেতরেই খুন হয়েছিলেন ঠিকাদার ‘রাশেদ’। তাই গুলির শব্দে ছাত্র-ছাত্রীরা আতংকিত হয়ে ওঠে। কেউ আশ্রয় নেয় ক্যাফেতে, কেউ হলের দিকে ছুটে যায়। সনি ছাত্রী হলে যাওয়ার পথে আহসান উল্লাহ হলে ঢুকে পড়েন। ততক্ষনে টগর গ্রুপ বুয়েট শহীদ মিনারে চলে আসে। আর মুকী গ্রুপ অবস্থান নেয় তিতুমীর হলে। প্রথম রাউন্ড গুলি বিনিময়ের পর শব্দ থেমে গেলে সনি একটু অপেক্ষা করে আহসান উল্লাহ হল থেকে বেরিয়ে আসেন। আর এটাই তার জীবনাবসানের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বুয়েটে প্রাধান্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা ও অর্থলিপ্সু ছাত্র নামধারী এই দুই ক্যাডারবাহিনীর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সনি। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করিয়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। বিকাল ৩টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বুয়েটের এক নিরপরাধ হাস্যোজ্জ্বল মেধাবী মুখ।

সনির এই মৃত্যুশোক বুয়েটের সাধারণ ছাত্রদের মাঝে সত্যিকার অর্থেই সেদিন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুখোমুখি দাঁড়াবার শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। সেই দিন অর্থাৎ ৮ ই জুন সন্ধ্যাতেই সাধারণ ছাত্রদের প্রায় দুই আড়াই হাজার জনের একটা মিছিল ধেয়ে যায় মুকির রশীদ হলের দিকে। মুকি তখনো সেখানে ছিল কিনা নিশ্চিত না হলেও তার অপকর্মের দুই সহযোগীকে সেখানে ঘিরে ফেলে ছাত্ররা।

প্রসংগত সনি মারা যাওয়ার সময় ভিসি ছিলেন নুরুদ্দিন। তিনি সনি মারা যাওয়ার পর টিভিতে বলেন, ‘বুয়েটে কোন সন্ত্রাসী নেই, ওরা বহিরাগত’- যা সবাইকে ক্ষেপিয়ে তোলে। পরে তাকে সরিয়ে দেয়া হয় ও আলী মূর্তজাকে দেওয়া হয় দায়িত্ব। সম্ভবত আলী মূর্তজা ছিলেন বুয়েটের ইতিহাসে একমাত্র ভিসি যিনি মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে জুতাপেটা হয়েছিলেন ।

এক পর্যায়ে ছাত্রদের থেকে দাবী ওঠে হল রেইড করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার। প্রথমে গড়িমসী করলেও পরে ছাত্রদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে ভিসি তা মানতে বাধ্য হন। কিন্তু সেটা ছিলো পুলিশী অভিযানের নামে একটা প্রহসন মাত্র। পুলিশ এসে হল রেইড করার নামে উলটো আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপরই চড়াও হয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে, বুয়েট প্রশাসন আর পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় পালিয়ে যায় খুনিদের কেউ কেউ। রাতে রশীদ হলে নিচের ফ্লোর থেকে শরীফ ও সায়হাম গ্রেপ্তার হয়। সাধারণ ছাত্ররা শরীফ ও সায়হামের বিছানা পত্র ও কম্পিউটার হলের মাঠে ফেলে পুড়িয়ে দেয় ।

পরদিন থেকে আবার শুরু হয় আন্দোলন, মুকিসহ সকল খুনীর গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবীতে। ছাত্রদের এই গণবিস্ফোরণ ঠেকাতে সকালেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বুয়েট, হলও ভ্যাকেন্ট করে দেয়া হয়। বিকাল পর্যন্ত হল খালি করার সময় দেয়া হয়। এর পর মাস দুয়েক ধরে বুয়েটের হলে কাউকেই ঢুকতে দেয়া হয়নি, বিশেষ অনুমতি ছাড়া। কিন্তু এতেও থেমে থাকেনি বুয়েটিয়ানরা। বন্ধের মাঝেও চলতে থাকে সভা, মিটিং- মিছিল, স্মারকলিপি পেশ। অবস্থা বেগতিক দেখে এক পর্যায়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষ নতুন নাটক ফাঁদে। ৮ জুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তারা মুকী- শরীফ- স্বপন- সায়হামদের সাথে আন্দোলনকারী ছাত্র সুব্রত, ইন্দ্রনীল, বিজয়, শান্ত, সুদীপ্তসহ আরো অনেককে একই কাতারে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে। এ ঘটনায় সাধারণ ছাত্রদের সামনে বুয়েট প্রশাসনের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে পারে। বুঝতে বাকি থাকে না এই গণরোষের হাত থেকে খুনীদের বাঁচাতে ছাত্রদল ক্যাডার, সরকারের পা চাটা পুলিশবাহিনীর সঙ্গে তারাও একাট্টা হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের এভাবে হেনস্থা করার পর ৬৩ দিনের মাথায় ১১ আগস্ট বুয়েট খুলে দেয়া হয়। ওই দিনেই আবার বেগবান হয়ে ওঠে আন্দোলন । ছাত্ররা এবার শুরু করে আমরণ অনশন। দেশের বিভিন্ন জায়গা থকে বুদ্ধিজীবীরাও এসে এ আন্দোলনের সাথে তাঁদের সংহতি প্রকাশ করতে শুরু করেন। তাঁদের মাঝে ছিলেন ড. হুমায়ুন আজাদ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, হারুন-উর- রশীদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, সিরাজুল ইসলাম, হাজেরা সুলতানা, গোলাম কুদ্দুসসহ আরো অনেকে। আর তার বিপরীতে খুনীদেরকে বাঁচাতে এবার মরিয়া হয়ে ওঠে প্রশাসন। তাদের মদদে ছাত্রদল ক্যাডার আর পুলিশ বাহিনী এবার নগ্নভাবে লাঠি সোঠা টিয়ার গ্যাস নিয়ে হামলে পরে ছাত্রদের উপর । আর হলে বাসায় হুমকি ধামকি দেয়ার তো কোন সীমা পরিসীমা ছিল না।

এতকিছুর পরও আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করতে থাকে। ৭ দিনের মাথায় আবার বন্ধ ঘোষণা হয় বুয়েট। এতেও আন্দোলন স্তিমিত করা যায়নি। ক্যাম্পাস ছেড়ে এবার আন্দোলন শুরু হয় রাজপথে। শাহবাগ- প্রেসক্লাব- শহীদ মিনার মুখরিত বুয়েটিয়ানদের স্লোগানে- ‘সনি হত্যার বিচার চাই’। ওই দমন নিপীড়নের মাঝেই ছাত্ররা গড়ে তোলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী বুয়েট ছাত্র ঐক্য’ কমিটি। জাতীয় দৈনিকগুলোতেও আন্দোলন আর আন্দোলনকারীদের উপর নেমে আসা অকথ্য পাশবিক নির্যাতনের চিত্র উঠে আসতে শুরু করে। বুয়েটের ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে এর উত্তাপ ছড়িয়ে পরে দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।অবশেষে রাষ্ট্রযন্ত্র বাধ্য হয় বিচার কাজ শুরু করতে। মুকি অবশ্য ততদিনে দেশের বাইরে পলাতক। তার অনুপস্থিতিতেই ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিন ২০০৩ সালের ২৯ জুন টগর মুকীর ফাঁসির আদেশ দেন। সরকার ২০০৬ সালে টগর-মুকীর ফাঁসির আদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করে। সেই মামলা এখনো চলছে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘মধ্যপ্রাচ্যে শেখ হাসিনার মতো নেত্রী থাকলে গাজায় এমন পরিস্থিতি হতো না’

প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে যদি শেখ হাসিনার মতো কেউ থাকত তাহলে গাজায় চলমান পরিস্থিতি তৈরি হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অডিটোরিয়ামে কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন- ‘আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’


তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তিনি থাকেন সেখানকার মধ্যমণি। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব সারাবিশ্বে বিরল।

‘শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, এখন বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। বিদেশি নেতারা তার প্রশংসা করে চলেছেন।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেছেন- আপনি শুধু আমারই নয় আমার পরিবারেরও অনুপ্রেরণা। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছে, আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’র অহমিয়া ভাষায় রূপান্তরিত সংস্করণ আসামের কবি ও গবেষক ড. রীতা চৌধুরী রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জিরো আওয়ার’ একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ রচিত ‘ভুবন জোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ গ্রন্থ উন্মোচন করা হয়।

মাধ্যপ্রাচ্য   শেখ হাসিনা   ফিলিস্তিন   রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় নিজ নামের সড়ক ও পার্ক উদ্বোধন করবেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকায় একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্ত্বর থেকে কালসী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।  

আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই দু’টি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কাতার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এ সম্পর্ক এবং আমিরের এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে তার নামে এই পার্ক ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্ক’র কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় কালশী এলাকার বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ দেন।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থা এবং শিশুদের খেলাধুলার জায়গা থাকবে।

আগামী মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়ক ও পার্কের নামফলক উন্মোচন করবেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আগামী সোমবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন।

কাতারের আমির   আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ এখানকার জনপদ। অসহ্য গরমে প্রাণীকূলের প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা।

এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়িত সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আরও কয়েক দিন এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

চুয়াডাঙ্গা   সর্বোচ্চ তাপমাত্রা   হিট এলার্ট জারি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপরাধী আত্মীয় হলেও ছাড় নয়: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারপিটের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।

শুক্রবার ( ১৯ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাটোরে অপহরণ ও মারধরের শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি দেলোয়ার হোসেন পাশার সুস্থ্যতা কামনা করেন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দেশের বাইরে থেকে আসার সঙ্গে সাথেই আমার দলের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। এটিকে নিজের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেছি। এ সময় আমার নেতাকর্মীদের পাশে আমার থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। 

নিজের শ্যালকর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক আমার আত্মীয় হোক আর দলীয় নেতা কর্মী হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অন্তত ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

এদিকে ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় নাটোর সদর থানায় মামলা হলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। আর অভিযুক্ত অপর প্রার্থী শেরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিবের দাবি, তিনি নির্দোষ। হয়েছেন ষড়যন্ত্রের শিকার।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা পরিষদ   ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি   জুনায়েদ আহমেদ পলক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশজুড়ে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
 
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন। শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামীকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অফিস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন