ইনসাইড বাংলাদেশ

কারো নিয়ন্ত্রণে নেই বেসরকারি হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২০


Thumbnail

বেসরকারি হাসপাতালগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। করোনা সঙ্কটের শুরু থেকেই বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মালিকদের নিয়ন্ত্রণহীন এবং অযৌক্তিক আচরণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি করেছিল এবং এখন তাঁদের স্বেচ্ছাচারিতা লাগামহীন হয়ে গেছে। যেন তাঁদের কেউ দেখার নেই, তাঁরা জবাবদিহিতার আওতার মধ্যেই নেই। বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই সকল ধরণের চিকিৎসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কোন কোন হাসপাতাল সেবা প্রদান শুরু করলেও অধিকাংশ মানুষ সেই সময় থেকে কার্যত চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এরপর যখন সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলো যে, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা করতে হবে, তখন অনেকগুলো বেসরকারি হাসপাতাল এই কাজ শুরু করলেও সেই ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক ত্রুটি এবং অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকগুলো হাসপাতাল সরকারের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে আবার রোগীদের কাছ থেকেও টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া কোভিড এবং নন কোভিড রোগীদের আলাদা চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও ইউনাইটেড হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল কোভিড এবং নন কোভিড রোগীদের একাকার করে চিকিৎসা দিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, বাংলাদেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জবাবদিহিতা ছিলনা দীর্ঘদিন ধরেই। এখন করোনাকালে তাঁদের যে আচরণ এবং অর্থলিপ্সা চরমভাবে প্রকাশিত হয়েছে, একারণে অবিলম্বে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে যে সকল অব্যবস্থাপনা এবং স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাঁর মধ্যে রয়েছে-

১. কোভিড-নন কোভিড আলাদা ব্যবস্থা নেই

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ চিকিৎসা প্রদান সংক্রান্ত এক পরিপত্র জারি করা হয়েছিল। সেই পরিপত্রে বলা হয়েছিল যে, পঞ্চাশ বেডের উর্ধ্ব বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে কোভিড-১৯ এবং নন কোভিড রোগীদের আলাদা চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে। কিন্তু ইউনাইটেড হাসপাতালের সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের মূল গেটেই লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ফলে সেখানে যাওয়া ডায়ালাইসিসের রোগীসহ অন্যান্য রোগীরা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে। ইউনাইটেড হাসপাতালে কিছুদিন আগেই পাঁচজন মারা গেল, সেই মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি, তদন্তের ব্যাপারেও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

২. পৃথক সিসিইউ নেই

অধিকাংশ হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগী যখন খারাপ অবস্থায় চলে যাচ্ছে তখনই সিসিইউ-তে নেওয়ার দরকার হচ্ছে, কিন্তু সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, অনেকগুলো হাসপাতালেই কোভিড এবং নন কোভিড রোগীদের জন্য পৃথক সিসিইউ নেই। ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলো মৃত্যুকূপে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

৩. ইচ্ছেমতো বিল নেওয়া

করোনার সংক্রমণের পর এখন বেসরকারি হাসপাতালগুলো যেন এক করোনা ব্যবসা শুরু করেছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে লাগামহীন বিল নেওয়া হচ্ছে, এখানে কোন জবাবদিহিতা নেই এবং কত বিল নেওয়া হবে সেই সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না থাকার ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলো যে যেভাবে পারছে করোনা চিকিৎসার বিল হাঁকছে। এই ব্যাপারে একজন চিকিৎসক বলেছেন যে, ডেঙ্গু টেস্টের সময় সরকার যেমন একটি নির্দিষ্ট ফি ধার্য করে দিয়েছিল এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার উপর নজরদারি রেখেছিল, এবার করোনায় তা না থাকার ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলো যার কাছ থেকে যেভাবে পারছে মাছের বাজারের মতো অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এটাই একটি জবাবদিহিতাবিহীন অরাজকর অবস্থা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকরা।

৪. গুরুতর অসুস্থ হলেই চিকিৎসা দিচ্ছে না

গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর রোগীরা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরছে এমন খবর প্রতিদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে এবং হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে, আইসিইউ বেড খালি নেই, বিছানা খালি নেই ইত্যাদি কথা বলে রোগীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এরকম রোগী ফেরত পাঠানো একটি চরম অনৈতিক কাজ বলে মনে করছেন শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা। কিন্তু নীতি-নৈতিকতার কথা বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মালিকরা কবে বুঝেছিলেন?

৫. চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম ঝুঁকিতে

বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে সত্যি, কিন্তু হাসপাতালগুলোতে যে পরিমাণ পিপিই বা চিকিৎসা উপকরণ দরকার, সেই পর্যাপ্ত উপকরণ দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি অনেকগুলো হাসপাতালে বেতন-ভাতা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। আর এইকারণেই শেষ পর্যন্ত চরম ঝুঁকিতে পড়েছেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। যারা বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়মিত এখনো জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে যাচ্ছেন, সেই স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে তাঁরা ঝুঁকির মধ্যেই বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অবিলম্বে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত এবং এসমস্ত অরাজকতার লাগাম টেনে ধরা দরকার। নাহলে পরিস্থিতি অনেক খারাপ হয়ে যেতে পারে।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’
 
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই  দিক থেকে বলছি। কেন এটা বলছি? স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।’


ভারত   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   মার্কিন দূতাবাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যে ঝুঁকছে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। 

আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে। 

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷ 

দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে। 

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের  দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।


মধ্যপ্রাচ্য   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সংস্থাটির ১৫ জন কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান, আকিব রায়হান, শাওন হাসান অনিক, তালুকদার ইনতেজার ও চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ প্রশাসন ক্যাডারে এবং আশরাফুল হোসেন, সুজনুর ইসলাম সুজন ও মো. ইমাম হোসেন পুলিশ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহসভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইকে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও  আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’ 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হত্যার হুমকি   থানায় অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৪ মে থেকে শনিবারও খোলা থাকবে স্কুল

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

সূত্র জানায়, বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। তাই রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলিও বন্ধ থাকবে।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। 


স্কুল   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপমাত্রা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন