নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ২২ জুলাই, ২০১৭
সৈয়দ ওবায়দুল্লাহ সাজু। তিন বছর আগেও করতেন বিএনপি। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই বনে যান নেতা। বরিশালের ‘হাসনাত’ পরিবারের কৃপায় হয়ে যান, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। তারপর শুরু করেন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি। প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন বিভিন্ন বিষয়ে। থানা পুলিশে তদবির শুরু করেন। প্রশাসন তাঁর ভয়ে তটস্থ থাকে। সাজুর মতো এরকম আওয়ামী লীগারে এখন গোটা দেশ ভরে গেছে। এই সব নব্য আওয়ামী লীগারদের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এরা প্রশাসনকে রীতিমতো ক্ষেপিয়ে তুলেছে। এদের অবৈধ কাজ করতে না পেরে অনেকে মাঠ থেকে ঢাকায় ফিরে আসতে চাচ্ছে। আর কোনো সৎ সাহসী, কর্মকর্তা যদি তাঁদের এসব অবৈধ এবং অনৈতিক কাজে সমর্থন না দেন, তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়, অথবা ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। তারিক সালমানের ক্ষেত্রে দুটিই হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে, তিনি নব্য আওয়ামী লীগারদের অনেক অনৈতিক এবং অবৈধ কাজে সম্মতি দেননি। এজন্য এক রকম চাপ সৃষ্টি করেই তাঁকে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে বরগুনায় বদলি করা হেয়। প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে নকলের অভিযোগে পরীক্ষার হল থেকে বহিস্কার করে তারিক সালমান রোষের পাত্র হন।
গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত নির্বাচক কমিটির বৈঠকে এই প্রসঙ্গ আসে। প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাজুরা থাকলে তো আর বিএনপির দরকার নেই। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক করতে চাই। পে-কমিশন দিচ্ছি। আর সাজুরা প্রশাসনকে ক্ষেপিয়ে দিচ্ছে।‘
বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, ‘এই সব হাইব্রিডরা আওয়ামী লীগকে ডোবাবে। এর প্রতিক্রিয়া সারাদেশে হয়েছে।‘
ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগের আরেক নেতা বলেন, ‘বরিশালের ঘটনা চরম পর্যায়ে যাওয়ার কারণে আমাদের নজরে এসেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম ঘটনা ঘটছে।‘ তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নঁওগা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘ এরা আওয়ামী লীগের সর্বনাশ করছে।‘
প্রধানমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বলেন, ‘সারাদেশের নেতা কর্মীদের জানিয়ে দাও, প্রশাসনের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ বরদাশত করা হবে না। কর্মীরা কেন ইউএনও অফিসে যাবে? ছাত্রলীগ-যুবলীগের ডিসি অফিসে যাবার দরকার কী? প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ ধরনের ঘটনা আর দেখতে চাই না।‘
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।