নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০১৯
বুয়েটের শেরেবাংলা হলে থাকেন আরাফাত ও মহিউদ্দিন। আবরার ফাহাদও এই হলের শিক্ষার্থী। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যাওয়ার পর মহিউদ্দিন তাঁকে দেখেন কাতরানো অবস্থায়। আর আরাফাত যখন আবরারকে দেখেন, তখন তাঁর পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। আবরার মারা যাওয়ার শেষ মুহূর্তের হৃদয় বিদারক বর্ণনা দেন আরাফাত ও মহিউদ্দীন।
আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে এই দুই ছাত্র বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ওই ঘটনার বর্ণনা দেন। তখন ওই দুই ছাত্রসহ অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর মধ্যে আরাফাত আফসোস করে বললেন, তিন-চার মিনিট আগে তিনি যদি সেখানে উপস্থিত হতে পারতেন, তাহলেও হয়তো আবরারকে বাঁচানো যেত।
মহিউদ্দিন বললেন, আবরারকে কাতরানো অবস্থায় দেখার সময় এক ছাত্রলীগ নেতা বলছিলেন, ‘ও নাটক করতাছে।’ তখনও যদি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া যেত হয়তো আবরার বেঁচে যেতেন।
আরাফাত বলেন, পড়া শেষে রাতে নিচে খাবার আনতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখনই দেখেন তোশকের মধ্যে একজন পড়ে আছেন। তখনো তাঁর চিন্তায় আসেনি এ রকম হতে পারে। তার ধারণা হয়েছিল, হয়তো কেউ মাথা ঘুরে পড়ে গেছে।
আরাফাত বলেন, ‘খোদার কসম, এক সেকেন্ডের জন্যও মাথায় আসেনি এভাবে কাউকে মারা হতে পারে।’ তিনি বলছিলেন, যখন আবরারের হাত ধরেন, তখন হাত পুরো ঠান্ডা, পা ঠান্ডা। শার্ট-প্যান্ট ভেজা। তোশক ভেজা। মুখ থেকে ফেনা বের হয়েছে। তিনি বলছিলেন, ‘তখন ওকে বাঁচানোর জন্য বুকে চাপ দিই। হাতে চাপ দিই। আশপাশের সবাইকে বলি, কেউ একজন ডাক্তারকে ম্যানেজ কর। এরপর ডাক্তার আসল। ডাক্তার দেখে বলেন, ১৫ মিনিট আগেই সে (আবরার) মারা গেছে।’
আফসোস করে কাঁদতে কাঁদতে আরাফাত বলছিলেন, ‘তিন-চারটা মিনিট আগে যদি খাবার আনতে যাইতাম, তাহলে হয়তো পোলাডারে বাঁচাইয়া রাখতে পারতাম। এই তিন মিনিটের আফসোসে আমি ঘুমাতে পারছি না। সারাজীবন আমি এই আফসোসের পিছু ছাড়তে পারবো না।’
আরাফাত এ বক্তব্য দেওয়ার পরপরই মহিউদ্দিন বলছিলেন, ‘আরাফাতের তো তিন মিনিটের আফসোস আছে, আর আমার আছে অনুতাপ।’
আরাফাত ফেলে রাখার দৃশ্য দেখার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তখন আড়াইটার মতো বাজে। তিনি খেতে বের হয়েছেন। তখন দেখেন আবরার কাতরাচ্ছেন। তখনো ছাত্রলীগ নেতা জিয়ন বলছিলেন, ‘ও (আবরার) নাটক করতাছে।’ নিষ্ঠুরতা কাকে বলে তা দেখিয়েছে ওরা। এরা ঠান্ডা মাথার খুনী।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
“প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ" এ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্প্রতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর সহযোগিতায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সংলগ্ন মাঠে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ রায়হান নবী এর সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবানী সরকার, বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ, বেলকুচি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইদুর রহমান প্রমূখ।
সভা শেষে অতিথি বৃন্দের নিয়ে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সফল খামারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, সফল খামারীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন ঢাকা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বেপরোয়া গতির বাস চাপায় আব্দুল হালিম (৩৫) নামের এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। আব্দুল হালিম উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ধোপাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুলকাটার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় আব্দুল হালিম। ধোপাকান্দি ব্রীজের পূর্বপাশে রাস্তা পারাপারের সময় বেপরোয়া গতির অজ্ঞাত একটি বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
রাজশাহীতে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়
মালিকাধীন বেসিক ব্যাংক লিমিটেড একীভূত করার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ঘণ্টব্যাপী নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। এছাড়া রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, রাজশাহী রেশম মালিক সমিতি, বেনেতি ব্যবসায়ী সমিতি, রাজশাহী বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি, পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতিসহ নগরের অন্তত ১৪ টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী অঞ্চলের বেশীরভাগ ব্যবসায়ী নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা হিসেবে বেসিক ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে আসছেন। তবে অতি সম্প্রতি বেসিক ব্যাংককে অলাভজনক সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার প্রক্রিয়া চলছে। এটি হতে দেওয়া হবে না বলে রাজশাহী, নওগা, নাটোর ও চাপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন। তারা বলেন, অবিলম্বে ব্যাংক একীভূত করার পাঁইতারা বন্ধ না হলে আগামীতে এ অঞ্চলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কাউন্সিলর রজব আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী, রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, লক্ষীপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান, রাজশাহী চেম্বারের পরিচালক এসএম আইয়ূব আলী, নাটোর ব্যবসায়ী সমিটির সভাপতি মশিউর রহমান, রাজশাহী বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শ্রী অশোক কুমার শাহ, পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সফিকুর রহমান রিপন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান, বেনেতি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহেশ সরকার, বাপাউবো সম্মিলিত ঠিকাদার সমাজের আহবায়ক প্রকৌশলী খাজা তারেক, রাজশাহী মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মর্জিনা পারভীন, বেসিক ব্যংকের গ্রাহক ও ব্যবসায়ী কেএম জোবায়েদ, ওয়েব রাজশাহীর সভাপতি আনজুমানারা বেগম, নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম, হড়গ্রাম বাজার ব্যসায়ী সমিতির প্রতিনিধি জাহিদ বাবু প্রমুখ।
এদিকে বেসিক ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রমালিকাধীন বেসিক ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে এই ব্যাংক অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বেড়েছে সেবার পরিধি। সরকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেসিক ব্যাংকই সর্বপ্রথম শতভাগ অনলাইন ভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে। বেসিক ব্যাংকের অর্থায়নে দেশীয় বহু শিল্প ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের সকল সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংকের মধ্যে বেসিক ব্যাংক লিমিটেডই ছিল সবচেয়ে ভালো এবং লাভজনক ব্যাংক।
বর্তমানে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড ১০৭ টি শাখা ও উপশাখার মাধ্যমে দেশব্যাপী নানা সুবিধাসহ বিভিন্নমুখী ব্যাংকিং সেবা পৌছে দিচ্ছে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত। দেশের বহু সরকারী, বেসরকারী, বহুজাতিক ও খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দৃঢ় আস্থার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বেসিক ব্যাংক লিমিটেড এর সাথে বিভিন্ন ধরনের হিসাব পরিচালনা করে আসছে।
বেসিক ব্যাংক একীভূত প্রক্রিয়া সিটি ব্যাংক
মন্তব্য করুন