নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৭
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, বন্যার পানি নামার পর সরকার কৃষক ও খামারীদের ঘুরে দাঁড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পর্যাপ্ত অর্থ ও ত্রাণসামগ্রীও মন্ত্রণালয়ের হাতে রয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’
মন্ত্রী আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মায়া চৌধুরী বলেন, এ বছর হাওরে অকাল বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোরা, পাহাড় ধস ও উত্তরাঞ্চলে আগাম বন্যার মত চারটি বড় দুর্যোগ সরকার সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করছে। সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি, দুর্যোগকালে তাৎক্ষণিক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের কারণে প্রত্যেকটি দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার প্রত্যেকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজখবর নিচ্ছেন। মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে থেকে বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ বিতরণ তদারকি করছেন। তিনি মধ্যাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকদের অতি দ্রুত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে বন্যার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহবান জানান।
সিলেট, মৌলভীবাজার ও উত্তরাঞ্চলের আগাম বন্যা প্রসঙ্গে মায়া চৌধুরী বলেন, বন্যা প্লাবিত এসব জেলার জন্য ১২ হাজার মেট্রিকটন চাল, ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় পানি বিশুদ্ধকরণ মোবাইল গাড়ি পাঠানো হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর জেলার মধুখালীতে গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন বলেন, একটি বিদ্যালয়ের নির্বাচন কাজে শ্রমিকদের মন্দিরে আগুন দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। এতে দুই সহদর নিহত হয়েছেন। পুলিশসহ আহতদের মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত দুই সহদরের বাড়ি নওপাড়া ইউনিয়নে ঘোপঘাট গ্রামে। তবে আহতদের সবার পরিচয় জানা যায়নি।
ফরিদপুর গণপিটুনি নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যু
মন্তব্য করুন