নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৫ এএম, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারনা। আর এসব ছাঁপিয়ে এখন আলোচনা প্রার্থীদের কার কত সম্পদ? সাধারণ ভোটারদের কাছে এখন এ আলোচনাই ঘুরে ফিরছে।
হলফনামায় দেয়া তথ্যে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ নগদ অর্থ, ব্যাংক জমা ও ব্যবসার মূলধনসহ কোটি টাকার মালিক। তবে তার সোফা, আলমিরাসহ মোট ১৭ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
অন্যদিকে ১৯ মামলার খড়গ মাথায় নিয়ে নির্বাচন করা বিএনপির সুফিয়ানের স্থাবর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে কোটি টাকার। জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নগদ আছে ২৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, ব্যাংক জমা ১০ লাখ টাকা। তার বার্ষিক আয় ১১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য দিয়েছেন তাঁরা।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদের হলফনামা অনুযায়ী তাঁর নগদ টাকা, ব্যাংক আমানত এবং ব্যবসার মূলধনের পরিমাণ ১ কোটি ৭৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫৮০ টাকা। তার বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৩৬৪ টাকা। বার্ষিক ব্যয় ১১ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৬ টাকা। তার স্ত্রীর আয় ১০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
তাঁর নামে দামপাড়া ইউসিবিএল ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ৩৪ লাখ ৯০ হাজার ৪২০ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ টাকা আছে ১৮ লাখ। নিজ নামে ব্যাংকে আছে ১৬ লাখ টাকা। মোট টাকার পরিমাণ ৩৪ লাখ। নিজ নামে আছে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নিজের নামে ২টি ও স্ত্রীর নামে ১টি গাড়ি রয়েছে। ৩টি গাড়ির দাম ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
কধুরখীল ও লালখান বাজারে পৈত্রিক সম্পত্তির পরিমাণ ২ দশমিক ২৩ একর। ২টি বাড়ির মধ্যে লালখান বাজারে ৬ তলা বিশিষ্ট আবাসিক দালানের মূল্য ১ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৯৭২ টাকা। কৃষি জমির পরিমাণ ২ একর, মূল্য ১১ লাখ টাকা।
তাঁর ব্যবসার মোট মূলধনের পরিমাণ মেসার্স তিথী এন্টারপ্রাইজের ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মহানগর প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০০ টাকা। বাড়ির কৃষি জমি থেকে বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ২১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৪ টাকা। অন্যান্য খাত থেকে আয় করেন ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
তাঁর স্ত্রীর রয়েছে ২০ ভরি স্বর্ণ, দাম ১ লাখ টাকা। নগদ টাকা ১ লাখ ১৪ হাজার এবং স্ত্রীর নামে ব্যাংকে এফডিআর ৫৬ লাখ টাকা।
হলফনামায় বাসার সোফা, আলমিরা, চেয়ার টেবিল, ড্রেসিং টেবিলসহ মোট আসবাবপত্রের দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১৭ হাজার টাকা।
অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ানের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১৯টি মামলা আছে। যার ১১টি বিচারাধীন ও ৮টি তদন্তাধীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে মীমাংসা হওয়া দুটি মামলার একটিতে খালাস পেয়েছেন তিনি। অপর মামলার অভিযোগপত্রে অব্যাহতি পেয়েছেন আবু সুফিয়ান।
তাঁর দাখিলকৃত হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, নগদ ৫০ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৩ টাকা আছে। ক্ল্যাসিক ডোরস এর ৫০ শতাংশ শেয়ার বাবদ আছে ৫ লাখ টাকা। ক্ল্যাসিক ডোরসের নামে জুবিলি রোড এবি ব্যাংক শাখা থেকে ৩৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। এরমধ্যে বর্তমানে ঋণের স্থিতির পরিমাণ ২৩ লাখ ৮৫৬ টাকা।
একটি কার ও একটি পিকআপ বাবদ ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬ টাকা এবং নিজ নামে আছে ২০ তোলা স্বর্ণ, যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা। বাসার আসবাবপত্রের মূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তাঁর কাছে ৭৩ লাখ ২৮ হাজার ৪০২ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
আবু সুফিয়ানের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮৭ লাখ ২৬ হাজার ২৬৭ টাকা। এরমধ্যে বিল্ডিংয়ের মূল্য ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা। অকৃষি জমির মূল্য ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। চা বাগান ও মৎস্য খামার থেকে আয় ৬৯ হাজার ৬৭ টাকা। প্রথম স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমির মূল্য ৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি।
আবু সুফিয়ানের প্রথম স্ত্রীর কাছে নগদ ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬১৭ টাকাসহ ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে নগদ ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৮০ টাকাসহ ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৯৮০ টাকার সম্পদ রয়েছে।
জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন বাবলুর হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৫ টাকা। অন্যান্য আয় আছে ৮২ হাজার ৫০০ টাকা।
বাবলু নগদ ২৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মালিক। তাঁর ব্যাংক আমানত ১০ লাখ টাকা। আশিক গার্মেন্টসের ৩ হাজার শেয়ার বাবদ ৩ লাখ আর গাড়ি বাবদ ৫৭ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে তাঁর হলফনামায়।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ১১ কাঠা জমি রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬৯ লাখ ৭ হাজার ও ২টি ফ্ল্যাট, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী বাবলুর কোন ঋণ নেই।
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।