নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০১৭
বিএনপির রাজনীতি, ভবিষ্যৎ নির্বাচন এবং দলের রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে এক ধরনের বোঝাপড়া করতে লন্ডন যাচ্ছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার রাতে এমিরেটস এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডনের পথে ঢাকা ছাড়বেন। কোরবানীর ঈদের পর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রায় দুই মাসের এ সফরে তার ব্যক্তিগত স্টাফ ছাড়াও তারেক রহমানের সামনে কথা বলতে পারেন এমন একাধিক নেতাকে তার সঙ্গী করছেন। এর মধ্যে একজন ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, চট্রগ্রামের আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নাম জানা গেছে। তবে কৌশলগত কারণে তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়ছেন না। কেউ থাইল্যান্ড হয়ে আবার কেউ সিঙ্গাপুর হয়ে লন্ডন যাবেন।
জানা গেছে, দেশে না থাকলেও দলের নীতি নির্ধারণী অনেক সিদ্ধান্ত লন্ডনে বসেই করে ফেলেন তারেক রহমান। এমনকি অনেক সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ জেলা কিংবা মহানগর কমিটি বেগম খালেদা জিয়ার অজ্ঞাতসারেই অনুমোদন হয়ে যায়। গত দুই মাসে ঢাকা মহানগরীর এ ধরনের দুটি কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষুদ্ধ হন বেগম খালেদা জিয়া। ডেকে পাঠান সংশ্লিষ্ট নেতাদের। জানতে চান কার নির্দেশে এ দুটি কমিটি গঠন করে প্রেস রিলিজ পাঠানো হলো। জবাবে সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, তারেক রহমান ইমেইলে এসব কমিটি অনুমোদন করে পাঠিয়েছেন। এরপর বিএনপি কার্যালয় থেকেই তা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিয়ে খালেদা জিয়া ক্ষুদ্ধ আচরণ করলেও শেষ পর্যন্ত ওই কমিটি বাতিল হয়নি।
এর বাইরে চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় ইস্যুতে খালেদা জিয়া কর্মসূচি দিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সূত্র মতে, দলের বেশীরভাগ নেতা চাইলেও তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের কারণেই শেষ পর্যন্ত তা করা যায়নি। এসব নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে বেশ কিছু ইস্যুতে প্রকাশ্য মতভেদ দেখা দেয়। দল পরিচালনার চেয়ে তারেক রহমানকে সামলানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে খালেদা জিয়ার জন্য। কারণ বিএনপিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ একটি গ্রুপ সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলেন। এরা সকলেই তারেক জিয়ার অনুগত হিসেবে পরিচিত। দলের এ বিশৃংখল পরিস্থিতি সামলাতেই খালেদা জিয়া ছেলের মুখোমুখি হয়ে বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতে চান। আর এজন্য লন্ডন যাত্রায় দলের প্রবীণ নেতাদের চেয়েও তিনি প্রাধান্য দিচ্ছেন তারেক কাদের কথা শুনতে পারে তাদের দিকে। বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বিএনপিতে আসার আগে থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ। তারেক রহমান তাকে মামা বলে ডাকেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত আর্থিকভাবে নিয়মিত সহয়তা করতো আবদুল আউয়াল মিন্টু। এর কৃতজ্ঞতা হিসেবেই গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তর থেকে আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। তারেক যে কয়জনের কথা একটু শোনেন তার মধ্যে মিন্টুর নাম রয়েছে।
একই কারণে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে লন্ডনে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন খালেদা জিয়া। এ সফরে ছেলের সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতা করে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে চান খালেদা জিয়া। তারেকের কোনো পছন্দ থাকলে তা যেন তিনি মাকেই জানান- এমনটিই অভিপ্রায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার।.
লন্ডন সফরকালে খালেদা জিয়ার তাঁর এ রাজনৈতিক কাজের পাশাপাশি শারিরীক কিছু রুটিন চেকআপও করাবেন বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।