নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪২ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২০
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার চীন সরকারের তরফ থেকে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। তবে এমন একটি ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়াবে বলে আগেই সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য খাতের বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান জন হপকিনস সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির বিজ্ঞানী এরিক টনার।
টনারের গবেষণায় বলা হয়ছিল, নতুন ধরণের একটি করোনাভাইরাসের প্রভাবে ১৮ মাসে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা এবং নিউমেনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হবে।
এর আগে ২০০৩ সালে করোনাভাইরাসের আরেক প্রজাতি সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৮০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল সেটিও ছিল এক ধরণের করোনাভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়েছিল ৮ হাজারের বেশি লোক।
টনার বলেন, আমি অনেক দিন ধরেই আশঙ্কা করছিলাম, একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। চীনের উহানের এই ভাইরাস এখনও মহামারি আকার ধারণ না করলেও থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, নেপালে ইতোমধ্যে পৌঁছেছে।
টনার আরো বলেন, আমরা এখনও জানি না এই ভাইরাস কতটা ক্ষতিকর। আমরা জানি এটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু কি পরিমাণ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন তা আমরা জানি না। প্রাথমিকভাবে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, এই ভাইরাস সার্সের চেয়ে একটু দুর্বল। আর এটাই স্বস্তির জায়গা। তবে সার্সের চেয়ে এটি দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করতে পারে।
তিন মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির বিজ্ঞানীদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ছয় মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়াবে। বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক দেশেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে। একই সঙ্গে ১৮ মাসের মধ্যে সাড়ে ৬ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসের কারণে মারা যেতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
কোথায় রোগটির উৎপত্তি হবে সেই ব্যাখ্যায় গবেষণায় বলা হয়, কল্পিত এই মহামারী শুরু হবে দক্ষিণ আমেরিকার দারিদ্রপীড়িত অঞ্চলে। এই ভাইরাসে আক্রান্তরা ফ্লু অথবা নিউমোনিয়ায় ভুগতে পারেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। ভ্রমণ বাতিল হয়ে যাবে ৪৫ শতাংশ। মানুষ প্রচুর ভুয়া সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে। ছয় মাস পর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এই ভাইরাস। এর এক বছর বিশ্বে সাড়ে ছয় কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। টনার বলেন, এটা আমরা যে বিশ্বে বসবাস করছি, তারই একটি অংশ। আমরা এখন মহামারির যুগে বসবাস করছি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএস
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ২০ ফিলিস্তিনি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে রাফাহ শহর এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে চালানো হামলায় ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে এই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় আরও ছয়জন মারা গেছেন বলে চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আর গাজা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিমি (৮.৬ মাইল) দক্ষিণে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে বজ্রপাতের সাথে বিস্ফোরণের মিশ্র শব্দ এবং বৃষ্টি তাঁবুর তৈরি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর দুর্দশাও আরও বাড়িয়ে দেয়।
দেইর আল-বালাহ শহর থেকে পাঁচ সন্তানের বাবা শাবান আবদেল-রউফ বলেছেন, ‘আমরা বজ্রপাত এবং বোমা হামলার শব্দের মধ্যে আর পার্থক্য করতে পারছি না। আমরা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতাম এবং (বৃষ্টি হতে) দেরি হলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম। আজ আমরা প্রার্থনা করছি যেন বৃষ্টি না হয়। বাস্তুচ্যুত মানুষ যথেষ্ট দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
পুতিন শি জিনপিং নরেন্দ্র মোদী রাশিয়া নির্বাচন
মন্তব্য করুন
জিম্মি হওয়া ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করতে চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালি পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সোমবার (১৮ মার্চ) এ অভিযানের তথ্য জানায় সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ। দেশটির স্বায়ত্তশাসিত পুন্টল্যান্ড অঞ্চল জলদস্যুদের অভয়ারণ্য হিসেবে মনে করা হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েন জলদস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধার করে। ওই জাহাজটি গত ডিসেম্বরে জব্দ করেছিল দস্যুরা। এ সময় এমভি রুয়েন থেকে ১৭ জন ক্রু সদস্যকেও মুক্ত করা হয় এবং ৩৫ জন জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুন্টল্যান্ডের পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, এই অঞ্চলে অনেক জলদস্যু চক্রের ঘাঁটি রয়েছে। এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে রাখা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের একটি পরিকল্পনা তারা জানতে পেরেছে। এ কারণে তারা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এসব জলদস্যুদের বিরুদ্ধে তারা অভিযান পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানে কোন কোন দেশ অংশ নেবে সেটি সম্পর্কে কিছু জানায়নি পুন্টল্যান্ড পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নোঙ্গর করলেও পরবর্তীতে একের পর এক অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।
এর আগে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
এমভি আবদুল্লাহ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সোমালিয়া
মন্তব্য করুন
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়েল বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া খবর ও অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনে দেওয়া উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। বৈশ্বিক এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর প্রচারণা চালানোর অভিযোগ করেছেন।
ইউন বলেন, গণতন্ত্রের প্রসারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তিকে যাতে কাজে লাগানো যায়, সে জন্য দেশগুলোর দায়িত্ব হলো অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় করা। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া খবর এবং অপতথ্য ছড়ানো শুধু ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকারই লঙ্ঘন করে না, বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেও হুমকিতে ফেলে।’
তৃতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনের আয়োজন করছে দক্ষিণ কোরিয়া। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবনমন এবং অধিকার ও স্বাধীনতার অবক্ষয় রোধের পন্থা নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সম্মেলনের উদ্যোগ নেন।
গণতন্ত্রের প্রতি প্রযুক্তিগত হুমকি এবং প্রযুক্তিকে কীভাবে গণতন্ত্র ও সর্বজনীন মানবাধিকারের প্রসার কাজে লাগানো যায়, তা তিন দিনের এই সম্মেলনে মূল আলোচনার বিষয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্মেলনে কোস্টারিকা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, ঘানাসহ ৩০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সম্মেলনে বলেন, ‘স্বৈরাচারী ও নিপীড়নমূলক শাসনব্যবস্থা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করার জন্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। তাই প্রযুক্তি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আদর্শকে টিকিয়ে রাখবে এবং সমর্থন করবে তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্বজুড়ে তথ্য প্রভাবিত করার নেপথ্যে রাশিয়া ও চীনের ভূমিকার বিষয়ে ওয়াশিংটনের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেন ব্লিঙ্কেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে রাশিয়া অপতথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন ইউরোপীয় কর্মকর্তাও।
দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়েল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়ার জলদস্যু
মন্তব্য করুন
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়েল বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া খবর ও অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনে দেওয়া উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। বৈশ্বিক এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর প্রচারণা চালানোর অভিযোগ করেছেন।