নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৩ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় ও নগর বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে গড়া মনোনয়ন বোর্ড নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, এক নম্বর (পাহাড়তলী) ওয়ার্ডে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে, ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হয়েছে নগর বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. ইয়াকুবকে, ৩নং পাচলাইশ ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. ইলিয়াছ, ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মাহাবুবল আলম, ৫নং মোহরা ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. আজম, ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. হাসান লিটন, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. ইসকান্দর মির্জা।
এছাড়া ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন হাসান চৌধুরী, ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে পেয়েছেন আব্দুস সাত্তার সেলিম, ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে পেয়েছেন মো. রফিক উদ্দীন চৌধুরী, ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. সোহরাব হোসেন চৌধুরী, ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন সামশুল আলম, ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম, ১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুল হালিম (শাহ আলম), ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন চৌধুরী সাইফুদ্দিন রাশেদ চৌধুরী, ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডে পেয়েছেন এ কে এম সালাউদ্দিন কাউসার লাবু, ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন কে এম আরিফুল ইসলাম, ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. মহিউদ্দীন।
১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন ইয়াছিন চৌধুরী আছু, ২০ নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন হাফিজুল ইসলাম মজুমদার মিলন, ২১ নং জামালখান ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন আবু মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী, ২২ নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন এম এ মালেক, ২৩ নং উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ মহসীন, ২৪ নং ওয়ার্ড উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন এস এম ফরিদুল আলম, ২৫ নং রামপুর ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন শহীদ মোহাম্মদ চৌধুরী, ২৬ নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ আবুল হাশেম, ২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ সেফায়াত, ২৮ নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন এস এম জামাল উদ্দীন জসিম।
২৯ নং পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. সালাহ উদ্দিন, ৩০ নং পূর্ব মাদারবাড়ি মনোনয়ন পেয়েছেন হাবিবুর রহমান, ৩১ নং আলকরন ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন দিদারুর রহমান লাভু, ৩২ নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন সৈয়দ আবুল বসর, ৩৩ নং ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন আকতার খাঁন, ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন ইসমাইল বালি, ৩৫ নং বক্সিরহাট ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন এড তারিক আহমদ, ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. হারুন (ডক), ৩৭ নং উত্তর মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. ওসমান, ৩৮ নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন হানিফ সওদাগর, ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন সরফরাজ কাদের, ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. হারুন, ৪২ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. নুরুল আবছার।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বেশ কয়েকটি বাজারে মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
জানা যায়, সোমবার থেকে শহরের মাংস বিক্রেতারা বিক্রি বন্ধ রেখে সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান।
দাম পুনঃবিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন তারা। তবে, কেউ যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেওয়া হবেনা বলেও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শহরের প্রধান বাজার আনন্দ বাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বৌ বাজার, কাউতলী বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত ৩ শতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাংস ব্যবসায়ী বিক্রয় করে ৭৫০ টাকা দরে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, তাদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরা হবে।
এ দিকে বাজারে ক্রেতারা এসে মাংস কিনতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে, অন্য শহরের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করে লাভ করতে পারেন তাহলে এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবেন না কেন।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলার ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনা ঘটে। অপহরণের ৯ দিন পরও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিক্ষার্থীকে। এরই মধ্যে অপহৃত শিশুর পরিবারে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এনিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে শিশুর স্বজনরা। এ ঘটনায় চক্রের ১ নারী সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিশুকে।
গত ৯ মার্চ দুপুরে ক্লাস শেষে বাড়ী ফিরছিল আবু হুরাইরা (রাঃ) মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ। মাদ্রাসার কিছুটা দূরে পৌঁছলে পথিমধ্যে তাকে থামিয়ে বোরকা পরিহিত এক নারী দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফেটে যাওয়ার কথা জানায়। দুপুরে হাসপাতালে মাকে দেখতে যাওয়ার কথা বলে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ’কে ওই নারী অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিশুর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের পর ১০ মার্চ মামলাটি নথিভুক্ত করেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)ওসমান গনি বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ এর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপহরণের ঘটনার কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশাটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। পরে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশাসহ চালক নাছির উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।’
পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ ও গ্রেপ্তার অটোরিকশা চালকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আরও ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে উম্মে সালমা ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে বুধবার (১৩ মার্চ) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে জড়িত অন্যদেরও ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান ওসি ওসমান গনি।
বিভিন্ন সূত্র হতে জানা যায়, এনিয়ে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ শুধু মাত্র টেকনাফে কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১০১ টি। যার মধ্যে ৫১ জন স্থানীয় এবং ৫০ জন রোহিঙ্গা। যেখানে ৪৬ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
চলতি রমজান মাসে খেটে খাওয়া মানুষের কাছে সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আরএমপির পুলিশ লাইন্সে ৯ মণ ওজনের একটি গরু জবাই করে বিক্রি করা হয়েছে।
পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এই মাংস কেনেন। একজন সর্বোচ্চ দুই কেজি করে মাংস কিনতে পারেন। ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তারা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৫ মার্চ ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করলেও রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নজরে আসলে তিনি খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভেবে রমজান মাসে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এর ফলে খেটে খাওয়া মানুষ একদিকে যেমন সরকার মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পারছেন, তেমনি ব্যবসায়ীরাও নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে উদ্যোগী হবেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানে খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রির কথা মানুষের মুখে মুখে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন এসে মাংস কিনে নিয়ে যান।’
তিনি আরও জানান, এ কার্যক্রমের ব্যাপ্তি আরও বৃদ্ধি করা হবে। মাংসের পাশাপাশি কৃষকের কাছ থেকে শাক-সবজি কিনে এনে কেনা দামেই সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির পরিকল্পনাও তারা করছে।
রাজশাহী গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত মূল্য
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামে হুড়াসাগর নদীর উপর ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ার আগেই একটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান রাতের আধারে ব্রিজে দেখা দেওয়া ফাটল মেরামত করতে গেলে গ্রামবাসী তাতে বাধা দেয়। এবং ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
চর জোকনালা গ্রামের রহমান আলী জানায়, ‘রবিবার (১৭ মার্চ) রাত ১ টার দিকে ব্রিজের নিচে মোবাইলের আলো দেখে আমরা চোর মনে করে কয়েক জনকে সাথে নিয়ে সেখানে যাই। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধরে ফেলি। এরপর তারা জানায় তারা ব্রিজের পিলারের ফাটল মেরামত করতে এসেছে।’
এ বিষয়ে রাতের বেলায় কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রি শফিকুল ও স্বাধীন বলে, ‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে রাতের বেলায় বালু ও সিমেন্ট দিয়ে পিলারের ফাটলের স্থান মেরামত করতে গিয়েছিলাম।'
স্থানীয় ভাঙ্গাবাড়ী ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম তুহিন জানান, ব্রিজটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ব্রিজের ৪টি পিলারের মধ্যে একটির নিচের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদার ও দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রোকনুজ্জামান জানান, ‘২০২১ সালে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় ২০২৩ সাল থেকে আমি ব্রিজের নির্মাণ কাজ দেখভাল করছি। ব্রিজের ওই পিলার আমি দায়িত্ব পাওয়ার অনেক আগেই নির্মাণ হয়েছে।’ যখন পিলার নির্মাণ হয়েছে, তখন সেখানে অনেক পানি ছিল। বর্তমানে কাজের সুবিধার্থে সেচ দেওয়ার পর ফাটলের স্থানটি নজরে আসে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলার ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনা ঘটে। অপহরণের ৯ দিন পরও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিক্ষার্থীকে। এরই মধ্যে অপহৃত শিশুর পরিবারে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এনিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে শিশুর স্বজনরা। এ ঘটনায় চক্রের ১ নারী সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিশুকে।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামে হুড়াসাগর নদীর উপর ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ার আগেই একটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান রাতের আধারে ব্রিজে দেখা দেওয়া ফাটল মেরামত করতে গেলে গ্রামবাসী তাতে বাধা দেয়। এবং ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।