ইনসাইড বাংলাদেশ

এখনো সুযোগ আছে বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জ্যামিতিক হারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ যেকোনো সময়ে মহামারীতে প্রবেশ করবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলাদেশের মহামারীতে প্রবেশ একটি সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিমতও রয়েছে। তাদের অনেকেই মনে করছেন যে বাংলাদেশ অনেকগুলো সুযোগ মিস করেছে। সীমিত আকারে করোনাভাইরাসকে রেখে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারতো। কিন্তু সেই সুযোগ বাংলাদেশ হাতছাড়া করেছে নানা কারণে। তবে এখনো বাংলাদেশের সামনে সুযোগ রয়েছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাদের মতে, এরই মধ্যে বাংলাদেশে সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে এবং রোগের বিস্তৃতি হয়েছে। তারপরেও আমরা যদি এখনো চেষ্টা করি তাহলে এই মহামারীর সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের কথা বলে, তাদের মতামত নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদনটি। যেখানে আমরা দেখাতে চাই যে বাংলাদেশের এখনো সুযোগ রয়েছে, এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশকে কি করতে হবে।

প্রথমত, সামাজিক সংক্রমণ বন্ধ করতে হবে। যেকোনো মহামারী ঠেকানোর সবচেয়ে বড় শর্ত হলো কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক সংক্রমণ ঠেকানো। আর এজন্য বাংলাদেশকে এখন সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে সামাজিক সংক্রমণের দিকে। যে সমস্ত এলাকাগুলোতে সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে, সেগুলোকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। অন্তত তিন সপ্তাহ সেই এলাকাগুলোকে আলাদা করে রাখতে হবে। অন্য এলাকার মানুষ যেন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐ এলাকার প্রতিটি মানুষের রক্তপরীক্ষা করা, তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে, তাদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে আরও কিছুদিন কঠোর লকডাউনে যেতে হবে। এরকম ঢিলেঢালা, ছাড়যুক্ত সাধারণ ছুটি নয়, বরং কঠোর বাধ্যতামূলক লকডাউন, এবং প্রয়োজনীয় সবকিছুই বন্ধ করে দিতে হবে। এখনকার সাধারণ ছুটিতে যে সমস্যাগুলো হচ্ছে যে কেউ ব্যাংকের অজুহাতে, কেউ বাজার বা চিকিৎসার অজুহাতে ঘরের বাইরে হচ্ছে। আসলে যে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার প্রয়োজন ছিল, সেটা হচ্ছে না। তাই অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে আরও কিছুদিনের জন্য হলেও বাংলাদেশকে কঠোরভাবে লকডাউন, কারফিউ যে ভাষাই আমরা বলি না কেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে লোকজন কিছুতেই ঘরের বাইরে বেরোতে না পারে।

তৃতীয়ত, করোনা পরীক্ষার পরিধি দ্রুত বাড়াতে হবে। এখন বাংলাদেশে করোনা মহামারী ঠেকাতে হলে দ্রুত পরীক্ষা ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। কারণ যত পরীক্ষা করা হবে তত করোনার ব্যাপ্তি সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো। কাজেই প্রতিটি এলাকায় দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে দ্রুত, সম্ভব হলে আগামী ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে দেশের মধ্যে দ্বৈবচয়ন পরীক্ষা চালানো দরকার। এ পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্রমিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করা দরকার এবং যারা আক্রান্ত তাদেরকে আলাদা করা দরকার। কাজেই পরীক্ষার ব্যাপ্তি যদি আমরা না বাড়াই তাহলে আমরা দীর্ঘমেয়াদী একটা সংকটের দিকে যাবো বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। পরীক্ষার ব্যাপ্তি বাড়াতে পারলে আমরা দ্রুতই মহামারীর ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

চতুর্থত, সংক্রমিত ব্যক্তিদের এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আলাদা করতে হবে। যারা সংক্রমিত হয়েছেন এবং যারা সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে আলাদা করতে হবে। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন নয়, তাদের জন্য আলাদা বিশেষ কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তারা অন্যদের সংক্রমিত করতে না পারে। আমরা দেখেছি যে, উপমহাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইন ফলপ্রসূ নয়। বরং হোম কোয়ারেন্টাইনের চেয়ে যদি সরকারের নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়, সেখানে যদি আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা লোকদের রাখা হয়- সেটি বেশি ফলদায়ক হবে।

পঞ্চমত, স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দীপ্ত করতে হবে। এখনো এই করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে আমাদের সম্মুখ সমরের যোদ্ধা হলেন আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্স সহ হাসপাতালের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এখন পর্যন্ত তাদেরকে আমরা মোটিভেটেড করতে পারিনি, তাদেরকে উদ্দীপিত করতে পারিনি, তাদের জড়তা কাটাতে পারিনি। করোনা মোকাবেলায় পৃথিবীর সবদেশগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীরা যে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেই দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে অনুসরণ করতে হলে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দীপ্ত করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনো ধমক দিয়ে নয়, সমালোচনা করে নয়, বরং তারা ‘ফ্রন্ট রানার’ এই বোধটা তাদের মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে।

এই কাজগুলো যদি আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রুত করতে পারি তাহলে হয়ত আমরা আমাদের শেষ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবো। আমাদের হাতে সময় অনেক কম, এখনই আমাদেরকে শেষ চেষ্টা করতে হবে যেন আমরা করোনা মহামারী ঠেকাতে পারি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের নির্বাচন: বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল থেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন। নানা কারণে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্ব এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। ভারতের গণতন্ত্রের গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে বিশ্বের অনেক কিছুই। 

বাংলাদেশ হল ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ভারত এবং বাংলাদেশের জন্য নয়, উপমহাদেশের ভারসাম্য এবং শান্তি স্থিতিশীলতার জন্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

গত এক যুগে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের রাজনীতিতে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। কংগ্রেসের হাত থেকে বিজেপি ক্ষমতা গ্রহণ করেছে এবং টানা ১০ বছর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। এরকম বাস্তবতায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হয়নি। ভারতের সরকার পরিবর্তন দুই দেশের সম্পর্কের পরিবর্তন আনেনি। বরং কংগ্রেস যেখান থেকে শুরু করেছিল বিজেপি ক্ষমতায় এসে সেখান থেকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গত নির্বাচনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন মাত্রা স্পর্শ করেছিল। আর এই কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এক ধরনের ভারত বিরোধী আবহাওয়ার তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও সাধারণ মানুষ সেই উদ্যোগে তেমন আগ্রহী নন এবং সাড়াও দেননি। 

নানা কারণে ভারতের নির্বাচনের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে এবং বাংলাদেশ ভারতের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে একটি কথা অনস্বীকার্য যে, ভারতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ইন্ডিয়া জোট বা বিজেপি বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন অবস্থানগত পরিবর্তন হবে না। ইতোমধ্যে কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। আর বিজেপি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটাকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখে সেটি প্রমাণিত। ফলে ভারতের নির্বাচনে জয় বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে না। 

তবে যদি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি নির্বাচনে পরাজিত হয়, যদিও সে সম্ভাবনা খুবই কম। তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে। বিশেষ করে বিজেপির বিরুদ্ধে এখন যেমন বিএনপি এবং মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলো একটা অবস্থান নিয়েছে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে হয়তো সেই অবস্থানের পরিবর্তন ঘটবে। কারণ কংগ্রেসের বাংলাদেশ নীতি বিজেপির চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। বিজেপি যেমন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট। তারা আওয়ামী লীগের বাইরে কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না। কংগ্রেসের বিষয়টি একটু ভিন্ন রকম। তারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। বিজেপি যেমন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী এবং উগ্র মৌলবাদীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের অবস্থান অনেকটাই নমনীয়। সবকিছু মিলিয়ে যদি ভারতের ক্ষমতার পালা বদল হয় তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণে কিছুটা হলেও পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেটি কোন মৌলিক পরিবর্তন নয় বলেই মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।


ভারতের নির্বাচন   বাংলাদেশ   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।

আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।

এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমার চেয়ে খারাপ লোক এ জেলায় নাই: প্রাণ ভিক্ষা পাওয়া মেয়রপুত্র

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের নতুন বাজারে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলুর পক্ষে জনসংযোগে এসব কথা বলেন। 

ভুলুর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দাবি, বিপ্লব ওই এলাকায় বহিরাগত। তাঁর এমন উসকানিমূলক বক্তব্যে ভোটের পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। 

তবে বিপ্লবের দাবি, দলীয় নেতা ভুলুর নির্বাচনী গণসংযোগে তিনি ওই এলাকায় যান। তার ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন হামলা করায় তিনি রাগে এ ধরনের কথা বলেছেন।  

এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় তিনি ওই দণ্ড থেকে মুক্ত হন। 

এ দিকে বিপ্লব নিজের ফেসবুক পেজে বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করেন। প্রায় ১১ মিনিটের ওই ভিডিওতে বক্তব্যের একপর্যায়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন। আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না। আমিও মানুষের ভালোবাসার জন্য দুয়ারে দুয়ারে হাটি। জনগণই বড় শক্তি। ভোটের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। আজকের হামলার ঘটনার জন্য একটা কথা বলি। আমি প্রত্যেকদিন এক ঘণ্টা করে এখানে আসব। যতক্ষণ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ না হবে, কথা দিচ্ছি আমি এখান থেকে যাব না। ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবো। আমি দায়িত্ব নিয়েছি, তেওয়ারীগঞ্জ আমি ছাড়ব না। ভোটের দিন পর্যন্ত আমি তেওয়ারীগঞ্জে থাকব। আমি দেখব কে কত বড় সন্ত্রাস হয়েছেন। এটার জবাব ভোটের ব্যালটে দেবো, ইনশাআল্লাহ। যে আচরণ করেছেন তা ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবো।’ 

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী (সাবেক পিপি) নুরুল ইসলামকে লক্ষ্মীপুর শহরের বাসা থেকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। বহুল আলোচিত নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ২০০৩ সালে তাহেরপুত্র বিপ্লবসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। বিপ্লব ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর আবু তাহের তার ছেলে বিপ্লবের প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। ওই বছরের ১৪ জুলাই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তার সাজা মওকুফ করেন। পরের বছর আরও দুটি হত্যা মামলায় (কামাল ও মহসিন হত্যা) বিপ্লবের যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০১২ সালে ফিরোজা হত্যা মামলা থেকেও বিপ্লবের নাম প্রত্যাহার করা হয়। ২০১৪ সালের ১ আগস্ট কারাগারে থেকে বিয়ে করে দেশব্যাপী ফের আলোচনায় আসেন বিপ্লব। অবশেষে ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর তিনি কারামুক্ত হন।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না: সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ব‌লে‌ছেন, দেশের স্বার্থ ও কৌশলগত অর্জনের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধু রাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়ার মতো। কারণ, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।

তিনি বলেন, যেকোন দেশের জাতীয় নীতিই নির্ধারণ করে, কেমন হবে প্রতিরক্ষা কূটনীতি। এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে একা একা সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করা যায়, সেটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিপ্রায় হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে, কিন্তু সক্ষমতা হঠাৎ করে বদলায় না। আজ একজন বন্ধু আছে কিন্তু কাল সে বন্ধু নাও থাকতে পারে। জাতীয় স্বার্থ ও মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর মূল কাজ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। আমরা এটি কখনও ভুলি না। আমরা সব সময় এর জন্য তৈরি।


সেনাবাহিনী প্রধান   এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নৌ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র আল মঈন

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নিজ বাহিনী বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এখনো মঈনের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নতুন কাউকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)  কমান্ডার মঈন দায়িত্ব হস্তান্তর করে চট্টগ্রামে যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক ইমরান খান।

বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার মঈন বলেন, দীর্ঘদিন আইন ও গণমাধ্যম শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় গণমাধ্যমকর্মীরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন; ভালোবাসা দিয়েছেন। এজন্য তিনি সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞ।

জানা যায়, দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা মঈন ২০২১ সালের ২৫ মার্চে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হন। সেসময় তিনি বিদায়ী পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন।

নৌ বাহিনী   র‍্যাব   কমান্ডার খন্দকার আল মঈন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন