নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৯ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০১৭
ভুলবোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আবারও পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ করতে পারে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডসভায় এ নিয়ে আলোচনা হবার কথা আছে।
বর্তমান সরকারের ১০টি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের শীর্ষে রয়েছে ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প’। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম এই সেতু। সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১২ সালে এই প্রকল্পের ঋণচুক্তি বাতিল করে দিয়েছিলো বিশ্বব্যাংক।
এ বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, ’পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। এখন বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্প বাস্তাবায়নে অর্থ সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কে এই প্রকল্পের কারণে টানাপোড়ান থাকলেও সব সময় ভালো সম্পর্ক রয়েছে এদের মধ্যে। এখনো বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে অনেকগুলো প্রকল্প চলছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষের মধ্যে এখন সমঝোতা হতে চলছে খুব শিগগিরই।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের নির্ভরশীলতার উপর বড় বড় সংস্থা অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আশা করা যায়, পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বিশ্ব ব্যাংকের এই উদ্যেগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)সহ জাইকার মতো আন্তজার্তিক দাতা সংস্থাগুলোও এদেশে বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুর সর্বশেষ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ যথাসময়ে শেষ হবে। পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪৩ শতাংশ। জুন মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতুর পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলছে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজ।
২০১৫ সালে এই পদ্মা সেতু সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৮ সালে তা শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/টিআর
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।