ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা নিয়ে পথহারা বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পথ হারিয়ে ফেলেছে। করোনার পিক সিজনেও বাংলাদেশের নেই কোনো এক্সিট প্ল্যান। কেউ জানে না বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, কতদিনে করোনার সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবে, কখন করোনা সংক্রমণ কমবে এবং এই কমার পর জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আশু করণীয় কী।

করোনা নিয়ে আমরা যা কিছু করছি সব অনুমান নির্ভর, অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বহীন এবং শুধুমাত্র কিছু সংখ্যাতত্ত্বের পরিসংখ্যান ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি আমাদের জন্য ভয়াবহ আতঙ্কের। করোনার ৭৫তম দিন আজ আমরা অতিবাহিত করলাম। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দিক নির্দেশনা যে আমরা কী করবো। স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী কোনো পরিকল্পনা নেই। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১৪ হাজার ১১৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৮ হাজার ৫১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে অর্থাৎ বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের ১৩ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত। আর বাংলাদেশে এখন মৃত্যুর সংখ্যাও ৪০০ পেরিয়ে গেছে। আর সুস্থ হয়েছে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেব মতে ৫ হাজার ৬০২ জন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য যে সংকটগুলো দেখা দিয়েছে এবং বাংলাদেশ যে দিক নির্দেশনাহীন তার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য এখানে তুলে ধরা হলো-

১. কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ নেই

বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ কতদূর যাবে বা কোথায় যাবে এটি নিয়ে কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ নেই। আমরা শুধুমাত্র প্রতিদিনের তথ্যগুলো দিচ্ছি, যোগফল ঘোষণা করছি। শতকরা হিসেব ঘোষণা করছি। কিন্তু প্রত্যেকটি দেশে করোনার যখন পিক সিজন গেছে, তখন বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ হয়েছে। যেখান থেকে তারা বুঝতে পেরেছে যে কখন করোনা সংক্রমণ আস্তে আস্তে কমে যাবে। সে অনুযায়ী তারা একটা এক্সিট প্ল্যান দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এরকম কোনো প্রক্ষেপণ নেই। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৮জন বিশেষজ্ঞ দিয়ে একটি প্রক্ষেপণ পত্র তৈরি করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে, ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত বাংলাদেশে সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু এটিকে বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো প্রক্ষেপণ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ৫০ হাজার এবং ১ লাখের মধ্যে পার্থক্য অনেক। তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত একটি সুনির্দিষ্ট ধরনের লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব মানা না হবে, ততদিন পর্যন্ত এ ধরনের প্রক্ষেপণ করা সম্ভব না। কাজেই বাংলাদেশে করোনার ভবিষ্যৎ কী এবং কোন পথে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা পথহারা।

২. চিকিৎসা নিয়ে পথহারা

বাংলাদেশে যে যার মতো করে করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করছে। এমনকি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও করোনার মহৌষধ বলে কেউ কেউ প্রচার করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি বলে দেয়নি এবং এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু মুনাফালোভী কিছু কিছু ওষুধ কোম্পানি অন্য ওষুধকে করোনার ওষুধ বলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠান করছে। যে ওষুধটি শুধুমাত্র করোনার কিছু কিছু উপসর্গ দূর করতে পারে, সেই ওষুধকেও করোনার ওষুধ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্লাজমা থেরাপির কথা বলা হচ্ছে। অথচ সেটা নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো সুসংবাদ নেই, কারণ বিপুল সংখ্যক রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়াটা করটুকু সম্ভবপর হবে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের করোনা চিকিৎসার যে প্রটোকল তা এখনও নির্দিষ্ট নয়, বরং বিভিন্ন দেশ যা যা অনুসরণ করছে তার সবগুলো নিয়েই বাংলাদেশ একটা খিচুরি পাকানোর চেষ্টা করছে। এটাও হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কাজেই চিকিৎসার দিক থেকেও বাংলাদেশ পথহারা।

৩. পরিকল্পনাহীন করোনা চিকিৎসা

বাংলাদেশে করোনা চিকিৎসার প্রথম দিকে শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোতেই চিকিৎসা দেওয়া হতো। এখন বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক ধরনের জগাখিচুরি তৈরি হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যারা অন্য চিকিৎসা নেন, তারা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা ইউনিট করার ফলে সেখানেও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। পুরো ব্যাপারটাই একটা গোলকধাঁধার মতো অবস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও সম্ভবত জানে না যে তারা কী করছে এবং কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এরকম সবক্ষেত্রেই একটা অস্পষ্টতা, এক ধরনের ব্যাখ্যাহীনতা এবং অনিশ্চয়তা। যার ফলে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পিত বিন্যাস নেই, যে করোনা কতদিন থাকবে, কবে করোনা যাবে এবং আমরা কবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবো। কিংবা করোনা পরিস্থিতি কি আরও ভয়াবহ হয়ে যাবে? হঠাৎ করে কি আমাদের ইতালি বা স্পেনের মতো মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে? আমাদের বাংলাদেশে কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হবে? নাকি আমরা দীর্ঘমেয়াদী করোনার সঙ্গে বসবাস করতে থাকবো? জনস্বাস্থ্যের জন্য এসব উত্তরগুলো জানা জরুরী। আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্যেও, এমনকি অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং আমাদের এগিয়ে চলার জন্যেও এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা দরকার। কিন্তু আমরা করোনা নিয়ে এখন পর্যন্ত পথহারা। আমরা জানি না আমাদের গন্তব্য কোথায়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় নিজ নামের সড়ক ও পার্ক উদ্বোধন করবেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকায় একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্ত্বর থেকে কালসী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।  

আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই দু’টি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কাতার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এ সম্পর্ক এবং আমিরের এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে তার নামে এই পার্ক ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্ক’র কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় কালশী এলাকার বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ দেন।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থা এবং শিশুদের খেলাধুলার জায়গা থাকবে।

আগামী মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়ক ও পার্কের নামফলক উন্মোচন করবেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আগামী সোমবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন।

কাতারের আমির   আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ এখানকার জনপদ। অসহ্য গরমে প্রাণীকূলের প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা।

এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়িত সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আরও কয়েক দিন এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

চুয়াডাঙ্গা   সর্বোচ্চ তাপমাত্রা   হিট এলার্ট জারি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপরাধী আত্মীয় হলেও ছাড় নয়: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারপিটের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।

শুক্রবার ( ১৯ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাটোরে অপহরণ ও মারধরের শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি দেলোয়ার হোসেন পাশার সুস্থ্যতা কামনা করেন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দেশের বাইরে থেকে আসার সঙ্গে সাথেই আমার দলের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। এটিকে নিজের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেছি। এ সময় আমার নেতাকর্মীদের পাশে আমার থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। 

নিজের শ্যালকর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক আমার আত্মীয় হোক আর দলীয় নেতা কর্মী হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অন্তত ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

এদিকে ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় নাটোর সদর থানায় মামলা হলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। আর অভিযুক্ত অপর প্রার্থী শেরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিবের দাবি, তিনি নির্দোষ। হয়েছেন ষড়যন্ত্রের শিকার।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা পরিষদ   ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি   জুনায়েদ আহমেদ পলক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশজুড়ে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
 
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন। শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামীকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অফিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীর কাছে থেকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে এক রেলের নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এমন অভিযোগ করেছেন পঞ্চগড় থেকে এক যাত্রী।

জানা যায়, পঞ্চগড় থেকে আসা ওই যাত্রী ঢাকা থেকে নিজেদের আইডি কার্ড গ্রামে না নিয়ে যাওয়ায় তার আত্মীয়ের আইডি কার্ড দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের কিছুক্ষণ স্টেশনে অপেক্ষায় রাখেন এক আর.এন.বি সদস্য৷ পরে ২০০ টাকা ঘুসের বিনিময়ে স্টেশন ত্যাগের অনুমতি পান তারা।

ঐ যাত্রী আরও জানান, আমরা তিনজন পঞ্চগড় থেকে এসেছি। আসার সময় ৫৫০ টাকার টিকিট ১৩০০ টাকা দিয়ে কাটা লাগছে। আইডি কার্ড নিয়ে যাই নাই। এজন্য খালুর আইডি কার্ড দিয়ে টিকিট কাটছি। আসার সময় বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কাটলাম। এসে আবার ঘুস দিতে হলো৷ কি আর করবো! সিস্টেমই এরকম।

পরে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ঐ সদস্যের কাছে ঘুস নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এমন কাজ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

তবে নিরাপত্তা বাহিনীর এই সদস্যের পোশাকে নেমপ্লেট ছিল না। বেশ কয়েকবার তার নাম জানতে চাইলেও তিনি বলেননি।

কমলাপুর রেল স্টেশন   যাত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন