ইনসাইড বাংলাদেশ

অর্থ-সংকটে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ০৩ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ সালের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে হিসেবে ২০০৭ সালের পর থেকে টানা এক যুগ ক্ষমতার (সরকার বা বিরোধী দলে) বাইরে বিএনপি। এরমধ্যে ক্রমেই বাড়ছে দেশের অন্যতম এই বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটির অর্থসঙ্কট।

এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়, দলের ব্যবসায়ী নেতারা বা শুভাকাঙ্খি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনুদান দেওয়া প্রায় বন্ধই করে রেখেছে। অথচ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই অনুদান বাড়ার কথা। কারণ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বা আন্দোলন চাঙ্গা করতে হবে, যার ফলে খরচ বাড়তেই থাকবে।

অনুদান কমিয়ে দেওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, দলটির প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ বা সরকার তাদের নজরে রাখছে। অনুদান অব্যাহত রাখলে মামলা-হামলায় জড়িয়ে দিতে পারে তাদের। তাই তারা নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, এটি কোনো কারণ নয়, বরং অজুহাত। আর এই অজুহাত কাজে লাগিয়ে তারা দলে অনুদান দেয়া বন্ধ রাখছে। অথচ দল ক্ষমতায় থাকার সময় তারা নানা সুযোগ সুবিধা নিয়ে ব্যবসা চাঙ্গা রেখেছে। বর্তমানে দল ক্ষমতায় আসবে এমন নিশ্চয়তা দেখতে না পাওয়ায় আর অনুদানের নামে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না। পাঁচ বছর বিরোধী দলে থাকার অভিজ্ঞতা থাকলেও বর্তমানে প্রায় একযুগ ক্ষমতার বাহিরে থাকায় এই অনিশ্চয়তা বেড়েই চলছে।

এক কথায় বিশ্লেষকদের মতে, কোনো অঙ্গীকার থেকে নয়, শুধুই ব্যবসায়ীক কারণে বিনিয়োগের চিন্তা থাকায় ক্রমবর্ধমান অনীহা এসব বিনিয়োগকারীদের। দল ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা থাকলেই প্রত্যাশা বা দর কষাকষি হতো যে, কে মন্ত্রী হবেন, কে কোন মন্ত্রণালয় পাবেন বা কে কোন ঠিকাদারি পাবেন? সে বিবেচনায় তারা বিনিয়োগও করতেন।

তাদের মতে, সরকারের নজরদারিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো যেতেই পারে। তবে আন্তরিকতা থাকলেও দলে অনুদান দেয়া যায়, যে কোনও বাধা এড়িয়েই তা দেয়া যায়।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ কয়েক জন ছাড়া অন্যরা এখন আর অনুদান দিচ্ছেন না বললেই চলে। আগে অনুদান দিলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এড়িয়ে চলা নেতারা হলেন, বরকতউল্লাহ বুলু, জয়নাল আবদীন ফারুক, মির্জা আব্বাস ও এহসানুল হক মিলন।

বিএনপির মাসিক স্বাভাবিক খরচ প্রতিমাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা। এরমধ্যে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের অফিস ও স্টাফদের মাসিক খরচ প্রায় ৬ লাখ টাকা। আর নয়াপল্টন কার্যালয়ের স্টাফ ও অফিস খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। এ ছাড়া সভা-সমাবেশ, যাতায়াত, নেতা-কর্মীদের মামলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও বেশ কিছু টাকা খরচ হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতারা নিয়মিত মাসিক চাঁদা দিলেই কারও অনুদানের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। কিন্তু অঙ্গিকারের অভাবে তা হচ্ছে না। উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন, গত বছর মার্চে দলের জাতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত সব কেন্দ্রীয় নেতারই চাঁদা পরিশোধিত। এরপর থেকেই অনেকেই চাঁদা নিয়মিত দিচ্ছেন না। কাউন্সিলের আগেও তারা নিয়মিত চাঁদা দিতেন না। কাউন্সিলকে সামনে রেখে দিয়েছেন। কাউন্সিল হয়ে যাওয়ার পর পদ-পদবী পাওয়া বা না পাওয়ার হিসেব শেষ। অর্থ্যাৎ চাাঁদার জন্য কারও পদ যাবে না, আবার নিয়মিত চাাঁদা দিলেও কারও পদ-পদবী পাওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে না। অর্থ্যাৎ দলের প্রতি অঙ্গিকারের অভাব থাকায় এই অর্থসঙ্কট, বাকিটা অজুহাত।

তারা বলছেন, দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন করে জেলা, মহানগর, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটির নেতাদের মাসিক চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়নে ৫০ টাকা, মহানগরীর ওয়ার্ডে ১০০ টাকা, উপজেলা-থানা-পৌরসভায় ২০০ টাকা, মহানগরে ৪০০ টাকা ও জেলায় ৫০০ টাকা। এসব কমিটির ইউনিট ভেদে সহসভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক পদে ৪০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা ও ৩০০ টাকা। সম্পাদকদের ক্ষেত্রে ৩০ টাকা, ৪০ টাকা, ৫০ টাকা, ১৫০ টাকা ও ২০০ টাকা। সহ-সম্পাদকদের ক্ষেত্রে ২০ টাকা, ৩০ টাকা, ৪০ টাকা ও ১০০ টাকা। সদস্যদের ধরা হয়েছে ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৩০ টাকা, ৪০ টাকা ও ৫০ টাকা। তবে কেউ এর চেয়ে বেশি পরিমাণ চাঁদা দিতে চাইলে দিতে পারবে। কিন্তু সামর্থ্যরে অভাব বিবেচনা করে চাঁদা মওকুফ কিংবা পরিমাণ হ্রাস করতে পারবে। তবে জাতীয় নির্বাহী কমিটির চাঁদার পরিমাণ আগের পরিমাণই রয়েছে। চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের মাসিক চাঁদার পরিমাণ ১ হাজার টাকা। সমপরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরও। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা ৫০০, যুগ্ম-মহাসচিব, সম্পাদক ও সহসম্পাদক ৩০০ এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদের নেতা ছাড়াও দল থেকে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তারাও পদাধিকার বলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তাদেরও মাসিক চাঁদা ১ হাজার টাকা নির্ধারিত রয়েছে। অবশ্য নির্বাচন বর্জন করায় দশম জাতীয় সংসদে বিএনপির কোনো এমপি নেই।

জানা গেছে, পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনাসহ নানা মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জর্জরিত থাকলেও অর্থের অভাবে ঠিকঠাক আইনী সহায়তা দিতে পারছে না বিএনপি। এক্ষেত্রে দলীয় আইনজীবী নেতারাও দায়সারা বলে পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষকদের। ভালো ফি পাওয়া মামলার মতো করে তারা এই মামলাগুলোও দেখতেন যদি তেমন অঙ্গিকার থাকতো।


বাংলা ইনসাইডার/এমএএম




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিএমপির দুই পদে ৪ জনের বদলি

প্রকাশ: ১০:৩৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদ মর্যাদার দুই জন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডিএমপি হাবিবুর রহমানের সই করা অফিস আদেশে এ বদলি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে উল্লিখিত স্থানে বদলি অথবা পদায়ন করা হলো। এতে আরও বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ডিএমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

প্রকাশ: ০৯:২৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

তবে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আগের মতো ছুটি চান না অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটি বাড়ালে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় একেবারে ছুটি না দিয়ে অনলাইনে ক্লাস বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ছুটির বাড়ানোর বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্লাস বন্ধ না রেখে অনলাইন কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভেতর রাখা যায়, সেই চিন্তা চলছে। তবে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্লাস খুলছে নাকি ছুটি বাড়ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদি তাপপ্রবাহ না কমে তবে অনলাইন ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তীব্র তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও তিন দিন বাড়ল। আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য নতুন সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরে ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা এর আগে তিনদিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দেই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের ড্রাম ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে গিয়ে ৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে  আহত হয়েছে আরও ৮ শ্রমিক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কাজ শেষে ফেরার পথে উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ওই গাড়িতে মোট ১৭ জনশ্রমিক ছিলেন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজটি কঠিন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে প্রেরণ করছে।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুলাল চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি যারা গাড়িতে ছিলো সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক। এই সড়কে অনেক স্থানে উচু নিচু পাহাড় আছে। উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে গাড়ি নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

রাঙামাটি   সাজেক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদে কুশপুত্তলিকা দাহ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল রায়পুর। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ‘আমরা পৌরবাসী’র ব্যানারে নানা প্ল্যাকার্ড, ঝাড়– মিছিলসহ বিক্ষোভ করেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পুর থানা সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে আঞ্চলিক সড়কের পাশে মামলার বাদী মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষুব্ধরা। 

মঞ্জুরুল আলম রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ দেনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সহকারী কমান্ডার।

এসময় মঞ্জুরুল আলমের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার বিচার দাবি করেন বক্তারা।

এর আগে পৌরসভার নিয়ম নীতি না মেনে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ায় শুরু হয় বাকবিতন্ডা। পৌর কর্মচারীকে লাঞ্চিত করার দায়ে মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গেলো ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অনুষ্ঠানে মেয়রকে নানা কটাক্ষ করেন মঞ্জুরুল আলম। পরে রোববার (২১ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে মঞ্জুরুল আলম বাদী হয়ে রায়পুর পৌরসভার মেয়রসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন, রায়পুর পৌরসভার কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপু, কর্মচারী আলম মিয়া, সবুজ, মাহমুদুন্নবী ও আবু তাহের সাগর।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন