ইনসাইড বাংলাদেশ

বাজেট এবং ৭০ অনুচ্ছেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ২১ জুন, ২০১৭


Thumbnail

রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ। নির্বাহী বিভাগ বা সরকার, আইনসভা বা সংসদ এবং বিচার বিভাগ। সংবিধান অনুসারে সংসদের কাছে জবাবদিহি থাকবে সরকার। তবে এসব কথা কেবল আইনেই সীমাবদ্ধ, বাস্তবতা ভিন্ন।

বাস্তবতা হচ্ছে, সরকার যা সিদ্ধান্ত নেয়, সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) তাই টেবিল চাপড়ে সাড়া দিয়ে পাস করিয়ে আসেন। সংসদে তাঁদের উপস্থিতিতে কেবল কোরাম সংকটই মোকাবেলা করা হয়। আর সংসদের কাছে সরকারের জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা দেয়া সংবিধানের কারণেই। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেন অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্য দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারবেন না কিন্তু বাজেটে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সদস্য দলের প্রস্তাবিত বাজেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

চলতি বাজেট অধিবেশনে সংবিধানের এ সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনার প্রস্তাবও করেছেন এমপি ও সাবেক মন্ত্রী। মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। গত সোমবার সংসদকে তিনি বলেন, বাজেট পাসে আমাদের (এমপি) কোনো ভূমিকা নেই। চিফ হুইপ যেদিকে হাত নাড়ান, আমরাও সেদিকে নাড়াই। এভাবে বাজেট পাস হলে বাজেট বাস্তবায়ন হবে না। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে কিছুটা সংশোধন এনে বাজেটে যদি এমপিদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে অর্থমন্ত্রী এভাবে অনড় অবস্থানে থাকতে পারতেন না। এমপিদের কথা শুনতে হতো। জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৭০(খ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরুপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে’।

তবে সাংবিধানিক এমন বাধার পরও চলতি বাজেট অধিবেশনে সাধারণ মানুষের কথাই উচ্চারণ করছেন খোদ সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা। গত কয়েকদিনে জাতীয় সংসদে একের পর এক নিজ দলের সংসদ সদস্যদের (এমপি) তোপের মুখে পড়ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে জন্য বাজেট উত্থাপনের পর থেকে ব্যাংক হিসাবের ওপর বাড়তি আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রের সুদ কমানোর ঘোষণা এবং ভ্যাট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে আসছেন একাধিক মন্ত্রীসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।

এসব বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম সংসদকে বলেন, আওয়ামী লীগ জনকল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের কষ্ট হয়, সেটা আওয়ামী লীগ মেনে নিতে পারে না। তাই অর্থমন্ত্রীকে বলব- আবগারি শুল্ক যেটা দিয়েছেন, সেটা প্রত্যাহার করেন। এটা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এই আবগারি শুল্কের জন্য গোটা জাতি আওয়ামী লীগ সম্পর্কে খারাপ ধারণা নেবে এটা আমরা চাই না। সেলিম আরও বলেন, ‘আপনার কিছু কথাবার্তায় আমাদের সরকারকে অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এই সংসদেই একদিন বলেছিলাম আপনি কথা কম বলেন। আপনার বয়স হয়ে গেছে, কখন কী বলে ফেলেন, হুঁশ থাকে না।’ অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন- বাজেটে কোনো অসংগতি থাকলে সেটা আমি দেখব। আর আপনি (অর্থমন্ত্রী) সিলেটে গিয়ে বললেন এক লাখ টাকা যার আছে, সে ধনী ও সম্পদশালী! আপনি হলমার্ক কেলেঙ্কারির সময় বলেছিলেন, ৪ হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না। আর এখন এক লাখ টাকা বেশি টাকা হয়ে গেল? অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব বাজেট পেশ করা। সংসদে ৩৫০ জন সদস্য ঠিক করবেন জনগণের কল্যাণে কোনটা থাকবে, কোনটা থাকবে না। এটা আপনি (অর্থমন্ত্রী) সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার এক গুঁয়েমি বন্ধ করেন। কথা কম বলেন। আপনি আইএমএফের কথা শুনে সঞ্চয়পত্রের ওপর সুদের হার কমিয়েছেন। এই আইএমএফ কোনো দিনই ভালো চায় না। তারা একবার বলেছিল কৃষিতে ভর্তুকি না দিতে। সেটা করলে কী হতো? তাছাড়া ঢালাওভাবে ভ্যাট আরোপেরও কড়া সমালোচনা করেন শেখ সেলিম।

এদিকে ব্যাংকের জন্য হাজার কোটি টাকা মূলধন বরাদ্দের তীব্র সমালোচনা করে মাহবুবউল আলম হানিফ সংসদকে বলেন, অর্থমন্ত্রী এই টাকা কেন দিলেন? কার টাকা দিলেন? যেখানে লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা নয়ছয় হয়েছে। তাতে ব্যাংকের মূলধনে টান পড়েছে। সেটা নিয়ে তদন্ত না করে উনি নতুন করে মূলধনের টাকা দিলেন। এটা হতে পারে না। হানিফ আবগারি শুল্ক কমানোর দাবির পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানান। সেগুলো হল : অর্থবছর জুলাই-জুনের পরিবর্তে জানুয়ারি-ডিসেম্বর করা, আদালতের পিপি, জিপি, এপিপিদের বেতন বাড়ানো এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ভাতা ১৫ হাজার টাকা ও মেম্বারদের ১০ হাজার টাকা করা।

সাবেক আরেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বাজেটে প্রস্তাবিত কর ও ভ্যাটের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ বাজেট নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে। তাই ব্যাংক আমানতের ওপর আরোপিত শুল্ক পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। গ্রামে সীমাহীন লোডশেডিং চলছে জানিয়ে সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, কিছু অন্ধকার এখনও আছে। অর্থমন্ত্রী এমন প্রকল্প নিয়েছেন, ইতিহাস এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যায়, পানিতে রাজধানী ডুবে যায়। মানুষ প্রশ্ন তুলেছে- প্রধান দুই নগরীকেই অর্থমন্ত্রী জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পারেন না। মেঘা প্রকল্পের চেয়ে এটাই সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার দেয়া উচিত ছিল।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘দুঃসাহসী বাজেট’ উল্লেখ করার পাশাপাশি সোলার প্যানেল, তেল ও এলপিজির ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্না বলেন, ব্যাংকে অনেক গরিব মাও তাদের শেষ সম্বল জমা রাখেন। এক লাখ টাকার ওপর আবগারি শুল্কারোপ উচিত হয়নি। গণহারে ভ্যাট আরোপ আগামী নির্বাচনে মাঠে প্রভাব পড়বে। দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির চাকাকে স্তব্ধ করে দেওয়া উচিত হবে না।

বাংলা ইনসাইডার/এমএএম




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিন ধর্ষকের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লায় মাত্র ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে ‘মাদক কারবারির’ হাতে তুলে দিয়েছেন স্বামী। ওই ব্যক্তির নাম আবুল খায়ের। পরে ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে ওই তিনজন ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই স্বামী আবুল খায়েরসহ ৪ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। সন্ধ্যায় এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করে বরুড়া থানা পুলিশ। তারা হলেন বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকার মাদক কারবারি নূরু, মনির ও মহিন।

বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, শাকপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে আবুল খায়ের একজন মাদকাসক্ত। বুধবার একই এলাকার মাদক কারবারি নূরু, মনির ও মাহিনের কাছে মাত্র ৫ হাজার টাকায় স্ত্রীকে বন্ধক রেখে মাদকের টাকা নেন স্বামী আবুল খায়ের। পরে ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ‘ধর্ষণ’ করেন নূরু, মনির ও মাহিন।

এ ঘটনা পর ভুক্তভোগী নারী তার বাবার বাড়ি এলাকা মুরাদনগর চলে যান। পরে শুক্রবার ভুক্তভোগী নারী তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বরুড়া থানায় এসে অভিযোগ জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।


কুমিল্লা   ধর্ষণ   স্ত্রী   স্বামী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হলের সিট দখলের অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আবাসিক শিক্ষার্থীর সিট দখল হুমকি-ধমকির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ হবিবুর রহমান হলে ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ইমরান ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শহিদ হবিবুর রহমান হলের ১৪৬ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র।

অভিযুক্তরা হলেন, একই হল ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিনহাজ ইসলাম আইন বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব ফিরোজ।

ভুক্তভোগী ইমরানের অভিযোগ, ' বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে আমি হল প্রশাসনের বরাদ্দকৃত ১৪৬ নম্বর কক্ষে উঠি। রাতে খাওয়ার জন্য বাহিরে গেলে ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজের কয়েকজন নেতা-কর্মী এসে আমার বিছানাপত্র সড়িয়ে দেন এবং সেখানে সমাজকর্ম ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী মাহফুজুলকে তুলে দেন। রাতে হলে এসে অবস্থা দেখে প্রাধ্যক্ষকে জানাই।’

প্রাধ্যক্ষ এবিষয়ে ভুক্তভোগীকে বলেন, 'তুমি ছাত্রলীগকে জানাও প্রক্টর স্যারের সুপারিশে প্রাধ্যাক্ষ এই সিট তোমাকে বরাদ্দ দিয়েছে। এই দুই দিন তো ছুটি। রবিবার (২১ এপ্রিল) এসে এটা দেখব। তুমি এখান থেকে বের হবা না।'

 ইমরান আরও বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে হলের ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ তার কক্ষে ডাকেন এবং সিট ছাড়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেন।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ ইসলাম বলেন, 'ওই শিক্ষার্থী তার সিটেই থাকবে। তাছাড়া ছাত্রলীগের কেউ যেন কোন শিক্ষার্থীকে হল কক্ষে না ডাকে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক করব।'

হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে আরেক নেতা আহসান হাবিব ফিরোজ জানান, 'প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েই ওই সিটে আমি একজনকে উঠিয়েছি।'

ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম জানান, 'ঘটনাটি অবগত হয়েছি। বিষয়টি আমি দেখছি। ওই শিক্ষার্থী তার জন্য বরাদ্দকৃত সিটেই থাকবে।'

আবাসিক ছাত্রকে হুমকি বিষয়ে কি ব্যবস্থা জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ জানান, 'আমি কথা বলেছি, আর সমস্যা হবে না। পরবর্তীতে যদি একই ঘটনা ঘটলে তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজের বিরুদ্ধে হলে সিট দখল, আবাসিক ছাত্রকে হুমকি-ধমকি ডাইনিং-ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা পরিশোধ না করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ঘটনায় ছাত্রলীগের দখলকৃত সিটে ওঠা মাহফুজুল হলের আবাসিক ছাত্র নয়।

এদিকে হলগুলোতে ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে অ্যাখ্যা দিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস রাইটস এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদি সজিব বলেন, 'হলে ছাত্রলীগের সিট দখল নতুন কিছু নয়। এমন ঘটনা ঘটিয়ে ক্ষমতা নামক বটবৃক্ষের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে অভিযুক্তরা। একটি ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়ার মানে এমন অসংখ্য ঘটনার জন্ম নিতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করা।’ তাই অবিলম্বে এদের লাগাম টেনে ধরে হলে যথাযথ সিট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তিনি।

ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, 'বিষয়গুলো আমারাও দেখছি। একটি কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চেষ্টা করছি।'


ছাত্রলীগ নেতা   হলের সিট দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে

প্রকাশ: ১০:০৮ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের দান করা কর্নিয়ায় চেখে আলো ফিরে পাচ্ছেন দুই অন্ধ লোক।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার শিব নারায়ণ দাশ শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। তার ছেলে অর্ণব আদিত্য বাবার কথা অনুযায়ী কর্নিয়া দুটি দান করেন সন্ধানীতে। সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংকের টিম দুপুর সাড়ে ১২টায় কর্নিয়া দুটি সংগ্রহ করে।

ডা. লিটু বলেন, শনিবার সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শিব নারায়ণ দাশ মননে চিন্তায় যে অবদান রেখেছিল মৃত্যুর পরেও দুজন অন্ধ মানুষকে পৃথিবীর সুন্দর রং রূপ দেখার সুযোগ করে দিয়ে গেছেন। সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি এই পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।

জানা গেছে, শিব নারায়ণ এর আগে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। পরে বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এজন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটুয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।


শিব নারায়ণ   কর্নিয়া   অন্ধ   চোখে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঋণের চাপে মায়ের আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নিথর মাকে জড়িয়ে ধরে দুই সন্তানের আহাজারি

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া দুই সন্তানের জননী ডালিয়া বেগম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি এনজিওর ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সাথে তাকে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহ বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়। 

 

এ বিষয়ে ডালিয়া বেগমের ভাই আবদুর রাজ্জাক, স্থানীয় ইউপি সদস্য শারমিন এবং অন্যান্য স্বজনরা জানান, ডালিয়া বেগম বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিনি বিভিন্ন এনজিও ও সমিতির লোকজনের চাপে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন।

 

ধারনা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

 

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ডালিয়া বেগমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

 

এদিকে বানারীপাড়া হাসপাতাল ও থানা চত্বরে মৃত মায়ের নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে অবুঝ দুই সন্তানের (ভাই-বোন) কান্না উপস্থিত সবাইকে কাঁদিয়েছে।


ঋণের চাপ   এনজিও   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‌‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


বঙ্গবন্ধু   রাষ্ট্রপতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন