নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৯ এএম, ১০ জুলাই, ২০১৭
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে (সোশ্যাল মিডিয়া) প্রচারণার প্রধান হস্ত হিসেবে ব্যবহার করবে। আর এতে নেতৃত্ব দেবেন সজীব ওয়াজেদ জয়। জয়ের নেতৃত্বে এই প্রচারণার একটি রূপ পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এজন্য বেশ জোরেশোরেই প্রচারণায় নামছে ক্ষমতাসীন দলটি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবার নামছেন তরুণ ভোটারদের নির্বাচনে উৎসাহিত করার কাজে। তবে কৌশলটা সচরাচর কৌশল থেকে পুরো ভিন্ন। এবার আওয়ামী লীগের ভোট ক্যাম্পেইন হবে ’সোশ্যাল মিডিয়া’ কেন্দ্রিক।
বর্তমান তরুণ সমাজ গতানুগতিক সংবাদমাধ্যম বা টিভি মাধ্যমে যতটা না সম্পৃক্ত তার থেকে বেশি তাদের আগ্রহ ইন্টারনেটে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই সাইট, ওই সাইট নিয়ে তাদের আগ্রহের শেষ নেই। তার উপর সবচেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়ার ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, ইউটিউব, ইমেইল, গুগলপ্লাস, লিংকডইন, স্লাইডশেয়ার, টাম্বলার, স্নাপচাট, ফ্লিকারসহ নানা সাইটে এই তরুণদের অবাধ বিচরণ। আর একেই পুজি করে সামনের একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়াতে অভ্যস্ত করতে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে একাউন্ট করতে বলা হয়েছে সব নেতাকর্মীদের। এসব মাধ্যমে প্রতিদিন একাধিক পোষ্ট দিতেও বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ মনে করে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারলেই তরুণ সমাজের ভোট পাওয়া সম্ভব। আর এজন্য সজীব ওয়াজেদ জয়কে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে তিনি ঢাকায় আসছেন তরুণ ও নতুন ভোটারদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে। তবে প্রচারণাটি রাস্তায় রাস্তায় সভা সমাবেশ করে হবে না। আগস্ট মাস থেকে দেশের সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছোটে ছোট দলে বিভক্ত করে ’ইয়ুথ ক্যাম্প’ করবেন তিনি। এছাড়া, কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটাল প্লানিং এর উপর জোর দিচ্ছেন তিনি। এই কনটেন্টগুলো নেতাকর্মীদের সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণার জন্য দেওয়া হবে।
তরুণদের শক্তিতে বিশ্বাসী হওয়ায় তিনি সবসময় এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। তাই তিনি তরুণদের বোঝাতে শুরু চান যে, রাজনীতি কোনো একক ব্যক্তি কিংবা দলের জন্য নয়, রাজনীতি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যই।
পলিসি থিংক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর চেয়ারম্যান হিসেবে তরুণদের দেশ পরিচালনায় সম্পৃক্ত করতে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন যার মধ্যে আছে ’লেটস টক’ এবং ’পলিসি ক্যাফে’। ২০১৫ সালে তিনি ‘ইয়ং বাংলা’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মনে করেন, আজকের এই তরুণরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক। তারাই পারবে উন্নত বিশ্বের কাতারে বাংলাদেশের নাম সমুজ্জল করতে। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে তরুণদের নিয়ে আওয়ামী লীগের এই নতুন নির্বাচনী প্রস্তুতি আনছেন জয়।
বাংলা ইনসাইডার/টিআর
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
প্রধানমন্ত্রী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এ সফর করবেন। সফরকালে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি আগ্রহপত্র সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিন স্বাগত জানাবেন এবং তাকে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে সোমবার তার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর।’
তিনি বলেন, এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।
সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।
আগামী শুক্রবার থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরা-লংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাচাও-উহুয়া এবং রানী সুধিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।