নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০১৭
দেশের ৩৫ ভাগ মানুষ আগামী নির্বাচনে কোন দলকে ভোট দেবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয় নি। ৩৫ ভাগ মানুষ আবার আওয়ামী লীগকেই ভোট দিতে চায়। ৩০ ভাগ মানুষ বিএনপি বা অন্য কোনো দলকে ভোট দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল রিসাচ সেন্টারের (ইপিআরসি) এক জরিপে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
দেশের আটটি বিভাগের চার হাজার বৈধ ভোটারের ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য প্রস্তুত এই জরিপের এখন তথ্য বিশ্লেষণের কাজ চলছে।
দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ এর নির্বাচনের তুলনায় আওয়ামী লীগের ভোট কমেছে ৬ শতাংশ আর বিএনপির ভোট বেড়েছে এক শতাংশ। তবে নির্বাচনের ফলাফল সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে সিদ্ধান্ত না নেওয়া ভোটারদের ওপর। জরিপে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, সিদ্ধান্তহীন ভোটাররা ভোটের আগে সিদ্ধান্ত নেবেন। এমনকি অনেকে ভোট কেন্দ্রে যেয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।
যারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে, তারা কেন দেবে জানতে চাইলে, শতকরা ৮০ ভাগ বলেছেন শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাসের জন্যই তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। ৬২ ভাগ বলেছেন, তারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। অন্যদিকে, যারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন না তাঁদের ৩৮ শতাংশ বলেছেন দুর্নীতির জন্য তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন না। ৪১ শতাংশ বলেছেন, আওয়ামী লীগের এমপিরা যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি। ২৯ ভাগ উত্তরদাতা ছাত্রলীগ যুবলীগের অত্যাচারের কারণে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপিকে যারা ভোট দেবেন তাঁদের ৮১ শতাংশই বলেছেন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চান না জন্যই তারা বিএনপিকে ভোট দেবেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।