নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ০৫ এপ্রিল, ২০২০
সরকার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যে পদক্ষেপ এবং ব্যবস্থাগুলো নিয়েছে, দৃশ্যত সেই ব্যবস্থাগুলো অচল হয়ে গেছে, সেই ব্যবস্থাগুলো কার্যকর হচ্ছে না। বরং করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার বড় ধরণের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর বড় বড় রাষ্ট্রগুলো যেখানে লক ডাউন হয়ে গিয়েছিল, অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো কারফিউ জারি করেছিলে সেখানে বাংলাদেশ এই দুটির কোন পথে না যেয়ে গণতান্ত্রিক সহনশীলতা এবং শিষ্টাচারের একটি নজির স্থাপন করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। এই দুই দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদে যদি আমরা সবাই ঘরে থাকতাম,আমরা যদি নিজেদেরকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন রাখতাম- তাহলে অবশ্যই আমরা করোনা মোকাবেলা করতে পারতাম। কিন্তু দেখা গেছে যে সরকারের সমন্বয়হীনতা এবং নানা ধরণের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশে করোনার ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। আমরা যদি একটু দেখে নেই যে, কি কি ধরণের ভুল সিদ্ধান্ত এবং সমন্বয়হীনতা ঘটেছে-
প্রথমত, মন্ত্রী পরিষদ ২৪শে মার্চ ঘোষণা করলেন যে ২৬ শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি কার্যকর হবে। সাথে সাথেই গণপরিবহনগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু গণপরিবহনগুলো বন্ধ করা হলো ১ দিন পর ২৫ শে মার্চ। ২৪শে মার্চ রাত থেকেই মানুষ গ্রামে চলে যাওয়া শুরু করলো, গণপরিবহনগুলো বাসে, ট্রেনে এবং লঞ্চে উপচে পড়া ভির করোনা সংক্রমণের শঙ্কা তৈরি করলো।
দ্বিতীয়ত, সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর সবকিছু যদি বন্ধ করে দেয়া হতো এবং মানুষের বাইরে না যেতে পারা নিশ্চিত করা যেত তাহলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকতো। কিন্তু দেখা গেল যে, সাধারণ ছুটি একটি বনভোজনের আমেজ সৃষ্টি করে দিয়েছে। লোকজন বাজার-হাট করছেন, একজন আরেকজনের বাসায় যাচ্ছে এবং সাধারণ ছুটির প্রথম ৩ দিন- ২৬, ২৭ এবং ২৮ মার্চ মানুয়াহ মোটামুটি ঘরে থাকলেও ২৯ শে মার্চ থেকে মানুষ আবারও বেরিয়ে যাওয়া শুরু করে। বাজারে-হাটে, অলিতে-গলিতে আবারও মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ফলে যে উদ্দেশ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য ব্যহত হয়।
তৃতীয়ত, গরীব-দুঃস্থদের মাঝে সাহায্য করার যে উদারতা সেই উদারতা বিপর্যয় ডেকে আনে। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যক্তিরা গরীব মানুষদের সাহায্যের নামে লোক জড়ো করেন। এমনকি ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণের মেয়র, বিভিন্ন এমপিরাও প্রথম দুই-তিনদিন গরীব অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। এই বিতরণ-ও একটি বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
সবশেষ বাণিজ্য মন্ত্রী বৈঠক করে যে গার্মেন্টস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, এই সিদ্ধান্তের পরপরই বিভিন্ন কারখানাগুলো খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে গতকাল মানুষ গ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরার একটি প্রাণান্ত চেষ্টায় মেতে ওঠে এবং এর মাধ্যমে যে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা তা কেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রশ্ন যে, আমরা যদি ১৪ দিন জনস্বাস্থ্য আর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ঘরে থাকতাম এবং আমাদের ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হতো তাহলে এমন কি প্রলয় হতো? এর ফলে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারতাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজ অনেকগুলো প্রণোদনা দিয়েছেন এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, আমাদের অর্থনীতিতে যে ক্ষত হবে সেই ক্ষত পুষিয়ে নিতে সম্মলিতভাবে কাজ করবো। কাজেই আমরা যদি ১৪ দিন ঘরে থাকতাম তাহলে সেটা হয়তো দীর্ঘমেয়াদি দেশের জন্যই মঙ্গলজনক হতো। এখন প্রশ্ন হলো যে, এই আধা বন্ধ এবং আধা চলাফেরার কারণে যে ঝুঁকি সৃষ্টি হলো, সেই ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সেই পদক্ষেপের উপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে।
মন্তব্য করুন
বান্দরবানের রুমায় সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের
(কেএনএফ) হাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি করা
হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধার হওয়ার পর বান্দরবানের রুমা শাখা থেকে বিশেষ বিবেচনায়
তাকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বান্দরবানের রুমা শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নারায়ন
দাশকে শাখাটির ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী
ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রীতি কুসুম চাকমার সই করা এক নোটিশে তাদের বদলি
করা হয়।
ওই নোটিশ অনুযায়ী, বান্দরবানের রুমা শাখার নেজাম উদ্দীনকে কর্ণফুলী
শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র অফিসার) ও যুগ্ম-জিম্মাদার (সাধারণ) করা হয়েছে। কর্ণফুলী শাখার
ম্যানেজার মু. রেজাউর রহমানকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) চট্টগ্রামের কে. বি বাজার শাখায়
এবং কে. বি বাজার শাখার
ম্যানেজার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) প্রিন্সিপাল অফিস, পটিয়ার
(চট্টগ্রাম) প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে
ডাকাতির চেষ্টা করে পার্বত্য এলাকার সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ। তখন ব্যাংকের ভল্ট খুলতে
না পেরে হামলাকারীরা ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ৪ এপ্রিল তাকে
উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের
অনেক স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি
মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা,
দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ
এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এতকিছুর পরেও কিছুটা ভয় আমাদের আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে
যে পক্ষটি বিরোধিতা করেছে, যারা চেয়েছে, আমরা কখনও স্বাধীন না হই, যারা রবীন্দ্রনাথকে
নিষিদ্ধ করেছিল, নজরুলকে খণ্ডিত করেছিল, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল,
তারা এখনও বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা
দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
দীপু মনি বলেন, এর থেকে উত্তরণে সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন।
সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনে এই জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খণ্ডিত অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে
সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালি
এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খণ্ডিত করার অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি
আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে, তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
পাবনার আমিনপুরের কাজিরহাট ফেরিঘাটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনিবোঝাইসহ
১২ ট্রাক জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় চালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে আটক করা
হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের আটক করা
হয় বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ভারতীয় চিনিবোঝাই
ট্রাকগুলো সিলেটের জয়ন্তপুর সীমান্ত হয়ে ঢুকে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিল। মানিকগঞ্জের আরিচা
ও পাবনার কাজিরহাট ঘাট হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল ডিবি। এসব ট্রাকে অন্তত আড়াই শতাধিক টন চিনি আছে
বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারতীয় চিনিবোঝাই ট্রাকগুলো আরিচা পার হয়ে পাবনার
কাজিরহাট ঘাটে এলে ডিবি পুলিশ আটক করে। এ সময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এরপর এগুলো জব্দ করা হয় এবং ২৩-২৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর আরও বিস্তারিত
তথ্য জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।