ইনসাইড বাংলাদেশ

মৃত্যুর দুই দিন আগেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দু:খ করেছিলেন মান্নান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এমন ছাত্রনেতারাই ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দল পুনর্গঠনে বিরাট অবদান রেখে গেছেন। তাদের সংগ্রামের ফলে আমরা আজ দেশের উন্নয়ন করতে পারছি।

রোববার তিনি বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বৈরী পরিবেশে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনা করে আজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলেই দেশের এই উন্নতি হচ্ছে।’

‘‘আব্দুল মান্নান ছাত্রজীবন থেকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, জিয়া, এরশাদ, খালেদাবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শওকত, অলি, মহসিনকে পিটিয়ে জঘন্য হত্যাকাণ্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরশাদের আমলে সেলিম, দেলোয়ারকে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা, রাউফন বসুনিয়া, চুন্নুসহ বহু ছাত্রনেতা-কর্মী বিভিন্ন সময় সরকারের অত্যাচার নির্যাতনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।’’

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী ছিল। প্রচার সম্পাদক থাকাকালে প্রতিটি লিফলেট ও বিবৃতি লেখা অত্যন্ত চমৎকারভাবে সম্পাদন করতে পারতো।

‘‘প্রচন্ড ইচ্ছা ছিল আমার হাতে গড়া ছাত্রনেতা এরাই একদিন দলের নেতৃত্ব দেবে। এরাই আওয়ামী লীগকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে, যখন আমরা থাকবো না। কিন্তু চোখের সামনে যখন এরা চলে যায় তখন খুব কষ্ট হয়, খুবই দুঃখজনক।’’

আব্দুল মান্নানকে ছাত্রলীগের সভাপতি করার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আব্দুল মান্নানকে ছাত্রনেতা হিসেবে পেয়েছিলাম। ‘৮৩ সালে তাকে ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়। এর পেছনে একটি ঘটনা রয়েছে- ‘ছাত্রনেতাদের আমি একা একা ইন্টারভিউ নিতাম। ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল-যদি তোমাকে সভাপতি না করা হয় তাহলে তুমি কি করবে? অনেকে হাউমাউ করে কেঁদে দিত।’

‘‘তবে একটি ছেলেকে এই প্রশ্ন করার পর তার জবাব ছিল-না বানালে কিছু করার নেই, আমি আপনার সাথে রাজনীতি করে যাবো। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, তাকেই বানাবো। ওই সময়টা ছাত্রলীগের জন্য অত্যন্ত দুঃসময় ছিল। অনেকেই ৮২ সালে ছাত্রলীগ ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সেখানে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করা খুব দরকার ছিল এবং তার সেই সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল।’’

তিনি বলেন, তাকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এরপর তাকে বগুড়ার মতো কঠিন জায়গায় তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। সেখানে রাস্তা-ঘাট খুবই খারাপ ছিল, একটি অনুন্নত জায়গা। সেখান থেকে সে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মৃত্যুর দুই দিন আগে আমার সাথে সে অনেক কথা বলে। নানকসহ অনেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে এসেছে, ও আসেনি, মনে একটু দুঃখ ছিল। আমি তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছি- আমিতো তোমাকে ফেলে দেইনি। তোমাকে তো সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছি। কথা বলার সময় দেখলাম তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভাল নেই। আমি তাকে বললাম ভালোভাবে চেকআপ করো এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা নাও। ঠিক এর পরপরই সে হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রতিদিন ডাক্তারের সাথে কথা বলে চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছি। যেদিন সে মারা যায়, ওই দিন রাতেও ডাক্তারের সাথে কথা বলে বিদেশে পাঠানো সম্ভব কিনা জানতে চাইলাম। কিন্ত ডাক্তার তাতে সম্মতি দেয়নি।’

তিনি তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, অসুস্থ ছিল কিন্তু এভাবে চলে যাবে তা আমরা ভাবতে পারিনি।

এরআগে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে আজ সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ গ্রহণ করেন।

পরে শোক প্রস্তাবের ওপর অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সরকারি দলের আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তোফায়েল আহমেদ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, উপাধক্ষ্য আব্দুস শহীদ, মহিউদ্দিন খান আলমগীর এবি তাজুল ইসলাম, শাজাহান খান, নজরুল ইসলাম বাবু, মসলেম উদ্দিন, আনোয়ারুল আবেদিন খান, মৃণাল কান্তি দাস, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আহমেদ।

গতকাল ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর ১ মাস।

তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোয়নে বগুড়া -১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি দশম জাতীয় সংসদ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আব্দুল মান্নান ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ছাত্র লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এর (বাকসু) সহ-সভাপতির (ভিপি) দায়িত্ব পালন করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধশত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরমানন্দপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ গোষ্ঠীর মান্নান মিয়ার সঙ্গে বুইল্লার বাড়ির রাশিদ মিয়ার মধ্যে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনকে আটক করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কাজ করছেন তাতে সোনার বাংলা হতে বেশিদিন নাই: নিক্সন চৌধুরী

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফজরের পর থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছেন। তিনি যেভাবে কাজ করছেন এভাবে যদি কাজ করে যেতে পারেন তাহলে বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ হতে বেশিদিন নাই।

বৃহষ্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, এই সেক্টরের উন্নয়নে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তাই যেকোনো পরামর্শের জন্য আপনারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন,  ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান,  ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

নিক্সন চৌধুরী   ফরিদপুর-৪  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যা, গ্রেপ্তার ৭


Thumbnail লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৭ জন

লক্ষ্মীপুরে মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তার (৩০) কে কুপিয়ে হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-১১ (র‌্যাব)। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব -১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাব আসামীদের গ্রেপ্তার করায় স্বস্তি প্রকাশ করেন নিহতের স্বজনরা।

 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিরাজ, এরশাদ, রিপন, জাকির, রিমন, রাকিব, ইব্রাহিম ও সাহেরা বেগম। তারা সকলেই সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের বাসিন্দা।

 

র‌্যাব  ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে ভিকটিম জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) ভোর রাত ১ টার দিকে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আহত অবস্থায় দুই জনকে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জোসনাকে মৃত ঘোষণা করেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব -১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা নজরদারিতে অবশেষে মামলার ৬ জন এজাহারনামীয় ও ১ জন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।


গৃহবধূ হত্যা   শত্রুতার জেরে হত্যা   আসামীদের থানায় হস্তান্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার আসছে কৃচ্ছতা নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার নতুন করে কৃচ্ছতা নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ব্যয় সংকোচ নীতি এবং নতুন করে কৃচ্ছতা কর্মসূচির দিকে মনোযোগী হচ্ছে। 

কোন কোন খাতে ব্যয় সংকোচ কমানো যায় এবং কৃচ্ছতা সাধন কর্মসূচি শুরু করা যায় সে নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূচকগুলো নিশ্চিত করেছে। এবং কৃচ্ছতা সাধন কর্মসূচির মধ্যে যে বিষয়গুলো রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে;

১. ব্যয় সংকোচ: সরকার নতুন করে ব্যয় সংকোচ নীতি শুরু করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যয় সংকোচের একটি নির্দেশনা বিদ্যমান রয়েছে। এর নির্দেশনাটি আরও কঠোরভাবে অনুসরণ করা এবং পাশাপাশি ব্যয় সংকোচের ক্ষেত্রে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার দিকেও সরকার নজর দিচ্ছে বলে জানা গেছে। যে সমস্ত বিষয়গুলো এখন অপ্রয়োজনীয়, সেই সমস্ত প্রকল্পগুলোকে কাটছাঁট করা বা বন্ধ করা, যে সমস্ত কেনাকাটায় বিলাসিতা রয়েছে বা এই মুহূর্তে তেমন দরকার নয় সে ধরনের কেনাকাটা গুলোকে নিরুৎসাহিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

২. জ্বালানি সাশ্রয়: সরকার জ্বালানির সাশ্রয় নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাবে, জ্বালানি সংকট তৈরি হবে এটা সরকারের জন্য একটি বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। এরকম অবস্থা থেকে আগাম পদক্ষেপ হিসেবে সরকার বিদ্যুৎ এবং জ্বালানী সম্পদ ব্যয় সংকোচন করতে যাচ্ছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে থাকবে লোড ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন স্থানে সময় নির্ধারণ করে লোডশেডিং করা, বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধের জন্য সরকারি অফিসগুলোতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

৩. বিদেশ ভ্রমণ হ্রাস: সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশ ভ্রমণ হ্রাসের জন্য নতুন করে নির্দেশনা তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিদেশ ভ্রমণের ব্যপারে সরকারের একটা বিধি নিষেধ রয়েছে। তবে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখা যায়। এই শৈথিল্য থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে সরকার। বিশেষ করে অপ্রয়োজনে বিদেশ যাওয়া বন্ধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে নির্দেশনা জারি করা হতে পারে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে।

৪. অপচয় বন্ধ: বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপচয় বন্ধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার চিন্তা ভাবনা চলছে। সরকারি অফিসগুলোতে বিদ্যুৎ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার, গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তেল ব্যবহার সীমিতকরণ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সাসনের দিনগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনীতি আবার নতুন করে সংকটে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সরকার কৃচ্ছতা সাধন আরও কঠোর ভাবে বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য   কৃচ্ছতা সাধন   মন্ত্রিসভা   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত

“প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ" এ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বৃহস্প্রতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর সহযোগিতায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

 

প্রাণিসম্পদ দপ্তর সংলগ্ন মাঠে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ রায়হান নবী এর সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবানী সরকার, বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ, বেলকুচি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইদুর রহমান প্রমূখ।

সভা শেষে অতিথি বৃন্দের নিয়ে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সফল খামারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, সফল খামারীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।


প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন