ইনসাইড বাংলাদেশ

বিরক্ত খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২০


Thumbnail

বিকেল ৪ টা ১৮ মিনিটে বিএসএমএমইউ থেকে বের হলেন খালেদা জিয়া। তিনি তার ভাইয়ের গাড়ীতে উঠেন। তার ভাই সাঈদ ইস্কান্দারই গাড়ীর ড্রাইভার ছিলেন। এ সময় কোন নেতাকর্মী সঙ্গে ছিলেন না। মির্জা ফখরুল ইসলাম এ সময় সবাইকে সরানোর কাজ করছিলেন। এ সময় নেতাকর্মীরা তার গাড়ি ঘিরে ধরে। অনেক চেষ্টার পর তিনি বের হতে পেরেছেন। খালেদা জিয়া গাড়িতে ঢুকে কোন কথাও বলছিলেন না। এমনকি তিনি যে হাত নাড়িয়ে নেতাকর্মীদের অভিবাধন গ্রহণ করেন, সেটাও আজ করেননি। তার চোখে মুখে তখন বিরক্তির ছাপই দেখা গেছে।

সরকারের দেওয়া শর্তের ভিত্তিতে মুক্তি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার (২৫ মার্চ) আড়াইটার দিকে বিএসএমএমইউতে কারা কর্মকর্তা চিঠি নিয়ে যান। পরে তিনি মুক্তি পান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বেলা তিনটা পাঁচ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি দেওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা এবং বিএনপির মহাসচিব তাকে গ্রহণ করেন। বিএনপি মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা এসময় মাইক নিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনারা চলে যান। বাধ্য করবেন না অন্য ব্যবস্থা নিতে। এ সময় ঘার ধাক্কা দিতেও দেখা যায় মহাসচিবকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ উদ্যোগে মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া। নির্বাহী আদেশে তিনি ছয় মাসের জন্য মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। বিএনপি দফায় দফায় ব্যর্থ হয়েছেন তাকে মুক্ত করার। এরপর সরকারের সঙ্গে নানা দেন দরবার করলেও মুক্তি মেলেননি খালেদা জিয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেন সেই ঘোষণার আগে নেতারা কিছুই জানতেন না। সবাই চমকে গিয়েছে। সরকার পুরো আইনী প্রকিয়াতেই মুক্তি দিচ্ছেন খালেদা জিয়াকে। মানবিক দিক বিবেচনায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে তাকে। তিনি বাসায় বসে চিকিৎসা করবেন ও বিদেশ যেতে পারবেন না।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বের হওয়ার আগে কয়েকটি ব্যাগে তার ব্যবহার করা জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়েছেন পরিবারের সঙ্গে আসা গৃহকর্মীরা। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখান থেকে গত বছর ১ এপ্রিল তাকে নিয়ে আসা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। দীর্ঘ ২ বছর ১ মাস ১৬ দিন পর আবার সেই ফিরোজায় উঠতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

২ বছর ১ মাস পর আবার সেই বাড়িতেই উঠতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এতদিন ওই বাড়িতে গৃহকর্মী ছাড়া আর কেউ বসবাস করেননি। তবে তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান সিঁথি মাঝে মধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় এলে উঠতেন ওই বাড়িতে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে (করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট) সরকার তার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত থাকবে। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন শর্তে এই সাজা স্থগিত থাকবে।

আইন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত সুপারিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে সেখানে বিএনপি প্রধানের কারামুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। সর্বশেষ তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যায়। ফাইলে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেয়ায় মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

পরে কারান্তরীণ অবস্থায়ই চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেয়া হয়। সবশেষ গত বছরের ১ এপ্রিল তাকে তৃতীয় দফায় হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন।

মামলা দু’টি ষড়যন্ত্রমূলক বলার পাশাপাশি বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এক্ষেত্রে তারা আদালতেও আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বরাবরই বিফল হতে হয়েছে বিএনপির নেতৃত্বকে।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ সভা


Thumbnail সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক সুরােইয়া জাহান

লক্ষ্মীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, জেপি দেওয়ান, সম্রাট খিসা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ইসলাম।

এসময় বক্তারা বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের সব নাগরিকের টেকসই ভবিষ্যৎ আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ইচ্ছা ও তার দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ।


সর্বজনীন পেনশন স্কিম   আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত   অবহিতকরণ সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা, ৭ বছর পর রহস্য উন্মোচন

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জে ৭ বছর পর গ্রেপ্তার ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ২ আসামী

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার ৭ বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআিই)। মাত্র ৭ হাজার টাকার চুক্তিতে বন্ধুদের কাছে মামাতো বোন সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য তুলে দেন ফুফাতো ভাই ছাব্বির। পরে বন্ধুদের সাথে নিজেও ধর্ষণ করে হত্যা করে মামাতো বোনকে।

 

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় শিশু সুবর্ণাকে (৭) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য সাত বছর পর উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই আসামি শিশুর ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে।'

 

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

 

পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাই স্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশাসহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। তারা শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বির হোসেনকে ৭ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছাব্বির হোসেন শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে সে সহ সবাই মিলে দলবেধে ধর্ষণ করে শিশুটিকে।

 

এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দেবে। তখন ধর্ষণকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং পরনের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে।  

 

পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, শিশু সুবর্ণাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশু সুবর্ণার পড়নের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতিও পাওয়া যায়।  

 

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেনকে (২০) ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দত্তকান্দি থেকে শাকিব খান (২১) নামে এক যুবককে গ্রপ্তার করা হয়। পরে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

 

পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, ফুফাতো ভাই ছাব্বির ৭ হাজার টাকার চুক্তির বিনিময়ে মামাতো বোন শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেও তাকে সেই টাকাও দেয়নি আসামিরা। এছাড়াও ফুফাতো ভাই ছাব্বির অন্যান্যদের সাথে সে নিজেও তার মামাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যা করে। এঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।'


শিশু ধর্ষণ   রহস্য উন্মোচন   ৭ বছর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিলে) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শিমুল হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক শেষে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এ ছাড়া শ্রমশক্তি, বন্দর ব্যবস্থাপনা উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


কাতার   বাংলাদেশ   ৫ চুক্তি   ৫ সমঝোতা   স্মারক   সই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইবিতে গণরুমে র‌্যাগিয়ের সত্যতা মিলেছে, সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ


Thumbnail লালন শাহ হল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রকে র‌্যাগিং, বিবস্ত্র করে কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও রড দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে।

এ ঘটনায় প্রশাসন ও হল প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উভয় কমিটি অভিযুক্ত ৩ শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের নির্যাতনের মাত্রা বেশি ছিল। যার ফলে তাদের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম জড়িত থাকা এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।

এঘটনায় গুরুতর অভিযুক্ত দুইজন হলেন, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন নামেও একজন জড়িত ছিল। তারা সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‌্যাগিং করা হয়। এসময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা।

এদিকে ওই কক্ষে প্রায়ই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাতকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানিয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের গঠিত কমিটির ১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করা হয়েছে।

হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন হল প্রভোস্ট বরাবর জমা দিয়েছি। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে।’

লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধি অনুযায়ী তাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘আমরা ঈদের আগেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি।’


ইবি   র‌্যাগিং   গণরুম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী (১৪) কে ধর্ষণের ঘটনায় শিপন (১৯) ও মানিক শুভ (২০) নামে ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ওই ২ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে প্রেমিকের হাতেই নির্যাতনের শিকার হয় ওই কিশোরী।

 

গ্রেপ্তার শিপন উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর নেয়ামত গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও শুভ একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। ভিকটিম স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। 

 

পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছাত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত শিপনের পরিচয় হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে শিপন তাকে মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে নিয়ে যায়। পরে বিয়ের আশ্বাসে পাশ্ববর্তী একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে শিপন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এসময় অভিযুক্ত শুভ ধর্ষণে সহযোগিতা করে।

 

পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শিপন ও শুভ পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে রামগতি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরদিন ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিপন ও শুভ'র নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই দিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। 


রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান ওসি।


স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ   ভিকটিম উদ্ধার   আদালত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন