নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি ইয়াসিন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। রোববার রাত দুটার দিকে এ ঘটনা ঘটে শহরের পূর্ব খাবাসপুরে জোড়া ব্রিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পুলিশর তিন সদস্য আহত হয়েছেন। পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা।
নিহত ইয়াসিন শেখ (২৫) শহরের ওয়ারলেসপাড়ার মনি শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আসামির ছবি সংগ্রহ করে ইয়াছিনকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর জনগণের সহয়তায় তাকে আটক করা হয়। রাতে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে আসামির অন্যান্য সহযোগী ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়। আর এসময় গুলিবিদ্ধ হয় আসামি ইয়াছিন। আর এ ঘটনায় আহত হয় তিন পুলিশ সদস্য।
পরে ইয়াসিনকে উদ্ধার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১৪ বছরের শহরের বহুল আলোচিত প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে বিকেল বেলা রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায় ইয়াছিন নামে ওই ধর্ষক। পরের দিন পাশের টেলিগ্রাম অফিসের পাশ থেকে তার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফাতেমার বাবার নাম এলাহি শরিফ। তিনি রিক্সা চালানোর পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের এটিএম বুথের গার্ড হিসেবে কাজ করেন। তিন মেয়ের মধ্যে ফাতেমা বড়। ফাতেমা জন্ম থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক)। ওই কিশোরী বাবার সাথে শহরের রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো।
বাংলা ইনসাইডার/এসএস
মন্তব্য করুন
ফেসবুকে লাইভ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
সড়ক দুর্ঘটনা যাত্রী কল্যাণ সমিতি
মন্তব্য করুন
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই-শারজাহর ফ্লাইট বাতিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন