নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ২৭ জুন, ২০১৭
ঈদ শেষ হতেই একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরগরম হতে চলছে রাজনৈতিক দলগুলো। এবার নির্বাচনের বড় চমক, এতে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। আর এ জন্য বেশ ভালোই তোরজোর শুরু করেছে দলটি। দলের চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া শীঘ্রই নির্বাচনী রূপরেখা ঘোষণা করবেন। তবে তা লন্ডনে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর।
কদিন বাদেই পাড়ি জমাচ্ছেন খালেদা জিয়া। ছেলের সঙ্গে ঈদ কাটাতে না পারলেও ঈদ পরবর্তী সময়টা প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটাবেন তিনি। সেখানেই তারেক রহমানের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিবেন।
গত ১৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন নিরপেক্ষ ইসি গঠনের প্রস্তাব উপস্থাপন করলেও সহায়ক সরকারের রূপরেখা এখনো দেননি। যথাসময়ে ওই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে ওই সময় জানান তিনি। এখন এই সময় প্রায় সন্নিকটেই। লন্ডন থেকে ফিরে এই রূপরেখা আসছে।
এছাড়া রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক চরিত্র অক্ষুন্ন রেখে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সম্প্রদায়, প্রান্তিক গোষ্ঠী ও পেশার জ্ঞানীগুণী ও মেধাবীদের সমন্বয়ে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও বিএনপির ভিশন-২০৩০ এ উল্লেখ করা হয়েছিল। আর সে হিসেবেই নির্বাচনের দিকে এগুতে পা বাড়িয়েছে খালেদা জিয়ার দল। ক্ষমতায় আসলে বিএনপি জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট করবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা নিরসনকল্পে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। রাষ্ট্র্রের এক কেন্দ্রীক ক্ষমতা দূর করতে সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এদিকে, ক্ষমতায় আসলে বিএনপি সেনাবাহিনীতে আরও শক্তিশালী করে মাঠে নামাতে চায়। আর এসব কিছু চূড়ান্ত হবে খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের পর।
এটা নিশ্চিত যে বিএনপি এবার নির্বাচন করেই ছাড়বে। এজন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তিন ক্যাটাগরিতে প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ৩০০ আসনের মধ্যে ২০০ তে পুরোনো এবং বাকি ১০০ আসনে নতুন মুখ বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে এ সিদ্ধান্ত এখন চূড়ান্ত করার সময় করতে পারে নি।
এদিকে, এবার বিএনপির সুরেরও কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। জালাও পোড়াও আন্দোলন থেকে পিছু হেঁটে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করবে বলে শোনা গেছে। বিএনপি মনে করছে, রাজপথের আন্দোলন সরকারকে খুব একটা চাপে ফেলা যাবে না। তাই অন্য পথ বেছে নিয়েছে তারা। আর এ জন্যই আন্তর্জাতিক অঙনে সরকারকে একা করে ফেলতে ছরি ঘুরানোর চেষ্টায় মশগুল দলের নেতাকর্মীরা। এ লক্ষ্যেই প্রতিবেশি দেশ ও কূটনীতিদের সঙ্গে ভালো খাতির রাখছে বিএনপি। এছাড়া খালেদা জিয়ার বাড়িতে মিটিং তো হচ্ছেই কয়েকদিন পর পর। এমন চিন্তা ভাবনায় কতটা সাফল্য পায় সেটা অবশ্যই দেখার বিষয়।
আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির প্রস্তুতির আরেক কারণ হলো চেয়ারপারসনসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা বিভিন্ন মামলা হতে মুক্তির সনদ পাওয়া আর কি। নির্বাচনে গেলে অনেক মামলা থেকে রেহাই পাবে এই দল বলে আশা তাদের।
কিন্তু যত যাই হোক, আর যাই করুক সব কিছুর বাস্তবায়ন দেখা যাবে ঈদের পর খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর শেষে। ছেলের সঙ্গে কলকাঠি নেড়ে কী বার্তা নিয়ে আসেন বিএনপির চেয়ারপারসন সেটাই এখন আকর্ষনীয় বিষয় বটে।
বাংলা ইনসাইডার/টিআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।