ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্যর্থতা ঢেকে দিচ্ছে সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ১৩ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

দিনবদলের অঙ্গীকারের নৌকায় চড়ে সোনালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়ে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করা আওয়ামী লীগ থেকে প্রাপ্তি কম নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাফল্য দেখিয়ে গেছে স্বগৌরবে। সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ করলে বিগত আট বছরের এই সরকারের পাল্লা সফলতায় ভারী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার তার কাজ দিয়ে জনগণের বিশ্বস্ততা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু সরকারের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত বিগত বছরগুলোর অনেক সাফল্যকেই ব্যর্থতার কালো ছায়ায় আড়াল করে দিচ্ছে।

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের দেশ পরিচালনায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও সাংগঠনিকভাবে পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলটি। আর এই সরকারের আমলের শেষ দিকে এসে কেমন যেন হিমশিম খাওয়ার অবস্থা হয়েছে। অনেকটা অগোছালো হয়ে পরেছে আওয়ামী লীগ।

সম্প্রতি হাওরের আগাম বন্যায় ত্রাণ নিয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্নে সম্মুখীন এই সরকার। বারবার পাহাড় ধসের ঘটনায় এতো মানুষ নিহত। তারপরও নেই ব্যবস্থা।

অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা। যানবাহনের স্বল্পতা সঙ্গে রাস্তায় তীব্র যানজট। যানজট নিরাসনে যেই উদ্যোগই নেওয়া হোক না কেন ফলপ্রসূ নেই কিছুতেই। এছাড়া রাস্তাঘাট মেরামতের নামে চলছে দুর্নীতি। রাস্তা কাটা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তা আর মেরামত হচ্ছে না। আর এই বর্ষার মৌসুমে মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এমন রাস্তার কাজ নিয়ে সমালোচিত হলেও তাতেও কোনো আশার আলো দেখছে না জনগণ। এদিকে, বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শহরের ভিতরে গাড়ির বদলে নৌকা চলার মতো অবস্থা। এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানকার মানুষ সারাবছরই থাকে জলামগ্ন অবস্থায়।

কিছুদিন আগে চালের লাগামহীন বৃদ্ধিতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। তার উপর গ্যাসের দামের উর্ধ্বগতিতো রয়েছেই। বিদ্যুতের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। এতে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো পড়ছে সমস্যায়। এছাড়া ২০১৭-১৮ বাজেট নিয়ে নানা বিষয়ে প্রশ্নে সমুক্ষিন হতে হয়েছে সরকারকে।

চার বছর পূর্তির প্রাক্কালে আরেক দফা তেলের দাম বৃদ্ধি মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো অবস্থা হয়েছে। শেষ সময়ে এই জ্বালানি তেলের মূল্যে বৃদ্ধি সরকারকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।

এখন আবার সরকারি ব্যাংকগুলো নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে লুটপাট হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ আর লুটপাটে মরতে বসেছে ব্যাংকগুলো। এছাড়া ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি হওয়ার ঘটনা তো রয়েছেই।

ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রামপাল ইস্যু নিয়ে জনমনে বিতর্কের শেষ নেই।

হেফাজতের দাবি মেনে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন, জয়ী হলো আল্লামা আহমেদ শফির নেতৃত্বাধীন আলেম-ওলামাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক, কওমি মাদ্রাসার সনদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সমমর্যাদায় স্বীকৃতিদান আর সুপ্রিমকোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানোয় এই সরকারের নীতিবোধ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

চার বছর পেরিয়ে সরকারের মেয়াদের প্রায় শেষের দিকে পদার্পণ করলেও তীর থেকে প্রত্যাশার তরী এখনও অনেকটাই দূরে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধান কমেনি। রাজনীতির সামগ্রিক গুণগত পরিবর্তন শূন্যের কোঠায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুতে দেশের শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা ও সমর্থন ব্যক্ত করলেও গত বছরে পদ্মা সেতু দুর্নীতি, হলমার্কসহ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনা সরকারের বিশাল সাফল্যেকে ম্লান করে দিয়েছে। জনসমর্থনেও ধাক্কা লেগেছে।

সরকারের চার বছর মেয়াদ শেষে এই দ্রব্যমূল্য নিয়েই দুশ্চিন্তায় সরকার। বাজার নিয়ন্ত্রণে চার বছর নেয়া হয়েছে অনেক উদ্যোগ। হয়েছে বাজার ও দাম নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কখনও বেঁধে দেয়া হয়েছে নির্ধারিত পণ্যের দাম। আবার কখনও নেয়া হয়েছে বাজার পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত। মন্ত্রিত্বও রদবদল করা হয়েছে। কিন্তু চার বছর বাজার পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটকে। এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিই সরকারের সাফল্যেগুলোকে ম্লান করে দিচ্ছে।

শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, শিক্ষায় পাশের হার বাড়িয়ে বাহ্বা নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষার মান নিম্ন নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এই সরকারের আমলেই, বড়ি-ঘরে জ্বালানী গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছেনা, অপরদিকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, কারিগরি অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটিত দুর্ঘটনায় ধ্বংস হচ্ছে বাড়ি-ঘর এবং মারা যাচ্ছে মানুষ।

মহাজোট সরকারের আরেকটি বড় ব্যর্থতা হচ্ছে দেশব্যাপী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী কিছু দুর্বৃত্তের বেপরোয়া দুর্বৃত্তপনা। চার বছর ধরেই এদের কারণে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে।

বেশ কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীসহ দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে ন্যায় নীতির কথা বললেও এখন আর তার কোনো চিহ্ন নেই বললেই চলে। এখন মহাজোট সরকার আগামী নির্বাচন জেতার লড়াইয়ে উঠে পরে লেগেছে। আর এই লড়াইয়ের মাঝে ভুলতে বসেছে যারা এই সরকারকে নির্বাচিত করবে তাদের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা কত? বিগত কাজগুলো যেভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে তাতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত সব সাফল্যে পানি ফেলে দিয়েছে। অনেকটা তীরে এসে তরী ডুবানোর মত অবস্থা। এ থেকে বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে কি সরকার? নাকি এই অবস্থা তাদের কাছে কোনো মাথাব্যাথাই নয়?


বাংলা ইনসাইডার/টিআর




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় চীন

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চীনা রাষ্ট্রদূত গতকাল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পাট এবং বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে চীনের কোন বিনিয়োগ নেই। এমনকী চীনের এ ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহের কথাও জানা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে পাট পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। 

শুধু তাই নয়, অন্যান্য পণ্য বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার ব্যাপারেও চীনা রাষ্ট্রদূত আগ্রহ দেখিয়েছেন। হঠাৎ করে পাট কেনায় চীনের আগ্রহ হল কেন—এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটার আগ্রহ দেখিয়ে আসলে চীন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাইছেন এবং তাদের চীনের প্রতি মনোভাব জানার জন্য চেষ্টা করছেন। এটি আসলে কেনাকাটার বৈঠক নয়, বরং রাজনৈতিক বৈঠক। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্কের কথা শোনা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভারতের একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসেছেন, যেখানে আওয়ামী লীগের আরও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ গেছে। পঁচাত্তরের পরে যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ভারত দীর্ঘদিন গভীর সম্পর্ক রেখে চলেছেন, তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক অন্যতম। আর এই কারণেই জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত—এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে চীনের আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের রাষ্ট্রদূত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। এই অঞ্চলকে ঘিরে চীনের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই উপমহাদেশে চীনের কর্তৃত্ব এবং প্রভাব বেড়েছে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপে চীন এখন ভারতকে প্রায় হটিয়ে দিয়েছে। 

বাংলাদেশের ব্যাপারে চীনের আগ্রহ দীর্ঘদিনের। কিন্তু বাংলাদেশে চীন অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিলেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। এর অন্যতম কারণ হল যে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি, সোজাসাপটা পররাষ্ট্র নীতি এবং কৌশল। আওয়ামী লীগ ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’—এই নীতিতে বিশ্বাস করে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ চীনের সঙ্গে যেমন সম্পর্ক রাখছে, ঠিক তেমনই একইভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। চীনের সঙ্গে যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি ভারতের সাথে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা এক আবেগ এবং অনুভূতির সম্পর্ক রয়েছে। দুটি সম্পর্ক আলাদা আলাদা এবং ভিন্ন। দুটি সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশ এই ধারাটিকে অব্যাহত রাখছে। তবে চীন এখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে মনোযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, চীন এখন বেছে বেছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে নানা রকম ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগের টোপ দিচ্ছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে চাইছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে ভারত বিরোধী স্লোগান এবং ভারত বিরোধী উচ্চারণ তার পিছনেও চীনের একটা হাত রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। আর এ সমস্ত কারণে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাকে একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ   চীন   চীনা রাষ্ট্রদূত   জাহাঙ্গীর কবির নানক   বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে কারখানায় আগুন

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের বায়েজিদে একটি জুতার সোল তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে বায়েজিদের একটি জুতা সোল তৈরি কারখানায় আগুনের সংবাদ পাই। এরপর ওই স্থানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। 

চট্টগ্রাম   কারখানায় আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনের টিকিট কিনতে এক ঘণ্টায় ২ কোটি হিট

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ দিনের মতো অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। এদিন বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে রেকর্ড ১ কোটি ৩০ লাখ বার টিকিট কাটার জন্য ওয়েবসাইটে চেষ্টা (হিট) চালানো হয়েছে। প্রথম ১ ঘণ্টায় ২ কোটির মতো হিট হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য) ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।

বেলা ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের টিকিট বিক্রি হবে। এ অঞ্চলের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৬ হাজার ৬৯৬টি।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এদিন পূর্বাঞ্চলের টিকিটের চাহিদাও খুব বেশি থাকবে। আগামীকাল সর্বশেষ দিন ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ট্রেনের টিকিট   অগ্রিম টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিএসএমএমইউ'র নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি। মোনাজাত শেষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডীন  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক ও বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক দীন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে, নেচেগেয়ে, ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক   বিএসএমএমইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ভুটানের মহামহিম রাজার সফরসঙ্গী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখান এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়।

পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ভুটান সফর শেষে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

রাজার ভুটান   ভুটান   তথ্য প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন