নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৪ এএম, ২৭ মে, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে। তিনি প্রথমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তন শুরু করেছে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদও সরে যাবেন। ইতিমধ্যে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীণ রয়েছেন। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুস্থ হয়েও কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তা নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের সংশয় রয়েছে। এ কারণেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৩ জনের নাম সরকারের নীতি নির্ধারক মহল বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় আসছে, নীতি নির্ধারক পর্যায়ে যাদেরকে নিয়ে ভাবা হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন:
ডা. নাসিমা সুলতানা
যিনি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে ছিলেন।ডা. নাসিমা সুলতানা আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তার ভাই ইকবালুর রহিম জাতীয় সংসদের হুইপ। আরেক ভাই এনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের বিচারপতি। নাসিমা সুলতানা সৎ এবং নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তবে তার ব্যাপারে নেতিবাচক দিক হচ্ছে এই করোনায় একটা যুদ্ধাবস্থা চলছে। এই সময় একজন নারী মহাপরিচালক নিয়োগের ব্যাপারে কারও কারও একটু অস্বস্তি রয়েছে বলে সরকারের নীতি নির্ধারক সূত্রে জানা গেছে।
ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন
মহাপরিচালক হিসেবে দ্বিতীয় নামটি অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের। তিনি স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। একটি বিভাগে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন অবস্থায় আরেকটি বিভাগে মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে নীতি নির্ধারক মহলে অনেকের সম্মতি নেই। তাছাড়া তিনি নিজেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হতে খুব একটা আগ্রহী নন বলে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলকে জানিয়ে দিয়েছেন।
ডা. আবুল হাশেম খান
তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে আাছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন)ডা. আবুল হাশেম খানের নাম। তিনি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তৃণমূল পর্যায়ে তার নেটওয়ার্ক রয়েছে। তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের লাইন ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই প্রেক্ষিতে প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে তার একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। এই বিবেচনা থেকে তার নামও আলোচনায় এসেছে। এর আগে তিনি মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ও হাসপাতাল স্বাচিপের সভাপতিও ছিলেন।
সামগ্রিক বিবেচনায় এই ৩ জনের মধ্য থেকে কাকে নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে সরকারেরর একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।