নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ২৮ মে, ২০২০
সরকার সাধারণ ছুটির মেয়াদ না বাড়ানোয় স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরতে যাচ্ছে দেশের ব্যাংকগুলোও। আগামী রোববার (৩১ মে) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব ব্যাংকে লেনদনে চলবে। তবে করোনা ভাইরাসের মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনটি সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, কর্মকর্তা, সন্তানসম্ভবা গ্রাহক ও কর্মকর্তা ব্যাংকে যেতে পারবেন না। কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্বে যাতায়াত করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা প্রতি কর্মদিবসে খোলা থাকবে। অন্যদিকে শ্রমঘন শিল্প এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা আগের নিয়মে খোলা থাকবে।
বিশেষ বিশেষ এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর (পোর্ট ও কাস্টমস) এলাকায় ব্যাংকের শাখা ও বুথ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমিত মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। অন্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য বিকেল চারটা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখা যাবে।
এতে আরও বলা হয়, গ্রাহকের প্রয়োজনে নগদ-চেকের মাধ্যমে জমা-উত্তোলন, ডিডি, পে-অর্ডার ইস্যু, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে। এছাড়াও ট্রেজারি চালান গ্রহণ, সরকারের সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় ভাতা-অনুদান বিতরণ, বৈদেশিক রেমিটেন্সের অর্থ পরিশোধ, প্রণোদনাগুচ্ছের কার্যক্রম, যাবতীয় নিয়ম মেনে ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ, পেমেন্ট সিস্টেমের আওতাধীন অন্য লেনদেন সুবিধা দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে এনআরবি বন্ড, বিভিন্ন প্রকার সঞ্চয়পত্রের লেনদেন এবং এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়, ৩০ মে’র পর আর সাধারণ ছুটি থাকছে না। তবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে অফিস খোলা রাখতে বলা হয়েছে। এই সময়ে সীমিত পরিসরে গণপরিবহনও চালু রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে সেক্ষেত্রে গণপরিবহনে যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এরই মধ্যে রোববার থেকে পুঁজিবাজার খোলার ঘোষণা এসেছে। গণপরিবহনগুলো বাড়তি ভাড়ায় চলবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। ৪ অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলের ঘোষণাও এসেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই আদেশে বলা হয়েছিল, ব্যাংকগুলো খোলা রাখা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করবে। সে প্রজ্ঞাপনে স্বাভাবিক ব্যাংকিংয়ে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
ড. ইউনূস পুরস্কার বিতর্ক দ্য ট্রি অব পিস
মন্তব্য করুন
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের
এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী। জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের
সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে
‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য
রাখেন।
এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি
জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব
করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব
দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র
উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।
এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ
নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম,
এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র
সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউ
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।