ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা নিয়ে পথহারা বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পথ হারিয়ে ফেলেছে। করোনার পিক সিজনেও বাংলাদেশের নেই কোনো এক্সিট প্ল্যান। কেউ জানে না বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, কতদিনে করোনার সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবে, কখন করোনা সংক্রমণ কমবে এবং এই কমার পর জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আশু করণীয় কী।

করোনা নিয়ে আমরা যা কিছু করছি সব অনুমান নির্ভর, অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বহীন এবং শুধুমাত্র কিছু সংখ্যাতত্ত্বের পরিসংখ্যান ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি আমাদের জন্য ভয়াবহ আতঙ্কের। করোনার ৭৫তম দিন আজ আমরা অতিবাহিত করলাম। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দিক নির্দেশনা যে আমরা কী করবো। স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী কোনো পরিকল্পনা নেই। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১৪ হাজার ১১৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৮ হাজার ৫১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে অর্থাৎ বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের ১৩ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত। আর বাংলাদেশে এখন মৃত্যুর সংখ্যাও ৪০০ পেরিয়ে গেছে। আর সুস্থ হয়েছে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেব মতে ৫ হাজার ৬০২ জন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য যে সংকটগুলো দেখা দিয়েছে এবং বাংলাদেশ যে দিক নির্দেশনাহীন তার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য এখানে তুলে ধরা হলো-

১. কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ নেই

বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ কতদূর যাবে বা কোথায় যাবে এটি নিয়ে কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ নেই। আমরা শুধুমাত্র প্রতিদিনের তথ্যগুলো দিচ্ছি, যোগফল ঘোষণা করছি। শতকরা হিসেব ঘোষণা করছি। কিন্তু প্রত্যেকটি দেশে করোনার যখন পিক সিজন গেছে, তখন বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ হয়েছে। যেখান থেকে তারা বুঝতে পেরেছে যে কখন করোনা সংক্রমণ আস্তে আস্তে কমে যাবে। সে অনুযায়ী তারা একটা এক্সিট প্ল্যান দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এরকম কোনো প্রক্ষেপণ নেই। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৮জন বিশেষজ্ঞ দিয়ে একটি প্রক্ষেপণ পত্র তৈরি করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে, ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত বাংলাদেশে সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু এটিকে বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো প্রক্ষেপণ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ৫০ হাজার এবং ১ লাখের মধ্যে পার্থক্য অনেক। তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত একটি সুনির্দিষ্ট ধরনের লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব মানা না হবে, ততদিন পর্যন্ত এ ধরনের প্রক্ষেপণ করা সম্ভব না। কাজেই বাংলাদেশে করোনার ভবিষ্যৎ কী এবং কোন পথে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা পথহারা।

২. চিকিৎসা নিয়ে পথহারা

বাংলাদেশে যে যার মতো করে করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করছে। এমনকি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও করোনার মহৌষধ বলে কেউ কেউ প্রচার করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি বলে দেয়নি এবং এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু মুনাফালোভী কিছু কিছু ওষুধ কোম্পানি অন্য ওষুধকে করোনার ওষুধ বলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠান করছে। যে ওষুধটি শুধুমাত্র করোনার কিছু কিছু উপসর্গ দূর করতে পারে, সেই ওষুধকেও করোনার ওষুধ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্লাজমা থেরাপির কথা বলা হচ্ছে। অথচ সেটা নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো সুসংবাদ নেই, কারণ বিপুল সংখ্যক রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়াটা করটুকু সম্ভবপর হবে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের করোনা চিকিৎসার যে প্রটোকল তা এখনও নির্দিষ্ট নয়, বরং বিভিন্ন দেশ যা যা অনুসরণ করছে তার সবগুলো নিয়েই বাংলাদেশ একটা খিচুরি পাকানোর চেষ্টা করছে। এটাও হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কাজেই চিকিৎসার দিক থেকেও বাংলাদেশ পথহারা।

৩. পরিকল্পনাহীন করোনা চিকিৎসা

বাংলাদেশে করোনা চিকিৎসার প্রথম দিকে শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোতেই চিকিৎসা দেওয়া হতো। এখন বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক ধরনের জগাখিচুরি তৈরি হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যারা অন্য চিকিৎসা নেন, তারা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা ইউনিট করার ফলে সেখানেও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। পুরো ব্যাপারটাই একটা গোলকধাঁধার মতো অবস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও সম্ভবত জানে না যে তারা কী করছে এবং কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এরকম সবক্ষেত্রেই একটা অস্পষ্টতা, এক ধরনের ব্যাখ্যাহীনতা এবং অনিশ্চয়তা। যার ফলে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পিত বিন্যাস নেই, যে করোনা কতদিন থাকবে, কবে করোনা যাবে এবং আমরা কবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবো। কিংবা করোনা পরিস্থিতি কি আরও ভয়াবহ হয়ে যাবে? হঠাৎ করে কি আমাদের ইতালি বা স্পেনের মতো মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে? আমাদের বাংলাদেশে কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হবে? নাকি আমরা দীর্ঘমেয়াদী করোনার সঙ্গে বসবাস করতে থাকবো? জনস্বাস্থ্যের জন্য এসব উত্তরগুলো জানা জরুরী। আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্যেও, এমনকি অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং আমাদের এগিয়ে চলার জন্যেও এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা দরকার। কিন্তু আমরা করোনা নিয়ে এখন পর্যন্ত পথহারা। আমরা জানি না আমাদের গন্তব্য কোথায়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাগলে গাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১

প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ছাগলে আমগাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার দিগরাম ঘুন্টিঘর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।  

নিহত ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন (৪২) । তিনি ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত হয়েছেন আরও একজন। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলো, ওই গ্রামের সাদেকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিন। তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বলেন, স্থানীয় ব্যক্তি সাদেকুল ইসলামের ছাগল মসজিদের আম গাছের পাতা খায়। তা নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন সাদেকুলকে ডেকে বারণ করেন ছাগল ছাড়তে। এনিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাদেকুলসহ আরও কয়েকজন এসে বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়। এসময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সভাপতির পক্ষে কথা বলার জন্য রুহুল আমিনকে বেধকড় মারধর করা হয়। তাকে রড ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। রুহুল আমিনকে বাঁচাতে আসলে নাজিরুল ইসলামও আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে রুহুল আমিনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং রাতেই তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।


সংঘর্ষ   কথা কাটাকাটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস

প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিবেদনে গত ২২ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির যে অবনতির কথা বলা হয়েছে, তা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে গুলশানের একটি হোটেলে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে ‘প্রসপারিটি অ্যান্ড গুড গভর্নেন্স’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

আলোচনায় বক্তারা মত দেন যে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতির অভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিবেদনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক আইনি ব্যবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৪১তম স্থানে রয়েছে। আর সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম। 

অনুষ্ঠানে পিটার হাস বলেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয় এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষার লড়াই করছে। মূল বিষয় সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া নয়, সক্রিয়ভাবে স্বীকার ও মোকাবেলা করা।

‘আশা করি বাংলাদেশ সম্প্রসারিত স্বাধীনতার মাধ্যমে পরিপূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে পরবর্তী এশিয়ান টাইগার হতে পারবে,’ যোগ করেন তিনি।

প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং আইনি স্বাধীনতা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি না থাকলে প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

পিটার হাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আষাঢ়তলী-জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু সীমান্তপথে নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আরও ১২ সদস্য। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

জানা গেছে, দেশটির অভ্যন্তরে বিজিপি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে টিকতে না পেরে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ বিজিপির ১৭৭ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।

বিজিপি   মিয়ানমার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনিবন্ধিত অনলাইন!

প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের জন্য। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। এখানে গণমাধ্যম এতোটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন, এটা করা দরকার। কিন্তু আমরা এগুলো করি না। যেটা প্রমাণ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত।

তিনি বলেন, একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য।

তিনি বলেন, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক— সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সাথে একমত।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, তবে একইসাথে আমি মনে করি, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যমে আছে—ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

তিনি জানান, নতুন কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবো। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেবো, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না। সাংবাদিকরাই এমনটা বলছেন।


বন্ধ   অনিবন্ধিত   অনলাইন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ, গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের ডমুরিয়া টুঙ্গিপাড়া শাখা গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। গোপালগঞ্জে দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা কার্যালয় উদ্বোাধনের পর এটিই প্রথম মামলা।

দুই লাখ ঊনসত্তর হাজার ছয়শত বারো টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাৎ করার দায়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এই মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং-০১) । 

মামলার আসামীরা হলেন অসীম বৈদ্য, সজল কুমার মজুমদার ও শেখ নাজমুল ইসলাম। আসামীরা সবাই ডুমুরিয়া টুঙ্গিপাড়া শাখার অফিসার।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংক ডুমুরিয়া টুঙ্গিপাড়া শাখার ১৪ জন সদস্যের স্বাক্ষর গ্রহণ করে ঋণ বাবদ অর্থ উত্তোলন করে ঋণগ্রহীতাদের না দিয়ে ঋণ গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তির টাকা আদায় পূর্বক ব্যাংকে জমা না করে দুই লাখ ঊনসত্তর হাজার ছয়শত বারো টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাৎ করেন আসামীরা।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে এসব অফিসারের বিরুদ্ধ মামলা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়।


গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ   গ্রামীণ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন