নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২০ জানুয়ারী, ২০২০
ঘোষিত তারিখে সরস্বতী পূজার দিন হবার কারণে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন তারিখ পেছানোর দাবিতে নতুন কর্মসূচি হিসেবে ২০ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মানববন্ধন, বিক্ষোভ, গণ-অবস্থান, অবরোধ এবং প্রতীকী অনশনের ঘোষণা দিয়েছিলো বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এই একটানা আন্দোলনএর পরে এই ঘোষণা আসে। পরিস্থিতি জটিল হবার পরে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তারিখ পুননির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে এখন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ইসির জরুরি বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এ তথ্য জানান। এদিকে পূর্ব নির্ধারিত সময় ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনের কারণে সেটি পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য ৩০ জানুয়ারি তারিখ রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনে সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম উল্লাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরস্বতী পূজার দিন সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এই আন্দোলনকে একটি অসাধারণ বলে আখ্যায়িত করেছেন অনেকেই। এতে করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক এক আন্দোলনের চেহারা দেখলো গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পুজোর অধিকার রক্ষার দাবিতে অনশনে বসেছিলো মুসলমানও। আন্দোলনে শরিক হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মানুসারী চাকমা আর খ্রিস্টানরাও।
একজন ফেসবুকার বলেছেন, “এ আন্দোলন নিঃসন্দেহে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে, শেখ মুজিবের বাংলাদেশে `ঐতিহাসিক ` হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকবে। যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের মাথা-নত কুর্ণিশ জানাই। এ বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। কতিপয় মৌলবাদী শয়তান ঐক্যবদ্ধভাবে যে হিংস্রতা দেখায়, তার বিপরীতে ভালো মানুষের বহুধাবিভক্ত কিংবা নিষ্ক্রিয়তার নির্লিপ্ত থাকে বলে শয়তানিকেই শক্তিশালী মনে হয়। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রুখে দাঁড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আসল বাংলাদেশের শক্তি। এ বাংলাদেশ খনে হারবে না”।
ফেসবুকে নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলা হয়, এরপর থেকে বাংলাদেশকে কেউ সাম্প্রদায়িক বলতে পারবে না।
প্রাচীন কালের একটি প্রবাদ এখনো সমানভাবেই জনপ্রিয় তার প্রয়োগের দিক দিয়ে। সেটি হচ্ছে, "যদি সেই নথ খসালি, তবে কেন লোক হাসালি"।
আগের দিনে, পতিতাবৃত্তি এবং বাইজি বা তওয়ায়েফ মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবহৃত বস্তু ছিল। কিন্তু অনেক বাইজি তার কন্যাকে গায়িকা এবং নর্তকীই রাখতে চেষ্টা চালাতে ব্যস্ত থাকতেন এবং কুমারীত্বের লক্ষণ ছিল নথ। কিন্ত অভাবের জন্য বা অন্য চাপের জন্য কুমারীত্ব বহু মূল্যে বিক্রয় করিলে অন্য রসিক জনেরা ঈর্ষান্বিত এই মন্তব্যটি করতেন। বাইজিকন্যার কুমারীত্ব ক্রয়মূল্য সাধারণ রসিক জনের সাধ্যের বাইরে ছিল । ঐ ব্যাপারে রাজা জমিদার বা অতিরিক্ত ধনীদের ভাগ্যে ঈর্ষান্বিত হওয়া মন্তব্য।
সেজন্যই পরিস্থিতির চাপে কেউ নিজের অবস্থান পরিবর্তন করিলে এই মন্তব্য করা হয়।
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন