নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ২৭ মে, ২০২০
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিপদের সাথে লড়াই করে এই মানব সভ্যতা আজ পাথরে লেখার যুগ থেকে ল্যাপটপে চলে এসেছে। এই চলার পথে অর্থনীতির চাকা ঘুরেছে বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে। তবু থেমে থাকেনি কাজ, বন্ধ হয়নি মানব প্রজাতির জীবন যাত্রা।
আজ এই আধুনিকতরা চাকচিক্যপূর্ণ সভ্যতা আবার বিপদের সম্মুখীন। সারা বিশ্ব এখন প্রায় অচল অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এই বিপদটি হচ্ছে কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে সবার আলোচিত বিষয়। তবে এই তিক্ত অবস্থাতেও কিন্তু থেমে নেই বড় বড় দেশগুলোর অর্থনীতির চাকা। কারণ এই যুগের সব চাইতে বড় শক্তি এখন যদি ধরা হয় সেটা হচ্ছে ইন্টারনেট। আর এর সুবাদেই ঘরে বসেই অফিস এর সকল রকম কাজ কর্ম এমন কি অর্থনৈতিক লেনদেনটাও করে ফেলছে ইউরোপ, আমেরিকা সহ আরও অনেক উন্নত মানের দেশ।
অ্যাপেল, মাইক্রোসফট, গুগল, অ্যামাজন সহ রাঘব বোয়াল সব কোম্পানি গুলো কিন্তু দিব্যি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বাসায়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের জীবন যাত্রার অনেক কিছুতে পরিবর্তন আনতে হয়। আর এইবার এই কর্পোরেট জগৎ টায় পরিবর্তন এসেছে এই “হোমে অফিস” বা যাকে এক কথায় বাসায় বসে অফিস করা কেই বুঝায়। বড় বড় মিটিং সহ না না রকমের কাজ করছে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ এবং এভাবেই তাদের অর্থনীতির উপরও নেতিবাচক প্রভাব পরবার ঝুঁকি কমে গিয়েছে অনেক অংশেই।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এবং অর্থনীতির চাকাটিকে সচল রাখতে বাংলাদেশেও হচ্ছে হোম অফিস। তবে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে। কারণ অনেক প্রতিষ্ঠানই বিষয়টিকে ঠিক রপ্ত করতে পারেনি। যার ফলে অনেকের অবস্থা আজ বিপদ্ঘন আবার অনেকেই হয়েছেন বেকার। তবে বিশেষজ্ঞ এবং টেক জায়ান্ট কোম্পানি গুলোর মুখ পাত্ররা বলছেন এই সংকট মুহূর্তে নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখতে এবং অর্থনীতিকে সচল করতে এই হোম অফিস এর কোন বিকল্প নেই। আপনার অর্থ উপার্জন বজায় রাখবার জন্য অবশ্যই কিছু না কিছু কাজ আপনার করতেই হবে এবং সেটাই এখন ঘরে বসে অনায়াশে করা যাচ্ছে অনলাইনে। এর পাশাপাশি গুগল দিচ্ছে “গুগল ক্লাসরুম” যা দিয়ে দেশে এবং বিদেশে স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির পড়ালেখা ও পরীক্ষা চালিয়ে নেয়া যাচ্ছে অনায়াসেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য মতে জানা যায় যে আমাদের জন্য আরও খারাপ মুহূর্ত অপেক্ষা করছে যাকে বলা হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ। এই সময়ে রোগী বেড়ে যাবে কয়েক গুন সাথে সমস্যাও। কিন্তু আমাদের বসে থাকলে চলবে না। কারণ করোনা শেষ হয়ে যাবে একদিন। কিন্তু আমরা যদি আমাদের অর্থনীতিক অবস্থাকে এভাবে বসিয়ে রাখি তাহলে করোনার চাইতেও ভয়াবহ হবে পরবর্তী দৃশ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুতরাং বাসায় বসে যে ডিজিটাল অফিস হচ্ছে সেটা আমাদের জন্য ভালো। যারা এখনো শুরু করেননি তাদেরকেও খুব দ্রুতই শুরু করতে হবে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য।
কিছু হোম অফিস চলা প্রতিষ্ঠান এর কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে তাদের কাজের আগ্রহ এখন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কারণ ঘরে বসে যখন রিল্যাক্স একটা পরিবেশে কাজ করছেন সে সময় তাদের কর্মদক্ষতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করছেন কেউ কেউ। যাদের বেশিরভাগ কাজ কম্পিউটার এর সামনে তাদের ও কাজ করতে তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না বলে জানান।
সুতরাং এই পদ্ধতিতে যদি সব প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ অল্প পরিসরে শুরু করে ফেলেন তবে আগামীতে যে বিপদের আশংকা আমরা করছি তা অনেকটাই উত্রিয়ে উঠতে পারবো বলে আসা রাখছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।