নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন পর্যটন শিল্পের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ কক্সবাজার সহ দেশের কোথাও ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমে কোন ধরণের অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজার জেলার হিল-ডাউন সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। সঞ্চালক হিসেবে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ একটি অপরিহার্য বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে তারা এক অর্থে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করে, তারা জনগণের শত্রু। ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শাস্তির সম্মুখীন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পূর্বের যেকোনো সময় থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান প্রক্রিয়া অনেক স্বচ্ছ হয়েছে। জনগণ এর সুফল পাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা অনলাইনের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করছি। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
এ সময় ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ ভূমি সেবা হটলাইন ১৬১২২ নম্বরে কল করে ভূমি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্যে এবং ভূমিসংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করার জন্যে সবাইকে পরামর্শ দেন ভূমিমন্ত্রী।
আগামী ১৭ মার্চ, ২০২০ থেকে নামজারির জন্যে কোন ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ করা হবেনা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরই ভূমি অফিসে নামজারির আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর - দৃঢ়তার সাথে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ সময় উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ জুলাই এ আনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশের ৪৮৫টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিসে এবং ৩৬১৭ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। কিছু কিছু অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ অপ্রতুল হবার কারণে অনলাইনের বদলে ম্যানুয়াল আবেদনপত্র (কাগজে) গ্রহণ করা হচ্ছে। যেসব ভূমি অফিসে এখনও বিদ্যুৎ সুবিধা অপ্রতুল সেসব অফিসে সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম স্থাপন করে ই-নামজারি চালু করা হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার আওয়ামী লীগ-এর সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্বাস উদ্দীন চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এ মনজুর সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ার পর `২য় জাতীয় কমিউনিটি বেইজড স্কাউট ক্যাম্প`-এর মহা তাঁবু জলসা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।