ইনসাইড বাংলাদেশ

দীর্ঘস্থায়ী যে সঙ্কটের মুখে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ২৬ মে, ২০২০


Thumbnail

করোনা সঙ্কট অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এসেছে একটি আপদকালীন সমস্যা হিসেবে। ৩ মাস, ৫ মাস বা ৬ মাসের সঙ্কট হিসেবে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য করোনা সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদি বহুমাত্রিক কিছু সঙ্কট সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবং বাংলাদেশের জন্য চটজলদি এই সঙ্কটগুলো থেকে উত্তরণ করা জটিল হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বাংলাদেশে গত মার্চ মাস থেকে যে করোনা সঙ্কট শুরু হয়েছে তা এখনো চলছে এবং এই সঙ্কট কতদিন চলবে সে সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া যাচ্ছেনা। আর করোনা সঙ্কট শুধু একা আসছে না, সঙ্গে আনুষাঙ্গিক অনেক সমস্যা নিয়ে আসছে। বিশেষত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভয়ঙ্কর স্থবিরতা নিয়ে এসেছে। আর একারণেই বাংলাদেশ এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি কিছু সঙ্কটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বা ইতিমধ্যে পড়া শুরু করেছে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা যে দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কটগুলোর আশঙ্কা করছেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে

করোনা সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন যে, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব শীঘ্রই ভেঙে পড়বে। কারণ করোনা রোগীর সংখ্যা যখন বাড়বে তখন হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ছাড়া অন্য রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবেনা। তাছাড়া তাঁরা মনে করছেন যে, বাংলাদেশে এখন বিপুল পরিমাণ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যত করোনা রোগী বাড়বে তত আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে। ফলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তাঁরা এটাও মনে করছেন যে, করোনা চিকিৎসার জন্য টেস্টিং কিটসহ উপকরণ সঙ্কট দেখা দিবে এবং আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটের ভেতর পড়বো। অনেকে মনে করছেন যে, ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত এই সঙ্কট আমাদের দেশে চলতে পারে।

২. অর্থনৈতিক সঙ্কট দীর্ঘ হবে

করোনা সঙ্কট শুরুর সাথে সাথেই অর্থনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়েছে। বিশ্বের সব দেশের জন্যেই এটা প্রযোজ্য যে, করোনা সঙ্কট একা আসে না, সাথে অর্থনৈতিক সঙ্কটও নিয়ে আসে। কারণ করোনা মোকাবেলায় লকডাউন এবং অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহ বন্ধ করে দিতে হয় এবং একারণেই আমাদের অর্থনৈতিক সঙ্কট ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং এই সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই মানুষরা সহসা চাকরি পাবে এমন আশা করা যাচ্ছেনা। বেশকিছু দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সমস্যা একটি বড় সমস্যা। যদি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, যতদিন করোনা সমস্যা না যাবে ততদিন পর্যন্ত প্রান্তিক, দরিদ্র মানুষকে সহায়তা দেয়া অব্যহত রাখা হবে। কিন্তু সরকার কতদিন সহায়তা দিবে? যদি করোনা সঙ্কট চার মাসের বেশি সময়ে গড়ায় তাহলে এই সহায়তা দেয়া সরকারের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ক্ষুদ্র, মাঝারি এমনকি কিছু বৃহৎ শিল্পের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দ্রুত সবকিছু স্বাভাবিক হবে এই প্রত্যাশা করা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশের করোনার আগের মতো অবস্থায় ফিরে যেতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।

৩. রেমিটেন্স প্রবাহ সহসা ভালো হচ্ছেনা

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবথেকে বড় হাতিয়ার হচ্ছে বিদেশিদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স। বৈশ্বিক করোনা সঙ্কটে বাংলাদেশের অভিবাসনে ধ্বস নেমেছে এবং বাংলাদেশ একটি দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটের পথে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অভিবাসীরা খুব সহজেই বিদেশে যেতে পারবে এমন আশা করা দুরাশার নামান্তর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে যদি ঈদের কারণে কিছু রেমিটেন্স বেড়েছে, তবে তা আগামী মাসেই আবার কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমাদের অভিবাসন খাতে একটি দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কট তৈরি হবে তা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

৪. রপ্তানী আয় হোঁচট খাবে

ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পোষাক খাতসহ বিভিন্ন খাতে ধ্বস নেমেছে এবং এই ধ্বস দীর্ঘমেয়াদী হতে যাচ্ছে। কারণ অন্যান্য দেশগুলো সঙ্কট কাটিয়ে উঠলেও তাঁদের যে অর্থনৈতিক সঙ্কট, সেই সঙ্কটের জন্য তাঁরা ক্রিচ্ছতার পথে যাবে এবং বাংলাদেশ থেকে পোশাকসহ যে অন্যান্য পণ্য আমদানি করবে, তা কমে যেতে পারে।

৫. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

করোনা সঙ্কটের কারণে ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন সবথেকে বেশি সংক্রমিত হয়েছে। ফলে করোনা সঙ্কটের কারণে চুরি-ডাকাতি সহ অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে এবং সামগ্রিকভাবে একটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্কট তৈরি হবে এবং এই সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদী হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কটগুলো কাটিয়ে উঠে কবে বাংলাদেশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে সে এক কঠিন প্রশ্ন। তবে সেই সঙ্কট থেকে উত্তরণের চটজলদি এবং সহজ কোন পথ নেই বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের যথা সময়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল বেলা ১১টায় সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

নির্দেশনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব ডিসি ও এসপিদের পাঠানো হয়েছে।

অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চার ধাপের তফসিল ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। 
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে। 
আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে এবং ভোট ৫ জুন। এই ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


ডিসি   এসপি   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের মিয়ানমারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমারে চলমান আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ২৫ এপ্রিল ও প্রয়োজনে ২৬ এপ্রিল সম্পন্ন হবে। কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যাগমনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন বাংলাদেশে এসেছে এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্যদের নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে দুই দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের নিকট প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় উক্ত নাগরিকগণের বাংলাদেশে যাচাই কার্যক্রম অতিদ্রুত শেষ করা হয়। প্রথমে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন সকল নাগরিকত্ব যাচাইকৃত বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়। ফলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি প্রদান করে। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিট্যুয়েতে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের প্রতিনিধি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করেন।

কক্সবাজার সদরের  স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জেটিঘাটে উপস্থিত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান।

মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্য সদস্যদের প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা সিভিল সার্জন ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদনের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

জাহাজযোগে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বুধবার বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করবে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজযোগে আসা বিজিপি সদস্যদের নিকট আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হবে।

চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয় শতের অধিক আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার বিজিপি, সেনা সদস্য ও অন্যান্যদের মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।


মিয়ানমার   বিজিপি   সদস্য   হস্তান্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিখোঁজ কেএনএফ প্রধানের স্ত্রী লালসমকিম

প্রকাশ: ০৯:৩৬ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতিকাণ্ডের পর নতুন করে আলোচনার খাতা খোলেন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান নাথান বম। নিরুদ্দেশ তিনি। ভারতের মিজোরাম, নাকি ইউরোপের কোনো দেশে রয়েছেন তিনি তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে এবার নাথানের স্ত্রী লালসমকিম বমেরও মিলছে না খোঁজ।

লালসমকিম সরকারি হাসপাতালের সেবিকা (নার্স) হওয়ায় তার নিরুদ্দেশ হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। গেল ৮ এপ্রিল রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছিল।

তবে বদলির ১৪ দিন পার হলেও হদিস নেই নাথানের স্ত্রীর। গতকাল পর্যন্ত লালমনিরহাটেও যোগ দেননি তিনি। রুমায় তার বাড়িতে নেই লালসমকিম।

স্থানীয়রা জানায়, লালমনিরহাটে বদলির আদেশের পর থেকেই লাপাত্তা লালসমকিম। রুমা সদরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাসাতেও থাকছেন না তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি আত্মগোপনে গেছেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে আলোচনা।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, লালসমকিমকে না পেয়ে তার তাৎক্ষণিক বদলির অনুলিপি বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। সাধারণত এ ধরনের আদেশের পর জিনিসপত্র গুছিয়ে নতুন বদলির জায়গায় যোগ দিতে ছয় দিন সময় পান। যেদিন লালসমকিমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে, সেদিন থেকে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর থাকার সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। 


লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রমজান আলী বলেন, নাথানের স্ত্রীর বদলির তথ্য আমরা জেনেছি। তবে তিনি এখনও যোগ দেননি। কেন এত দিনেও নতুন কর্মস্থলে আসছেন না, সেটিও মৌখিক বা লিখিতভাবে জানাননি।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নাথান বমের স্ত্রী ও আরেক নার্স দীপালি বাড়ৈর সঙ্গে কেএনএফের যোগাযোগ আছে কি না এমন সন্দেহ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে কেউ কেউ শঙ্কা করছেন, কেএনএফের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের তথ্য পাচার হওয়া নিয়ে। এর আগেও লালসমকিম বমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তিনি তখন দাবি করেছিলেন, কয়েক বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নেই। 

র‍্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। তবে নাথান বমের স্ত্রী কোথায় আছেন, সেটি জানা নেই। 

বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, নাথানের স্ত্রীর হদিস পাচ্ছি না। তিনি বাড়িতে নেই, এটা জেনেছি। নাথানের অবস্থান নিয়েও স্পষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই।

রুমা সদর ইউনিয়নের ইডেনপাড়ার বাসিন্দা মৃত জাওতন লনচেওর ছেলে নাথান বম। তার বাবা ছিলেন জুমচাষি। মা মৃত রৌকিল বম। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে নাথান ছোট। অভাব-অনটনের মধ্যে বড় হয়েছেন নাথান। তার দুই ভাই জুম চাষ করেন। নাথানের এক ভাই রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আরেক ভাই অর্থ পাচারের মামলায় রাঙামাটি কারাগারে।

১৯৯৬ সালে নাথান বম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। ওই বছরই ঢাবির প্রাক্তন উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বান্দরবান সফরে গিয়ে খিয়াং, লুসাই, ম্রো, বম জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিশ্রুতি দেন। তাই পরীক্ষায় পাস না করলেও নাথান চারুকলা অনুষদে ভর্তির সুযোগ পান। 

বান্দরবানে ডাকাতির পর সরকারের উচ্চ পর্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নাথানকে ফেরাতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হবে। এ ব্যাপারে গতকাল পর্যন্ত নোটিশ পাঠানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদরদপ্তরের ইন্টারপোলের শাখা কার্যালয় ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) এআইজি আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, নাথান বমের ব্যাপারে যে সংস্থা তদন্ত করছে, তাদের কাছ থেকে আবেদন এলেই সেটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলে পাঠানো হবে। আমরা এখনও সে ধরনের চিঠি পাইনি।

এদিকে কেএনএফ তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে দাবি করে, ‘রাষ্ট্র বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থা কেএনএফের প্রধান নাথান বমকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী লালসমকিম বমকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল। যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর নাথানের স্ত্রী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পাড়াবাসী তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি। লালসমকিম কোথায় আছেন, সে ব্যাপারে কেএনএফের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের কাছে এখনও কোনো তথ্য আসেনি।’

কেএনএফ ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করে। টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও পাহারায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে। পরের দিন দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে তারা। এ ঘটনার পর সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যরা সমন্বিত অভিযান চালান। অভিযানে এখন পর্যন্ত ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বান্দরবানের রুমায় কেএনএফ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠনের কথা চাউর হয় ২০২২ সালের শুরুর দিকে। বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, খুমি ও ম্রোদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও সেখানে বম জনগোষ্ঠীর কিছু সংখ্যক লোক রয়েছে। এ কারণে সংগঠনটি পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত।

কেএনএফের ফেসবুক পেজে তারা জানায়, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাইছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা, আলীকদমসহ ৯ উপজেলা নিয়ে ‘কুকি-চিন রাজ্য’ হিসেবে গঠন করা হবে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আতঙ্কে সে সময় ভারতের মিজোরামে পালিয়ে আশ্রয় নেয় পাঁচ শতাধিক বম নারী-পুরুষ।

সশস্ত্র সংগঠনটি অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয় বলে ২০২২ সালের অক্টোবরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে জানায় র‍্যাব। 


নিখোঁজ   কেএনএফ   ব্যাংক ডাকাতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার রাজধানীতে 'হিটস্ট্রোকে' যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর ডেমরার আমিন বাগে মেহেদী হাসান (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে চিকিৎসকের ধারণা, মেহেদী হাসান হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

নিহত মেহেদী হাসান ডেমরার ইষ্টার্ন হাউজিং বাঁশের পোল আমিন বাগের জুয়ের মণ্ডলের একমাত্র ছেলে।

নিহতের খালা ইসরাত জাহান জানান, বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল মেহেদী। মা বাবার ইচ্ছায় মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে করে সে। আগামী শুক্রবার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু এরই মধ্যে আজ দুপুরের দিকে নিজ বাড়িতে হঠাৎ সে গরমে অস্থির হয়ে বেশ কয়েকবার বমি করে। পরে দ্রুত তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আজ রাতের দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান মেহেদী আর বেঁচে নেই। 

তিনি আরও জানান, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে জ্যামে পড়ে আমার কোলেই গরমে অচেতন হয়ে পড়ে আমার বোনের ছেলে মেহেদী। আমি সবই চেয়ে চেয়ে দেখলাম, আমাদের কিছুই করার ছিল না। আমরা বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।


হিটস্ট্রোক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোস্টার প্রচারে আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবীর হিমু রঙিন পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। এতে ‍উপজেলাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে এই উপজেলায়। কিন্তু তার আগেই পছন্দের টিউওবয়েল প্রতীক ছাপিয়ে তার ফেসবুকে প্রচারণা শুরু করেছেন ওই নেতা। হুমায়ুন কবীর হিমু শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির এমন কাজে নিয়ে অন্য প্রার্থীরা অসেন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, নিজের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতেই আগেভাগেই প্রচার চালাচ্ছেন আ.লীগ নেতা হিমু। এটা নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন।

এই নেতার ফেসবুকে শেয়ারে দেখা গেছে টিউওবয়েল (পানির কল) প্রতীক সংবলিত একটি রঙিন পোস্টার। এবং শেয়ার করে দোয়া চেয়েছেন। সেখানে তারও একটি রঙিন ছবি সংযোজন করা আছে।

পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ভাইস চেয়ারম্যাট পদে দোয়া চাই ভোট চাই।’ আর তার শেয়ার করা প্রতীকসংবলিত পোস্টারে লেখা আছে, আমি আপনাদেরই লোক আমাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন’।

নির্বাচনী অফিস সূত্র বলছে, আগামী দুই মে প্রতীক বরাদ্দ পাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। যদি একই প্রতীক একাধিক প্রার্থীর পছন্দ থাকে তাহলে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে।

এ ব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দীন বলেন, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি কে কোন প্রতীক পাবে? একই প্রতীক একাধিক প্রার্থীর পছন্দ থাকতে পারে। এতে একটা বিভ্রাট তৈরি হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির হিমুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কি আইন আছে তা জানি না। পরে নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আল নোমান বলেন, ‘তিনি এটা করতে পারবেন না। এটা আইনে নেই। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।


আওয়ামী লীগ নেতা   প্রতীক বরাদ্দ   প্রচার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন