ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর কিচেন কেবিনেটে কারা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ০৬ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

সরকারের সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয় মন্ত্রিসভায়। সেখানে মন্ত্রীরা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। মন্ত্রিদের বক্তব্য থেকে সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে এর বাহিরে অন্য কারও পরামর্শও নিতে পারেন সরকার প্রধান। বিশ্বব্যাপী যা কিচেন কেবিনেট নামে পরিচিত। বাংলাদেশের ইতিহাসে সংসদীয় বা রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতন্ত্রের আমলেও বিদ্যমান ছিল অলিখিত এই কেবিনেট। এই কিচেন কেবিনেটে স্থান হয় সাধারণত মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বা এর বাহিরে সরকারের শুভাকাঙ্খি বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ।

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে এই কিচেন কেবিনেটে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, রেহমান সোবহান, তোফায়েল আহমেদ ও আসম আবদুর রবসহ কয়েকজন।

পরবর্তীতে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের কিচেন কেবিনেটে ছিলেন বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ (পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি) কয়েকজন। আরেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদেরও ছিল এমন কেবিনেট।

পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কিচেন কেবিনেটে স্থান হয় দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার।

পরবর্তীতে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটি প্রথম সরকার। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিচেন কেবিনেটে স্থান হয়েছিল জিল্লুর রহমান, আবদুল হামিদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, তোফায়েল আহমেদ ও শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতার।

এরপর ২০০৮ সালে নির্বাচনে জিতে শেখ হাসিনার সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে। এর আগে প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় থাকে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই আমলের ‘সংস্কারপন্থী’ বিবেচনায় পরবর্তীতে কিচেন কেবিনেটেও ভিন্নতা দেখা যায়। এই কেবিনেটে স্থান হয় এইচটি ইমাম, মতিয়া চৌধুরী, গওহর রিজভী ও তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীসহ নতুন ও পুরাতন কয়েকজনকে।

তবে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তেমন কোন কেবিনেট আছে বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের অনেকেই মনে করছেন, বিশ্বব্যপী স্বীকৃত এই ‘কিচেন কেবিনেট’ প্রথা এবার ভেঙ্গেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কারও কারও মতে, প্রধানমন্ত্রীকে হয়ত কেউ পরামর্শ দিচ্ছেন, তবে তা পর্দার আড়াল থেকে।

২০০৮ সাল থেকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। এর মধ্যে সরকারের অন্যতম প্রশংসিত কাজ মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধীদের বিচার নিশ্চিত করা ও রায় কার্যকর করা।

এছাড়াও রায়েছে পদ্মা সেতু, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়, মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন, সমুদ্রসীমা মামলা, গণজাগরণ ও হেফাজত ইস্যু, সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবেলা, রহিঙ্গা ইস্যুসহ নানা বিষয়। এসব বিষয়ের সঙ্গে প্রশ্ন আসে প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পরামর্শক কে? জানা গেছে, বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ শুনলেও সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। দলীয় বিষয়ে তৃণমূলের কথা শোনেন বেশি। তবে সার্বিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কারও ওপর নির্ভর করেন না তিনি।

জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে বাজেট আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পরামর্শক বিষয়ক আলোচনা আরও সামনে এসেছে। বাজেট আলোচনায় কেবল সংসদ সদস্যরা নন, সরকারের কোনও কোনও মন্ত্রীও প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করেন। যদিও প্রস্তাবিত এই বাজেট মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরই সংসদে উপস্থাপন করা হয়। সদা সাম্প্রতিক প্রশ্ন ‘মন্ত্রিসভা কি কোন কিছু না দেখেই সব অনুমোদন দিয়ে দেয়?’ আরও দৃঢ় হয়ে সামনে আসে। কারণ কোন মন্ত্রীর আপত্তি থাকলে যে কোনও প্রশ্নে তিনি মন্ত্রিসভাতেই প্রশ্ন তুলতে পারেন। সর্বশেষ সংসদ নেতা শেখ হাসিনার পরামর্শে আবগারি শুল্ক ও ভ্যাট বিষয়ে সংশোধনী আনার পর তা সংসদে পাস হয়।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বা দল পরিচালনায় সবার কথাই শোনেন। তবে সিদ্ধান্ত নিজেই নেন। আর মন্ত্রিসভায় তেমন পরামর্শ মন্ত্রীদের কেউ দিলে তিনি তখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারতেন।

বলা হয়ে থাকে, দেশের একমাত্র ব্যক্তি শেখ হাসিনা, যিনি চেয়েছিলেন বলেই মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার সঙ্গে এসব অপরাধীদের দফারফা করা সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধীদের বিচারের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও এগুতে হয়েছে খুব ভেবে-বুঝে। এক্ষেত্রে কখনো ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করতে হয়েছে নানামুখী সমালোচনার ঝড় মাথায় নিয়েও। কারণ আগে জনমত একীভূত করতে হয়েছে বা ‘তাড়াহুড়া করেছে’ বলে যেন কেউ অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে।

তাছাড়া বাংলাদেশের সম্মানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়নে করার সিদ্ধান্তও তিনি নিজেই নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মাসেতু থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ৬৮ বছরের পুরোনো ছিটমহল বিনিময় চুক্তিও বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। তবে কোন দেশের সঙ্গে বিনা যুদ্ধে বা বিনা রক্তপাতে এমন একটি সমস্যা সমাধানের পথে এগুনোই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল। যা সংশ্লিষ্টদের কথা শুনে নিজেই নিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইভাবে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধের পথে না গিয়ে মামলায় এগুনোর সিদ্ধান্তও একটি প্রশংসিত বিষয়। এক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের আইন চেয়ে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ এবং এর কাউন্টার হিসেবে গড়ে ওঠা হেফাজতে ইসলামের মতিঝিল তান্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও সরকারের ও দলসংশ্লিষ্টদের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রেও কারও একক পরামর্শে নির্ভর করেননি শেখ হাসিনা।

সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে খোলামেলা এক ঘরোয়া আলোচনায় বলেছিলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনার ফোন করার সিদ্ধান্তও ছিল প্রধানমন্ত্রীর একক। ওই সময় দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ফোন না করার জন্য। কারণ এর আগে খালেদা জিয়া সরকারের উদ্দেশ্যে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। আল্টিমেটামের সময়সীমার মধ্যেই ফোন করলে ওই যাত্রায় রাজনৈতিক কৌশলে খালেদা জিয়া জিতে যাবেন বলে যুক্তি ছিল নেতাদের।

কারণ আমাদের দেশের ভোটারদের প্রবণতা হচ্ছে, রাজনীতিতে বা আন্দোলনে জিতে যাওয়াদের ভোটেও জিতিয়ে দেয়া। ওই মন্ত্রী বলেন, কিন্তু নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নিশ্চিত ছিলেন, এই জয় খালেদা জিয়া ক্যাশ (কাজে লাগানো) করতে পারবেন না। ফলে তা আওয়ামী লীগের পক্ষেই যাবে।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারির পর বিএনপির টানা প্রায় তিন মাসের আন্দোলনের সময় খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা যান। ওই সময় সন্তানহারা মা খালেদা জিয়াকে সান্তনা দিতে যান আরেক মা শেখ হাসিনা। এই সিদ্ধান্তও প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে মিয়ানমারের সঙ্গে রহিঙ্গা ইস্যুতে নেয়া সিদ্ধান্তও প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করাসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকেন তিনি। ওই সময় রহিঙ্গা শরণার্থীদের খাবার, ওষুধ ও নৌকার ইঞ্জিনের জন্য তেল সরবরাহ করলেও বানের ¯্রােতের মতো তাদের দেশে ঢুকতে দেয়নি প্রশাসন। বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গণকে বুঝিয়েছেন এ বিষয়ে নজর দেয়ার জন্য। পরবর্তীতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গণ রহিঙ্গা ইস্যুতে তদন্তও করেছিল এবং স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরামর্শ নেন তাঁর একমাত্র পুত্র সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের। আর স্বাস্থ্য বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কখনো কখনো নিজের একমাত্র কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ পুতুলের পরামর্শ নেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার তালিকায় প্রথমেই আছে এইচ টি ইমামের নাম। দ্বিতীয় নামটি হচ্ছে মসিউর রহমান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা গওহর রিজভী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা। চতুর্থ অবস্থানে আছেন তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। যিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা। পঞ্চম অবস্থানে আছেন তারিক আহমেদ সিদ্দিক। তিনি নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তবে তাঁদের প্রায় সবাই কেবল কাগজে-কলমে উপদেষ্টা। মূলত সিদ্ধান্ত নিতে হয় প্রধানমন্ত্রীকেই। তবে কখনো কোনও বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ শুনলেও সার্বিক বিষয়ে কারও ওপর ভরসা করেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বাংলা ইনসাইডার/এমএএম




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সংস্থাটির ১৫ জন কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান, আকিব রায়হান, শাওন হাসান অনিক, তালুকদার ইনতেজার ও চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ প্রশাসন ক্যাডারে এবং আশরাফুল হোসেন, সুজনুর ইসলাম সুজন ও মো. ইমাম হোসেন পুলিশ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহসভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইকে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও  আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’ 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হত্যার হুমকি   থানায় অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৪ মে থেকে শনিবারও খোলা থাকবে স্কুল

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

সূত্র জানায়, বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। তাই রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলিও বন্ধ থাকবে।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। 


স্কুল   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপমাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তা শীর্ষে অধ্যক্ষ মামুন


Thumbnail

বিগত ৫ বছর রায়পুর উপজেলাবাসীকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলমুক্ত উন্নয়ন ও সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় শতাধিক রাস্তা, অসংখ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং উপজেলাবাসীকে হয়রানিমুক্ত নিরলস সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে সৎ, নির্লোভ, শিক্ষিত ও ধর্মীয় অনুরাগী হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায় উপজেলাবাসী। 

গত ২দিন সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারণ জনগণের সাথে আলাপকালে এ দাবি সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করে তারা। 

উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের জেলে সম্প্রদায়ের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোট নিয়ে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ ৫ বছরে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা পাঁকা করে দিয়েছেন। পানির সমস্যা দূরীকরণে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন। এছাড়াও নতুন মাটির রাস্তা বাঁধাইকরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান করেছেন। এছাড়াও চরবংশী ইউনিয়নের জেলেদের সাথে কোন ধরণের অন্যায়, জমি জবরদখল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেননি। এমন সৎ ও নির্লোভ মানুষকেই তারা আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। 

উপজেলার ৮নং দক্ষিন চরবংশী, ১নং উত্তর চরআবাবিল, ৯নং দক্ষিন চরআবাবিল ও ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের জনগণ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের সাথে আলাপকালে তারা জানান, অধ্যক্ষ মামুন নির্বাচিত হওয়ার পর অন্যায় করেননি এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। তিনি মানুষের উপকার ও এলাকার উনয়নে কাজ করেছেন। উপজেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের জনগণ পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই চায়। 

বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রবীন ও ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানান, ১৯৯২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৯৯১ সাল থেকে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ মামুন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সুণামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। 

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বাধিক সমর্থন নিয়ে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। দায়িত্বকালীন সময়ে অধ্যক্ষ মামুনের নেতৃত্বে সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেয়র নির্বাচিত হন। দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিগত কোন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে কর্মকান্ড করেননি। দলের নেতাকর্মীরা তার সৎকম, নির্লোভ ও সন্ত্রাসমুক্ত কর্মকান্ডকে প্রচন্দ করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে বদ্ধপরিকর। 

সরেজমিনে এলাকাবাসীর থেকে আরও জানা যায়, বিগত করোনার সময়ে অধ্যক্ষ মামুন উপজেলার মানুষের নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের দারপ্রান্তে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। কারো কোন বিপদের সংবাদ পেলে তাদের কাছে ছুঁটে চলে আসেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ নেই। এসমন ভদ্র নম্র মানুষই রায়পুর উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পারবে। এজন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায়। 

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে দটি মনোনয়ন জমা হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

লক্ষীপুর   রায়পুর উপজেলা   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব'

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন ও জটিল হলেও অসম্ভব নয়, অনুমতি মিললে ঈদুল আজহার আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা। ভারত ব্রাজিল থেকে প্রচুর ইথানল কেনে। কোভিডের পর ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে অস্থির হয়ে পড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তেলের বিকল্প হিসেবে ইথানল ব্যবহার সস্তা হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বে বিভিন্ন সংকটের মাঝে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। ব্রাজিলের জীবন্ত গরু ও মাংস খাতে বাংলাদেশে বিশাল সম্ভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রী জুনে ব্রাজিল সফরের কথা রয়েছে। যদি তিনি ব্রাজিল যান, তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি, তা হয়তো স্বাক্ষর হতে পারে।

পাওলো ফার্নান্দো আরো বলেন, ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।


ব্রাজিল   রাষ্ট্রদূত   ডিক্যাব   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন