নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের করা দুর্নীতির অভিযোগ কানাডার আদালতে ‘মিথ্যা’ প্রমাণিত হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব ব্যাংকের উপর দফায় দফায় ক্ষোভ ঝাড়ছে। এরই ধারবাহিকতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “বিশ্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মামলা করার সুযোগ নেই। তবে বিশ্ব ব্যাংকও আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কিন্তু বিশ্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলার কোনো অবকাশ নাই। তার কারণ হলো আমরা তাতে স্বাক্ষর করেছি। আমরা তার মেম্বার (উই আর মেম্বার)। কিন্তু এটাও সত্য বিশ্ব ব্যাংক আইনের ঊর্ধ্বে নয়। পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারির অভিযোগে যারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারাও আইনের আশ্রয় নিতে পারেন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমি বলতে পারি ড. ইউনুস সাহেব পদ্মা সেতু অর্থায়ন বন্ধ করার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত।”
আদালতে মামলার জট প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, “মামলার জট কমাতে ৩০০ সহকারী বিচারক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এতদিনে আমরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা কাজে লাগিয়ে মামলা নিষ্পত্তিতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।”
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় করা হবে না কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, “বিচার বিভাগের জন্য যা যা করা দরকার তাই করবে এই সরকার। বিচারিক কাজে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি, করবে না। আইন মন্ত্রণালয়তো শুধু বিচার বিভাগের দাপ্তরিক কাজটা করে থাকে। সেটা করে যাবে। বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও লেজিসলেটিভ এই ৩টি অঙ্গ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।”
ল’রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদারের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি আশুতোষ সরকার।
আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মনোজ সেন গুপ্ত, আব্দুল হান্নান, সাবেক সভাপতি এম বদি-উজ-জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ হিরণ প্রমুখ।
বাংলা ইনসাইডার/এসআই
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।