ইনসাইড বাংলাদেশ

কেঁচো খুঁড়তে সাপ; ভুয়া পরোয়ানা কাণ্ডে প্রথম আলোর প্রতিবেদক অরূপ রায়!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ১১ মার্চ, ২০২০


Thumbnail

ভুয়া পরোয়ানার চক্করে টানা ৬৮ দিন দেশের এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে কাটাতে হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার আওলাদ হোসেনকে। জানতে পারেন নি, কি তার অপরাধ। একটি ‘মিথ্যা মামলায়’ জামিন না  হতেই নতুন কোন ‘গায়েবী মামলায়’ আবার পরোয়ানা! এভাবে এক জেল থেকে আরেক জেলে।

সীমাহীন হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে শেষ মেষ ‘প্রতিকার চেয়ে’ উচ্চ আদালতের দারস্থ হন আওলাদ হোসেনের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন।

আদালতের সিদ্ধান্তে এ বিষয়ে নিবিড় তদন্ত শুরু করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। বেরিয়ে আসে কেচোঁ খুড়তে সাপ। এই চক্রের সাথে যুক্ত খোদ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সাভারে কর্মরত নিজস্ব প্রতিবেদক অরূপ রায়।

সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পর তাকেও আসামীর করে মামলা দায়ের করা হয় আশুলিয়া থানায়। এদিকে মামলা দায়েরের পর সিআইডি পুলিশ ভুয়া পরোনা কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সুমন নামের একজন আইনজীবী এবং আলমগীর নামে আরেক আসামীকে  গ্রেপ্তার করলে গা ঢাকা দেয় দৈনিক প্রথম আলোর ওই নিজস্ব প্রতিবেদক।

এ ঘটনা জানাজানি হবার পর রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কারণ গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ওই দৈনিকটিতেই ‘ভুয়া পরোয়ানার চক্করে আওলাদ, হাইকোর্টে স্ত্রী’ শিরোনামে প্রথম পাতায় গুরুত্বের সঙ্গে খবরটি প্রকাশিত হয়। তবে তখনো দৈনিকটির শীর্ষ ব্যক্তিদের জানা ছিলো না,এর নেপথ্যে খোদ তাদেরই এক কর্মির যুক্ত থাকার খবর।

দৈনিক প্রথম আলোর সাভারে নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত অরূপ রায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার রাধানগর গ্রামের প্রয়াত উৎপল রায়ের ছেলে। থাকেন ১৪৩/এ সাভার বাজার রোডের উত্তরপাড়ায়।

আগে তিনি দৈনিকটির মানিকগঞ্জে জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব ছিলেন। বিভিন্ন অনিয়মের কারনে পত্রিকাটির তৎকালীণ সাভার প্রতিনিধিকে বাদ দেয়া হলে তার স্থলাভিষিক্ত হন অরূপ রায়। শ্বশুড়বাড়ি সাভারে থাকার সুবাদে সেখানেই জড়িয়ে পড়েন নানা অপরাধী চক্রের সাথে।

কেবল মাত্র বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ওয়ায়েন্টে দিনের পর দিন নিরীহ মানুষকে জেলে পুরে হয়রানীই নয়, তথ্য অধিকার আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা আদায়,আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন জীবনযাপন, চাঁদাবাজী,নারী দিয়ে ফাসাঁনোসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে।

আর এসব অপকর্মে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকাটির সাভার অফিসকেও যুক্ত করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে নির্দেশে সহযোগীসহ অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা করার উদ্দেশে আদালতের নথিপত্র সৃজন করা ও ‘আসল’ বলে তা ব্যবহার করে নিরীহ মানুষকে অন্যায়ভাবে আটক এবং পরস্পরের যোগসাজসে প্রতারণামূলক বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে আশুলিয়া থানায়।

ওই মামলার এজাহারে-ও সুস্পষ্টভাবে পত্রিকাটির সাভারের অফিসকে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

ফৌজদারী দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৬/৪৬৮/৪৭১/৩৪৩/৩৪- ১৮৬০ ধারায় আশুলিয়া থানায় দায়ের করা মামলাটির নম্বর-৪০ তারিখ-১১/০২/২০২০।

মামলার বাদী আশুলিয়া থানার টাকসুর পশ্চিম পাড়ার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আওলাদ হোসেন।

তিনি জানান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে আশুলিয়ার বাইশমাইল এলাকায় প্রায় সাড়ে ১৭ শতাংশ জমি নিয়ে ২০১৪ সাল থেকে সাভারের সৌদি প্রবাসী  দানেশ ঢালীর সঙ্গে আওলাদের বিরোধ চলে আসছিলো। সেই দানেশ ঢালীর সাভারের বাড়ির ভাড়াটিয়া অরূপ রায়। সেই বাড়ির তত্বাবধায়ক আইনজীবি সুমন আর দানেশ ঢালীর দুই ভাগ্নে দেলোয়ার ও জসিম এবং অপর ভাড়াটিয়া ফরহাদ ও হানিফ পরস্পরের যোগসাজসে ভুয়া পরোয়ানা তৈরি করে এভাবে আমাদের হয়রানী করেছেন।

নিজের দু:সহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আওলাদ হোসেন জানান, গত বছরের ৩০ অক্টোবর হঠাৎ তাকে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় জানানো হয় তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে ওয়ারেন্ট এসেছে। কখনো কক্সবাজারে না গিয়েও কিভাবে সেখানে নারী নির্যাতন বা মানবপাচার মামলার আসামী হলেন তা ভেবেও কূল কিনারা পান নি তিনি।

এই মামলায় কারাগার থেকে মুক্তির আগেই তাকে জানানো হয়, বাগেরহাটের একটি আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার আরেকটি ওয়ারেন্ট এসেছে। তাকে নেয়া হয় বাগেরহাটে। সেখানেও প্রমানিত হয় পরোয়ানাটি ভুয়া।

সেখান থেকে মুক্তি পেতে না পেতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় শেরপুর আদালতের একটি ফৌজদারি মামলায়। পাঠানো হয় শেরপুরে।

আওলাদের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন বলেন, এভাবে রাজশাহী ও ঢাকায় পর পর পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুর্বিসহ করে তোলা হয়েছিলো আমাদের জীবন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার মজুমদার প্রথমে এই ভুয়া ওয়ারেন্টগুলো নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন। তার মতে, ‘‘প্রতিটি ওয়ারেন্টেই বিচারকের নাম, ওয়ারেন্টের নম্বর, সিল মোহর, ডেসপাস নম্বর সবই আছে৷ আর এই ওয়ারেন্ট যখন থানায় যায় তখন কারো বোঝার উপায় থাকে না যে, আসল না ভুয়া৷’’

এভাবে ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার আওলাদ হোসেনকে টানা ৬৮ দিন এক জেল থেকে আরেক জেলে আটকে রাখার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রীট করা হয়।

বেআইনিভাবে আওলাদকে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিতে হাইকোর্টে হাজির করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রিট করেছিলেন আওলাদের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন।

পরদিন ১০ ডিসেম্বর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার আওলাদ হোসেনকে ভুয়া ওয়ারেন্টে জড়ানোর ঘটনা তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

 বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে  রুলসহ এ আদেশ দেন।

এই প্রেক্ষিতে ভুয়া ওয়ারেন্ট কোথা থেকে ইস্যু হয় ও কারা ইস্যু করে তা খুঁজে বের করতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

কমিটির সদস্যরা হলেন- সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা, অতিরিক্ত এস এস পি ফারুক আহমেদ, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক ও পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়,অরূপ রায়ের সহযোগিতায় মামলার অপর আসামীরা পরস্পরের যোগসাজসে বিভিন্ন আদালতের বিচারকদের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ওয়ারেন্ট বের করে আওলাদ হোসেনকে দিনের পর দিন আটকে রেখেছে।

পাশাপাশি এই জালিয়াতি কান্ডে স্থান হিসেবে মামলায় উঠে আসে দৈনিকটির সাভার অফিসকে ব্যবহারের বিষয়টি। 

 ওই মামলায় সুমন নামে একজন আইনজীবী এবং আলমগীর নামে অরূপ রায়ের এক সহযোগিকে সিআইডি গ্রেপ্তার করলে গা ঢাকা দেয় অরূপ রায়।

যোগাযোগ করা হলে সিআইডির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিচারের স্বাক্ষর জালিয়াতি কান্ডে অরূপ রায়ের সম্পৃক্তার প্রমান পাওয়া গেছে।অন্যান্য আসামীরাও তার নাম বলেছেন। এ ছাড়াও তার কল লিস্ট পর্যালোচনা করে তার নিবিড় সম্পৃক্ততার প্রমান মিলেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে এর আগেও ঢাকা ও মানিকগঞ্জে চাঁদাবাজীর অভিযোগসহ নানা অভিযোগে অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়।তবে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ওয়ারেন্টে নিরীহ মানুষকে দিনের পর দিন আটকে রাখার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততায় বিস্মিত অনেকেই।

যোগাযোগ করা হলে, অরূপ রায়ের নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও মানিকগঞ্জ জেলা  জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি,সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী আবদুল মজিদ ওরফে ফটো বলেন,আমার বয়স ৭৩।দুই বার বারের সভাপতি ছিলাম। অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে কিছু বলতে চাই না।রুচি নেই।নিজেকে যিনি সৎ সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন, তিনি কি করে এ ধরনের ঘটনায় সম্পৃক্ত হতে পারেন তা বোধগম্য নয়।

সূত্রমতে,২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি মানিকগঞ্জের ৪ নম্বর বিচারিক আদালতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাইদুজ্জামান অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন।

 অভিযোগ করা হয়, সাটুরিয়ার পৌলসুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণকাজ চলাকালে প্রথম আলোর প্রতিবেদক অরূপ রায় ভবন নির্মাণস্থলে গিয়ে তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর আগের বছরের ৫ ডিসেম্বর সাটুরিয়া উপজেলার কাউন্নারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে  পুনরায় তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে অরূপ রায় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশসহ মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন।

 সাভার মডেল থানার একটি সূত্র জানায়,অরূপ রায়ের যাবতীয় কপকর্মের অন্যতম সহযোগী সাভারের ইয়াবা কারবারী আব্দুস সালাম রুবেল।তার মাধ্যমেই শীর্ষ দৈনিকটির পরিচয় দিয়ে  নিরীহ মানুষদের ব্ল্যাক মেইল করে ফাঁসানো ও ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের কাজ করে আসছিলো অরূপ রায়।

সাভারে একটি মার্কেটের দারোয়ান থেকে যুবদল হয়ে অরূপ রায়ের সহযোগী হিসেবে নাম লেখানো কুখ্যাত ইয়াবার সম্রাট আব্দুস সালাম রুবেলের ইয়াবা সেবনের একটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

সেই রুবেল সম্প্রতি চাঁদাবাজীর মামলায় গ্রেপ্তার হলে তাকে জামিনে বের করে আনেন অরূপ রায়। ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেবার একটি ছবিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

অরূপ রায়কে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন সাভার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন সরকার।

এর আগে তিনি অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে।মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

অরূপ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলবেন না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail শেরপুর প্রিমিয়ারি ক্রিকেট লীগের উদ্ভোধনী ম্যাচে খেলোয়ারদের সঙ্গে করমর্দন করছেন জেলা প্রশাশক

শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন করেন।

 

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তাদিরুল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, জেলা ক্রীড়া অফিসার ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

 

উদ্বোধনী খেলায় সবুজসেনা স্পোর্টিং ক্লাব সাইকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।  ক্রিকেট লীগে মোট ৫ টি দল অংশগ্রহণ করছে। 


শেরপুর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ   শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র গরমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানোর জন্য আমরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা এ সংক্রান্ত নোটিশ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে।

তিনি জানান, শিক্ষার্থী সুরক্ষা ও অভিভাবকদের দাবির কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানায়, তীব্র তাপদাহে শিশু কিশোরদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক স্কুলের ছুটি ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে। এ সময় সরকারি স্কুল, শিশুকল্যাণ ও টাস্ট্রের স্কুলগুলো ও উপানুষ্ঠাানিক শিক্ষা ব্যুরো স্কুল ছুটি থাকবে।

এর আগে সকালে এক বিবৃতিতে আপাতত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এতে জানানো হয়, দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটি বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ- মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।


তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে নিহত নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে কবর জিয়ারত করলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে যান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এসময় নিহতের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং ঘটনায় জরিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ফরিদপুরের  জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক,  সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ,  মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিক,  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এলাকার গণ্যমান্য।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেয়া সন্দেহে বিদ্যালয়ের নির্মাণ শ্রমিকদের ওপরে হামলা চালায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এসময় তাদের গণপিটুনিতে দুই ভাই নিহত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ সদস্যসহ আহত হন ৭ জন। পরে ফরিদপুর জেলা পুলিশ এবং রাজবাড়ি জেলার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একটানা এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন যে উপায়ে

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এয়ার কন্ডিশনিং (এসি)। কিন্তু এসি চালানোর কারণে বিদ্যুতের বিলও অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। আজ জেনে নিন এমন কিছু উপায় যাতে এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন অনেকটাই।

অনেকেই মনে করেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এসি চালালে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। এর ফলে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাতে পারে বিদ্যুৎ বিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর ক্ষেত্রে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে অনেকটাই।

এসিতে ফিল্টার থাকে যা ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। যদি এই ফিল্টারটি নোংরা হয়ে যায় তবে এসিকে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে অনেকটাই বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতি মাসে ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং বছরে অন্তত ১-২ বার এসি সার্ভিসিং করুন। এর ফলে বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল।

এসি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘর থেকে যেন ঠান্ডা বাতাস বের না হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। আপনি দরজায় একটি ক্লোজার ইনস্টলও করতে পারেন যাতে দরজা খোলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যাতে আপনার ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। এতে আপনাকে একটানা এসি চালাতে হবে না এবং আপনার বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।

ফ্যান রুমে বাতাসের সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ঘরের সর্বত্র শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। এসি চালুর আগে টেবিল ফ্যান চালিয়ে কিছু সময় ঘর ঠান্ডা করুন এরপর আপনি এসি চালু করতে পারেন। এর ফলে এসি সহজেই কম সময়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে, আপনি রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার সেট করতে পারেন, যার ফলে ১.২ ঘণ্টা পরে এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সারা রাত এসি চলবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সারাদিন একটানা এসি চালাবেন না, বরং একটি টাইমার সেট করুন।


এসি   বিদ্যুৎ   বিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে মেলায় চলছে জুয়ার আসর

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে মেলায় প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর

জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিব পূজা উপলক্ষে চলা শত বছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনা-পাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।

 

মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন।

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।’


জুয়ার আসর   নীলকন্ঠ শিব পূজা   মাদক বিক্রি ও সেবন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন