নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০১৭
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি বেড়েই চলছে। আর পানির বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগব্যাধি। বন্যায় ত্রাণে কিছুটা চিড়া, চাল, ডালসহ কিছু খাবার থাকলেও ওষুধের দেখাই পাওয়া যায়না।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি যা দেখা যায়, তা হলো ডায়েরিয়া। তবে অনেক এলাকায় যৎসামান্য ত্রাণ গেলেও সেখানে স্যালাইনের দেখা পাওয়া যায় না। বন্যায় আরও দেখা যায়, জ্বর, নিউমোনিয়া, পেটের পীড়া ও চর্মরোগের মত রোগ ব্যাধি। এসব রোগের ওষুধ নেই ত্রাণের থলিতে, তাই স্বভাবতই রোগে ভুগে কষ্ট করছেন বন্যার্তরা।
জানা গেছে, বন্যায় রোগ ব্যাধির অন্যতম কারণ বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। আর রান্না ঘর ডুবে যাওয়া, জ্বালানি কাঠ ও লাকড়ির সংকটে নিত্যপ্রয়োজনীয় রান্না ও পানি ফোটানোর পর্যাপ্ত সুযোগও পাচ্ছেন না বন্যার্তরা। তাই খাবার পানি বিশুদ্ধ করার জন্য এ সময় প্রয়োজন বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকার বন্যার্তদের মধ্যে এই পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে, তবে চাহিদার তুলনায় এটি খুবই অপ্রতুল। বন্যায় মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সবচেয়ে বেশি কর্মচঞ্চল থাকার কথা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু এসব নিয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট এই মন্ত্রণালয়গুলোর। বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে এখন সবচেয়ে বেশি দরকার ডাক্তার। কিন্তু এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল টিম কোথায়? বন্যায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে কয়টা হাসপাতালকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়?
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওরের মৌলভীবাজার অংশের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা তিনটি উপজেলার মধ্যে দুটিতে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু এই দুটি হাসপাতালেও ডাক্তার, ওষুধ ও লোকবলসহ নানা সংকট ও সমস্যা রয়েছে। আর যা আছে তারও সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। বন্যার পর হাসপাতালে নেওয়া রোগীদের স্বজনরা গণমাধ্যমে এসব অভিযোগ করেন।
এছাড়া বন্যা উপদ্রুত কয়েকটি জেলায় ৩ থেকে ৫ দিনেও সরকারি ত্রাণের দেখা পাননি। যেখানে পৌঁছেছে, সেখানেও চাহিদার তুলনায় পরিমাণ অপ্রতুল।
ত্রাণের কোনো ঘাটতি নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। গণমাধ্যমকে তিনি দাবি করেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ রয়েছে। তবে উপদ্রুত অঞ্চল পর্যন্ত ত্রাণ পৌঁছানোয় সমস্যা কোথায়?
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দেশে বন্যা অথবা অন্য কোনো বড় দুর্যোগ হলেই প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব পড়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ওপর। কিন্তু ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একার কতটুকু সামর্থ্য আছে? ত্রাণ মন্ত্রণালযের সঙ্গে সর্ম্পকিত রয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পরিসংখ্যান ব্যুারোসহ ১৮টি মন্ত্রণালয়। কয়টা মন্ত্রণালয় বন্যার সময় ঠিকমত সেবা প্রদান করে? দায় কি শুধুই একা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের?
বন্যার্ত এলাকার পানির হাহাকার শুনে এগিয়ে আসার কথা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। অথচ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপস্থিতি শুধু সরকারি ওয়েবসাইট আর গৎবাঁধা কাজে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ।
এদিকে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, কিছু এলাকা থেকে বন্যার পানি কমলেও এখনো দেশের ১৩ জেলার ৪৫টি উপজেলায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কুশিয়ারা, ধরলা, ঘাটসহ ৮ নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যায় কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর, আবার কোথাও বুক ছুঁই ছুঁই পানি। শুধু সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলাই প্লাবিত হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/আরএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।