নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ০৮ নভেম্বর, ২০১৯
গত ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিল ওই স্কুলের ছাত্র নাইমুল আবরার। অনুষ্ঠান চলাকালে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় সে। তাকে মহাখালীর বেসরকারি ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রশ্ন উঠেছে আবরারকে মোহাম্মদপুর কিংবা ধানমন্ডির এত হসপিটাল রেখে কেন বিলম্ব করে মহাখালির ওই হসপিটালে নেওয়া হলো। তড়িৎ ব্যবস্থা না নেওয়াতেই তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যে তদন্ত করছে তাতে প্রথম আলো ফেঁসে যাওয়ার যথেষ্ঠ কারণ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার তদন্ত যেন নির্মোহভাবে হয় এবং যত ক্ষমতাবানই হোক তাকে যেন ছাড় দেওয়া না হয় এ ব্যাপারে উচ্চমহলে নির্দেশনা আছে। যারা এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে তারা প্রথম আলোর প্রাথমিকভাবে ৩টি অনিয়মের খবর পেয়েছে;
১. যখন নাইমুল আবরার বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় তখন সঙ্গে সঙ্গে কনসার্টটি বন্ধ করা উচিত ছিল বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। কিন্তু প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ সেটি না করে বিদ্যুৎপৃষ্টের ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে কনসার্টটি চালিয়ে নেন।
তদন্তে এটাও পাওয়া গেছে যে, বিদ্যুৎ পৃষ্টের ঘটনার আগেও কয়েকজন বিদুৎস্পৃষ্ট হয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান না করে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র কনসার্টের দিকেই মনোযোগ দিয়েছিল। যে বিষয়টিকে তদন্তকারী দল কর্তব্যে অবহেলার অংশ হিসাবে দেখছে।
২. নাইমুল আবরার মারা যাওয়ার আগে আশেপাশে কোন হাসপাতালে তাকে নেওয়া উচিত ছিল। রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের আশেপাশে অনেকগুলো সরকারী এবং বেসরকারী হাসপাতাল ছিল। এমনকি ধানমন্ডির হসপিটালগুলোতে নিতে পারতো। কিন্তু সেই হাসপাতাল বাদ দিয়ে বেসরকারী হাসপাতাল ইউনিভার্সেল হসপিটালে নিয়ে যাওয়াকে রহস্যময় মনে করছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে কিশোর আলোর সম্পাদক এবং অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে কোন সদুত্তর পায়নি তদন্তকারী দল। এ ব্যাপারেও প্রথম আলোর দায় রয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা মনে করছে।
৩. আবরারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তার পোস্ট মার্টেম করাটা উচিত ছিল। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ তা না করেই দ্রুত তার লাশ পরিবারের হাতে নিয়ে দাফনের উদ্যোগ নেয়। অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এটা করা হয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা মনে করছেন।
এই প্রেক্ষাপটে প্রথম আলো দায় এড়াতে পারে না বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা মনে করছে। এই দায়ের জন্যই প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ কনসার্ট আয়োজন এবং নাইমুল আবরারের মৃত্যুতে ফেঁসে যেতে পারে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বান্দরবানের রুমায় সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের
(কেএনএফ) হাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি করা
হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধার হওয়ার পর বান্দরবানের রুমা শাখা থেকে বিশেষ বিবেচনায়
তাকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বান্দরবানের রুমা শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নারায়ন
দাশকে শাখাটির ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী
ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রীতি কুসুম চাকমার সই করা এক নোটিশে তাদের বদলি
করা হয়।
ওই নোটিশ অনুযায়ী, বান্দরবানের রুমা শাখার নেজাম উদ্দীনকে কর্ণফুলী
শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র অফিসার) ও যুগ্ম-জিম্মাদার (সাধারণ) করা হয়েছে। কর্ণফুলী শাখার
ম্যানেজার মু. রেজাউর রহমানকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) চট্টগ্রামের কে. বি বাজার শাখায়
এবং কে. বি বাজার শাখার
ম্যানেজার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) প্রিন্সিপাল অফিস, পটিয়ার
(চট্টগ্রাম) প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে
ডাকাতির চেষ্টা করে পার্বত্য এলাকার সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ। তখন ব্যাংকের ভল্ট খুলতে
না পেরে হামলাকারীরা ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ৪ এপ্রিল তাকে
উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের
অনেক স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি
মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা,
দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ
এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এতকিছুর পরেও কিছুটা ভয় আমাদের আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে
যে পক্ষটি বিরোধিতা করেছে, যারা চেয়েছে, আমরা কখনও স্বাধীন না হই, যারা রবীন্দ্রনাথকে
নিষিদ্ধ করেছিল, নজরুলকে খণ্ডিত করেছিল, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল,
তারা এখনও বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা
দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
দীপু মনি বলেন, এর থেকে উত্তরণে সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন।
সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনে এই জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খণ্ডিত অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে
সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালি
এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খণ্ডিত করার অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি
আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে, তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
পাবনার আমিনপুরের কাজিরহাট ফেরিঘাটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনিবোঝাইসহ
১২ ট্রাক জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় চালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে আটক করা
হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের আটক করা
হয় বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ভারতীয় চিনিবোঝাই
ট্রাকগুলো সিলেটের জয়ন্তপুর সীমান্ত হয়ে ঢুকে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিল। মানিকগঞ্জের আরিচা
ও পাবনার কাজিরহাট ঘাট হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল ডিবি। এসব ট্রাকে অন্তত আড়াই শতাধিক টন চিনি আছে
বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারতীয় চিনিবোঝাই ট্রাকগুলো আরিচা পার হয়ে পাবনার
কাজিরহাট ঘাটে এলে ডিবি পুলিশ আটক করে। এ সময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এরপর এগুলো জব্দ করা হয় এবং ২৩-২৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর আরও বিস্তারিত
তথ্য জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।