নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ২৫ মে, ২০২০
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও তাঁর আশেপাশের নগরী আর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সব চেয়ে বেশী ধনী লোকের বসবাস। আর এখানেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। অবাক করার কথা হল বাংলাদেশের সব চেয়ে ধনীদের অনেকেই এখন করোনায় আক্রান্ত, দুই একজন ধনী মানুষ, পদস্থ কর্মকর্তা, ডাক্তার, মেডিক্যাল স্টাফ, পুলিশ সহ বেশ কিছু মানুষ মারা গেছেন। অনেকে করোনায় আক্রান্ত। আগামীতে যে আরও আক্রান্ত হবেন না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই ধনী শ্রেণির বাংলাদেশীরা বাংলাদেশ বা ভারত নয় সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চায়না, আমেরিকা ইংল্যান্ডে তাঁদের চিকিৎসা করান।
বাংলা ইনসাইডারের খবরে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। এখন শুধু ঢাকার মধ্যেই সংক্রমণ সীমাবদ্ধ নেই, চট্টগ্রামসহ সারাদেশেই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। লক্ষণীয় ব্যাপার যে, করোনার যে সংক্রমণ হচ্ছে তা গরীব মানুষের চেয়ে ধনীদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এখন পর্যন্ত যে ৩২ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁর মধ্যে উচ্চবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্তদের সংখ্যাই বেশি। কারণ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় শিল্প-গ্রুপ এবং বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, মারা গেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক এম পি হাজী মকবুল সাহেব। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছে এই গ্রুপের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হা-মিম গ্রুপের এ কে আজাদ। এছাড়াও এপেক্স গ্রুপের নজরুল এলাহীর স্ত্রী।
এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে যে, বাংলাদেশে ধনীরা কেন বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কয়েকটি বড় কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে- ১. ব্যবসায়িক কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া, ২. ধনীরা দুশ্চিন্তা বেশি করেন, ৩. বাংলাদেশে ধনীদের চিকিৎসা নিতে অনীহা, ৪. রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ধনীদের মধ্যে, ইত্যাদি।
গত ২৮ জুন, ২০১৯ বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকে জানায় কেবল ভারতেই প্রতি বছর নব্বই হাজার কোটি টাকা, চিকিৎসা বাবদ ব্যয় করে থাকে বাংলাদেশি গরীব আর মধ্যবিত্ত রোগীরা! এর বাইরেও যারা ধনী তাঁরা সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চায়না, আমেরিকা ইংল্যান্ডে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন যার ব্যয় ভারতের চেয়ে ২ বা ৩ গুণ বেশি হবার কথা। আমরা এবার দেখে নিই ভারতেই কোথায় কোথায় বাংলাদেশের গরীব আর মধ্যবিত্তরা চিকিৎসার জন্য যান, কেন যান।
দেবী শেঠির নাম জানেন না এমন শিক্ষিত মানুষ বাংলাদেশে খুব কম আছেন। ব্যাঙ্গালুরুতে দেবী শেঠির নারায়না হেলথ সিটিতে ঢুকতেই যে বিষয়টা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা হলো, একটি ছাদের নিচে চার ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ উপাসনা করে। মুসলমানদের মসজিদ, সনতান (হিন্দু) সম্প্রদায়ের মন্দির, খ্রিষ্টানদের গির্জা ও শিখদের গুরুদুয়ারা! মুসলমানেরা তো শুক্রবারে মসজিদের অংশের বাইরেও ঘাসের উপর নামাজ পরে থাকে। এটাই তাঁদের রোগী বান্ধব পলিসি। দেবী শেঠির এই হসপিটালে অনেক বাংলাদেশি রোগী হৃদরোগের চিকিৎসা নিতে যা;, সম্ভবত চট্টগ্রামের রোগী বেশি এসে থাকে, চট্টগ্রামের লোকেরা তো নিজেরাই ঠাট্টা করে বলেন, ‘পয়সা, খরচ করে ভারতীয় গরুর মাংস খাইয়া, হার্টে ব্লক বানাই, আবার টাকা খরচা করে ভারতে আসি হার্টের অপারেশন করতে’! নারায়না হেলথ সিটি হওয়ার আগে ব্যাঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি রোগীরা মনিপাল হসপিটালে হৃদরোগের চিকিৎসা করত। তবে মনিপাল হসপিটালে চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি।
সাগর তীরের চেন্নাই শহরে রয়েছে চেন্নাই এপোলো, শংঙ্কর নেত্রালয়া, চেন্নাইয়ের ভেলোর জেলায় রয়েছে সিএমসি হসপিটাল। খুব কম খরচে যেখানেও সবচেয়ে বেশি চিকিৎসা সেবা নিতে যায় বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশিদের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও আস্থার প্রতীক যে হসপিটালটি, তা হচ্ছে ভেলোরের এই সিএমসি হসপিটাল। অনেক পুরনো এ হসপিটাল। বেশির ভাগ স্টাফ ও ডাক্তার রোগী-বান্ধব। আজকাল ভেলোরে সিএমসি হসপিটাল, চেন্নাই এপোলো, শংঙ্কর নেত্রালয়া হাসপাতালের সামনে দোকানগুলোতে বাংলা লেখা দেখলে বুঝা মুশকিল দক্ষিণ ভারতের এই ক্ষুদ্র অংশটুকু কলকাতা, নাকি ঢাকার কোনো মহল্লা।
এর বাইরে কোলকাতাতেও অনেক বাংলাদেশি রোগী ভাষাগত ও অন্যান্য কারণ চিকিৎসা সেবা নিতে যান। আগে এটা অনেক বেশি ছিল এখন অনেক কম বাংলাদেশ রোগী কলকাতায় যান।
সম্প্রতি বাংলাদেশের আরো একটি দৈনিকে, এসেছে, ভারতে চিকিৎসা নেয়া ৪৫ শতাংশ রোগীই বাংলাদেশি! এই কথার প্রমাণ পেতে আপনি যদি উপরের উল্লেখিত হাসপাতালগুলোতে যান, তখন দেখবেন সেখানকার প্রায় অর্ধেকের বেশী বাংলাদেশী রোগী। যদিও দুই লাখ, একুশ হাজার মেডিকেল ভিসা নিয়েছে গত বছর বাংলাদেশিরা! কিন্তু ভ্রমণ ভিসা নিয়েও চিকিৎসা করিয়ে থাকে যা এই রিপোর্টে বা জরিপে আসেনি। তাহলে এর সাথে কমপক্ষে আরো দুই লাখ বাড়বে। গত ছয় বছরে ভারতে চিকিৎসা নেয়া রোগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়েই চলছে। ভারতের একটি বিরাট আয়ের উৎস বাংলাদেশের রোগীরা। ভারতীয়রা ব্যবসাটা আমাদের চেয়ে খুব ভালো বুঝে। শুনেছি, রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকা কালীন এক প্রখ্যাত প্রবাসী ডাক্তারকে ধরে এনে যথাযোগ্য সম্মান ও বিদেশে থাকার সমপরিমাণ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বলেন, দেশেই চিকিৎসা কর্ম চালিয়ে যান।
আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন যে, ঢাকার এপোলো হাসপাতাল বন্ধ হয়ে অন্য নামে চালছে এখন। এর কারণ ঢাকার এপোলো হাসপাতালে অনেক বেশি খরচ নেন, আর আচরণ রোগী বান্ধব নয়। গত নভেম্বর মাসে চেন্নাই এপোলো হাসপাতালে যাবার আগে একজন রোগী ঢাকার চেন্নাই এপোলো একটা অপারেশনের খরচ জানতে যান। তাঁর কাছে অপারেশন খরচ চাওয়া হয় ২৪ লাখ টাক সেই রোগীর কাছে চেন্নাই এপোলো চায় ১৪ লাখ টাকা। তখনি চেন্নাই এপোলোর একজন কর্মকর্তা জানান যে, আগামী তিন মাসের মধ্যেই ঢাকার এপোলোর লাইসেন্স বাতিল হবে।
অনেকেই দাবি করেন যে, এশিয়ায় সব চেয়ে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা জাপানে। আমাদের দেশে এমন অনেক ধনী আছেন যারা জাপানিজ ষ্ট্যাণ্ডার্ডের একাধিক হাসপাতাল বাংলাদেশে তৈরি করেও ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চায়না, আমেরিকা ইংল্যান্ডে বাংলাদেশীদের চিকিৎসা নিতে যাওয়া কমিয়ে ফেলতে পারেন। তাঁরা দেশের সবগুলো বিভাগেই এমন একাধিক হাসপাতাল তৈরি করার আর্থিক ক্ষমতা তাঁদের আছে, নেই শুধু মানসিকতা বা রোগী বান্ধব মেডিক্যাল ব্যবসার ইচ্ছার অভাব। আমাদের দেশের ডাক্তারদের মেধা কম নয়, তাঁরা উপযুক্ত পরিবেশ পেলে অনেক উন্নত চিকিৎসা দিতে সক্ষম। প্রয়োজনে বিদেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনেও উন্নত রোগী বান্ধব চিকিৎসা দেওয়া অসম্ভব নয়।
সব ক্ষেত্রেই স্বজন হারানোর ব্যথার রূপ ও কষ্ট এক। সে গরীব আর বড় লোক যেই হউন না কেন। এবারের করোনাভাইরাসের করাল থাবায় আমাদের ম ও মননের পরিবর্তন আনতে বাধ্য। আজ ঈদ। এই ঈদের দিনে আমরা আমাদের দেশের ধনীদের কাছে কী এই প্রত্যাশা করতে পারি না যে তাঁরা এখন চিকিৎসা ব্যবসায় এগিয়ে এসে আমাদের সবাইকে বাঁচাবেন, নিজেরাও চিকিৎসা সেবা নেবেন, আমাদের দেশও আর্থিক ও স্বাস্থ্য সেবা খাতে হবে সমৃদ্ধ।
মন্তব্য করুন
শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন করেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তাদিরুল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, জেলা ক্রীড়া অফিসার ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী খেলায় সবুজসেনা স্পোর্টিং ক্লাব ও সাইকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ ক্রিকেট লীগে মোট ৫ টি দল অংশগ্রহণ করছে।
শেরপুর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম
মন্তব্য করুন
চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানোর জন্য আমরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা এ সংক্রান্ত নোটিশ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে।
তিনি জানান, শিক্ষার্থী সুরক্ষা ও অভিভাবকদের দাবির কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানায়, তীব্র তাপদাহে শিশু কিশোরদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক স্কুলের ছুটি ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে। এ সময় সরকারি স্কুল, শিশুকল্যাণ ও টাস্ট্রের স্কুলগুলো ও উপানুষ্ঠাানিক শিক্ষা ব্যুরো স্কুল ছুটি থাকবে।
এর আগে সকালে এক বিবৃতিতে আপাতত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে জানানো হয়, দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটি বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ- মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এয়ার কন্ডিশনিং (এসি)। কিন্তু এসি চালানোর কারণে বিদ্যুতের বিলও অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। আজ জেনে নিন এমন কিছু উপায় যাতে এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন অনেকটাই।
অনেকেই মনে করেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এসি চালালে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। এর ফলে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাতে পারে বিদ্যুৎ বিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর ক্ষেত্রে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে অনেকটাই।
এসিতে ফিল্টার থাকে যা ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। যদি এই ফিল্টারটি নোংরা হয়ে যায় তবে এসিকে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে অনেকটাই বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতি মাসে ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং বছরে অন্তত ১-২ বার এসি সার্ভিসিং করুন। এর ফলে বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল।
এসি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘর থেকে যেন ঠান্ডা বাতাস বের না হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। আপনি দরজায় একটি ক্লোজার ইনস্টলও করতে পারেন যাতে দরজা খোলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যাতে আপনার ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। এতে আপনাকে একটানা এসি চালাতে হবে না এবং আপনার বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।
ফ্যান রুমে বাতাসের সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ঘরের সর্বত্র শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। এসি চালুর আগে টেবিল ফ্যান চালিয়ে কিছু সময় ঘর ঠান্ডা করুন এরপর আপনি এসি চালু করতে পারেন। এর ফলে এসি সহজেই কম সময়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে, আপনি রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার সেট করতে পারেন, যার ফলে ১.২ ঘণ্টা পরে এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সারা রাত এসি চলবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সারাদিন একটানা এসি চালাবেন না, বরং একটি টাইমার সেট করুন।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিব পূজা উপলক্ষে চলা শত বছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনা-পাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।
মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন।
স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।’
জুয়ার আসর নীলকন্ঠ শিব পূজা মাদক বিক্রি ও সেবন
মন্তব্য করুন