ইনসাইড বাংলাদেশ

যেভাবে বিত্তের পাহাড় পাপিয়া-মফিজুর দম্পতির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

র‌্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাপিয়া-মফিজুরের বিপুল পরিমাণ অর্থবিত্ত অর্জনের নেপথ্যের কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানান র‌্যাব সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল। তিনি বলেন, পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান নরসিংদী এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণা, জমির দালালি, সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স ও গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নামে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

এ পর্যন্ত র‌্যাবের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাপিয়া-মফিজুর দম্পত্তি পুলিশের এসআই ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১১ লাখ টাকা, একটি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা ও একটি সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স দেওয়ার নাম করে ২৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তবে টাকার বিনিময়ে কাউকে চাকরি কিংবা পাম্পের লাইসেন্স ও গ্যাসের সংযোগ দিতে দিতে পারেননি তারা। তবে নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড রয়েছে তাদের, যার মাধ্যমে তারা কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন।

শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, পাপিয়া-মফিজুর দম্পত্তির আয়ের আরও একটি উৎস নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করানো। তারা চাকরি দেওয়ার নাম করে নরসিংদী থেকে তরুণীদের ঢাকায় নিয়ে আসত। এরপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের অনৈতিক কাজে যুক্ত হতে বাধ্য করত। রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে এসব মেয়েদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া মেয়েরা।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, নরসিংদীতে পাপিয়া-মফিজুর দম্পত্তির একটি ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। ওই ক্যাডার বাহিনীর নাম দিয়েছেন ‘কিউ অ্যান্ড সি’। এই বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যদের হাতে ট্যাটু করা আছে। তাদের কাছে সবসময় আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। তাদের দুইটি হাইয়েস গাড়ি দেওয়া হয়েছে, তারা সেই গাড়িতে করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে বেড়ায়। তাদের পাঁচটি মোটরসাইকেলও রয়েছে। এসব গাড়িতে করে মাসোহারা আদায়, চাঁদাবাজির টাকা তোলা এবং অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা দেখাশোনা করত তারা। র‌্যাব তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক বলেন, তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই টাকা হুন্ডির কি না, তা এখনো জানতে পারিনি। তবে টাকা ব্যাংকে না রেখে বাসায় কেন রেখেছে- এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি পাপিয়া। আমরা অনুসন্ধান করছি, টাকার উৎস বের হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব সিও বলেন, অর্থ পাচার ও জাল মুদ্রা রয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ও তাদের দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। এরপর সব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে।

প্রভাবশালী অনেকের সঙ্গেই পাপিয়ার ছবি দেখা গেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, কোনো অপরাধীর সঙ্গে কারও ছবি থাকা মানেই যে তিনি অপরাধে জড়িত, এমন নয়। কোনো ধরনের পরিস্থিতিতে অনেকের সঙ্গেই অনেকে ছবি তুলে থাকতে পারেন। এগুলো ব্যক্তির অনুমতির বিষয়।

পাপিয়া-মফিজুর দম্পতি ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান র‌্যাব সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন।
 
এর আগে ১২ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।
 
গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। ওইদিন দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন পূর্বক দুই জন ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য নেয়ার আবেদন করেন। আদালত দুদকের আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এরপর আদালত মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এদিন (৪ মার্চ) তৎকালীন ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান ও কেশব রায় চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এদিন তাদের সাক্ষ্য শেষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১২ মার্চ দিন ধার্য করেন। গত ১২ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
 
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে সুতা রফতানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রফতানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। যা পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন।
 
এরপর ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার অভিযোগ গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন।
 
এ মামলার আসামিরা হলেন-হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ।
 
টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।
 
এছাড়া সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন বা রূপসী বাংলা শাখার সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি। সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম অফিসের জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন এবং এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান। এর মধ্যে আসামি জামাল উদ্দিন সরকার, আলতাফ হোসেন জামিনে রয়েছেন। এছাড়া সাইফুল, মতিন, হুমায়ুন, গোপাল নাথ, তসলিম, সাইফুল, মেরী ও জাকারিয়া পলাতক রয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন   তানভীর-জেসমিন   মামলার রায়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা এবং দণ্ড স্থগিতের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

চলতি বছরের ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ও তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

জানা যাই, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুই শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ইতোপূর্বে আটবার বাড়ানো হয়েছে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মত খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়। যার মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।

গত বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে বাসায় নেওয়া হয়।


বিএনপি   খালেদা জিয়া   মুক্তিবিষয়ে সিদ্ধান্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে ৫ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুতের ৫ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব স্টেশন মাস্টার খায়রুল ইসলাম। অপরদিকে এ ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাকশি রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খায়রুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর প্রথমে বগিগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত বগি ক্রেন দিয়ে উপরে তুলে লাইনে আনা হয়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়া ট্রেনগুলো ছেড়ে আসছে। তবে কী কারণে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর আশরাফ জানান, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনে যাত্রা বিরতি শেষে ঢাকার দিকে যাওয়ার সময় একটি বগির ৪টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। প্রাথমিকভাবে ট্রেনের চাকায় ত্রুটি থাকার কারণে লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বুকিং স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। তবে রেল চলাচল বন্ধ থাকায় গাজীপুর থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে। যাত্রীদের দ্রুত ভোগান্তি লাঘবের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় মধ্যরাতে বিপাকে পড়েছেন অনেক যাত্রী।

অপরদিকে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে পাকশি রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেনকে।

পাকশি রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, পঞ্চগড় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।

তিনি আরেও বলেন, নতুন লাইনের জন্য এই ঘটনা কি না অথবা কী কারণে লাইনচ্যুত হয়েছে; সেটা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব না।



টাঙ্গাইল   ট্রেন   লাইনচ্যুত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাজারে অর্ধেকে নামল পেঁয়াজের দাম

প্রকাশ: ১০:০৪ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

প্রতিবার রমজান মাস আসলেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির হিড়িক লেগে যায়। কাঁচা সবজি থেকে শুরু করে প্যাকেটজাত পণ্য, সবখানেই যেন বাড়তি থাকে মূল্য। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। রমজানের শুরুতে বাজারে সকল পণ্যের দামই নাগালের বাইরে ছিল। তবে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে এসকল পণ্যে দাম।

এবার রমজানকে ঘিরে পাঁচ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রায় অর্ধেক কমেছে পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ার পাইকারি বাজারে। যে পেঁয়াজ গত বুধবার (১৩ মার্চ) তিন হাজার থেকে তিন হাজার ২০০ টাকা মণের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে, সেই পেঁয়াজ সোমবার (১৮ মার্চ) এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা যায়।

স্থানীয় কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির আশায় পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে এসেছে। আবার কৃষকরাও নতুন পেঁয়াজ বাজারে বিক্রির জন্য তুলতে শুরু করেছেন। তাতে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এই দরপতন ঘটেছে।

জানা যায়, সুজানগর উপজেলায় প্রতি রোববার ও বুধবার পাইকারি পেঁয়াজের হাট বসে। গত বুধবার (১৩ মার্চ) এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর থেকেই পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। রোববার এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। দাম কমে যাওয়ায় বহু কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি না করে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা হাটেও মিলেছে একই চিত্র। রোববার এ হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ দেড় হাজার থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম না পেয়ে অনেক কৃষক হতাশ হয়ে বিক্রির জন্য আনা পেঁয়াজ নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। দাম কমে যাওয়ায় দুই উপজেলার পেঁয়াজ চাষিদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। দাম আরও কমে গেলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, হঠাৎ করে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। তবে বর্তমানে যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, তাতে কৃষকের লোকসান হবে না।

চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন। এ পেঁয়াজ ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে।

অন্যদিকে হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৫৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে এই পেঁয়াজ বাজারে আসছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।


পেঁয়াজ   বাজার   নিত্যপণ্যের দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসী হামলায় যুবলীগ নেতা আহত

প্রকাশ: ১০:০৩ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরে কামাল হোসেন (৪৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (১৮ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রামনগর এলাকার নুড়ী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আহত কামাল বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও স্থানীয় পোদ্দার বাজারের ফল ব্যবসায়ী।

ইউপি নির্বাচন নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজের অনুসারীরাই এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইফতারের পরে বশিকপুরের রামনগর এলাকার নুড়ী বাড়িতে একটি দাওয়াতে অংশ নেয় যুবলীগ নেতা কামাল। খাবার শেষে পোদ্দার বাজারে তার ভাড়া বাসার উদ্দেশ্যে ফেরার পথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজের অনুসারী নোমানের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয় কামাল।  

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পোদ্দার বাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে আহত কামালের স্ত্রী সাজু আক্তার, বড় বোন সেলিনা ও মামা নুর হোসেন নুরু অভিযোগ করে বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের পক্ষে কাজ করায় যুবলীগ নেতা কামালের উপর এ হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তারা।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ‘আহত কামাল ডান চোখে ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’

এবিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।


লক্ষ্মীপুরে   সন্ত্রাসী হামলা   যুবলীগ নেতা আহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন