নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ৩০ জুন, ২০২০
করোনা মোকাবেলার শুরু থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একের পর এক দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড করছে, তাঁদের অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে, তাঁদের সমন্বয়হীনতা প্রকট আকারে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি এবং অযোগ্যতা যত দিন যাচ্ছে তত প্রকাশ্য হচ্ছে। আর এসমস্ত বাস্তবতার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকি করার দায়িত্ব নেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে তাঁদের পরামর্শ দেন যেন তারা জনকল্যাণ করতে পারে, জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বক্তব্য খণ্ডন করাই যেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ হয়ে উঠেছে। আমরা যদি দেখে নেই যে করোনা পরিস্থিতির পর থেকে কিভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বক্তব্যের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছে তাহলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে।
পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারি
প্রধানমন্ত্রী যখন সারাদেশের সবগুলো জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যু্ক্ত হয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে মাস্কগুলো দেওয়া হয়েছে সেই মাস্কগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের এবং সুরক্ষা সামগ্রীগুলোও মানসম্মত নয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের বললেন যে এন-৯৫ মাস্ক বলে যেগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো আসলে এন-৯৫ মাস্ক নয়৷ মোড়কে এন-৯৫ লেখা থাকলেও বাস্তবে তা নয়। একইসঙ্গে যে জিনিসগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে সেগুলো সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে কিনা, মোড়কে যা লেখা আছে তা ভেতরে ঠিকঠাকভাবে আছে কিনা তা যাচাই করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু এর পরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খণ্ডনের জন্য উঠেপড়ে লাগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে সিএমএইচডি`র সাবেক পরিচালক পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে যে দুর্নীতি হয়নি তার ফিরিস্তি দেওয়া শুরু করেন এবং উপর্যুপরি ৩ দিন এই ফিরিস্তিগুলো দেন। যেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই খণ্ডন করছেন। এরপর সিএমএইচডি’র পরিচালককে বিদায় দিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু বিদায় নেওয়ার সময় তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে প্যানডোরা বাক্স খুলে দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির হোতা কারা, কিভাবে দুর্নীতি হচ্ছে তাঁর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কথা। তিনি বলছেন দুর্নীতি যারাই করবে, বিশেষ করে করোনাকালে যারা দুর্নীতি করবে তাঁদের ছাড় দেওয়া হবেনা এবং এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফ থেকে তদন্তের নির্দেশনা দেন। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি এবং তদন্ত রিপোর্টে যাদের নাম এসেছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়নি।
এক ব্যক্তিকে পাঁচ দায়িত্ব
এই সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে এবং এটা যে এক প্রকার স্যাবোটাজ সেটা আরো স্পষ্ট হয় যখন করোনা মোকাবেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক এক ছাত্রদল নেতাকে। শুধু দায়িত্ব নয়, ঐ নেতাকে পাঁচটি দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছিল এবং এই বিষয়টি যখন প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে তখন প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সেই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করে। এরপর নতুন সচিব আব্দুল মান্নান দায়িত্ব গ্রহণের পর এই ব্যাপারটি নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত অনেক বিলম্ব হলেও ডা. ইকবাল কবীরকে সেই পাঁচটি দায়িত্ব থেকে ওএসডি করা হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডা. ইকবাল কবীরের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করে, ভাবখানা এমন যে যেন প্রধানমন্ত্রী ভুল বলছেন এবং তারাই সঠিক।
বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা
বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং করোনা চিকিৎসা শুরুতে বিনামূল্যে ছিল। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করাবে এবং সরকার টাকা দিবে৷ কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনা চিকিৎসার জন্য সরকারি টাকাও যেমন নিতে শুরু করে অন্যদিকে জনগণের টাকাও হাতিয়ে নেওয়া অব্যহত রাখে। এই অবস্থা প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং তিনি কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করে বলেন যে যারা সরকারি টাকা নেওয়ার পর জনগণের টাকাও নিচ্ছে তাদের সরকারি টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘুমিয়ে ছিল। তাহলে কি বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গোপন যোগসাজশ ছিল? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বেসরকারি হাসপাতালগুলো এখন যেমন খুশী তেমন বিল হাঁকছেন, এটা নিয়ন্ত্রণে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর।
২০ কোটি টাকা ১ মাসের বিল
ঢাকা মেডিকেল কলেজে করোনা ইউনিট করা হয়েছে অনেক গড়িমসির পর এবং প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে। এইখানে চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার ১ মাসের বিল এসেছে ২০ কোটি টাকা। এই বিল নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরবর্তীতে এরকম আর বিল দেওয়া হবেনা মর্মে এবারের বিল ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন বিষয়টি অস্বাভাবিক, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিপক্ষ হয়ে উঠলেন, তিনি বললেন যে, বিল সব ঠিকই আছে, কোন বাড়তি বিল হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রী কি বলতে পারবেন যে, এই ১ মাসে কতজন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী ডিউটি করেছেন, কতটি হোটেলে থাকা হয়েছে, হোটেল ভাড়া কত হয়েছিল এবং অন্যান্য খরচ কি? তিনি না জেনে বুঝে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান করলেন। এটা শুধু শিষ্টাচার বিরোধী নয়, বরং জাতীয় সংসদীয় নিয়মনীতির-ও পরিপন্থি। এভাবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে। আসলে করোনা মোকাবেলা নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেন সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার মিশনে নেমেছে এবং এই মিশনে সফল হওয়ার জন্য সবাই যার যার অবস্থান থেকে প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নতুন সচিব আব্দুল মান্নান একাই যেন স্রোতের বিপরীতে লড়ছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পালনের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের সময় অল্প কয়েকদিন এবং পুরো বিষয়টিই যখন একটি সিণ্ডিকেটের কাছে জিম্মি তখন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব একা কি করবেন সেটাও দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের
এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী। জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের
সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে
‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য
রাখেন।
এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি
জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব
করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব
দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র
উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।
এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ
নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম,
এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র
সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউ
মন্তব্য করুন
সন্নিকটে ঈদুল ফিতর। হাতে বাকি দুই সপ্তাহেরও কম সময়। ইতোমধ্যেই ঈদকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান পরিকল্পনাও। কারণ ঈদে নাড়ির টানে কেউ ছুটে যান গ্রামের বাড়ি, আবার কেউ স্বজনদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘোরাঘুরিতে। কিন্তু এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।
আমাদের দেশে বহু বছর ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী, ২৯ রমজান থেকে ঈদের তিন দিনের ছুটি শুরু হয় (ঈদের আগে-পরে দুদিন)। তবে রোজা ৩০টি হলে আরও এক দিনের ছুটি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছর মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদে সরকারি ছুটি থাকছে ১০-১২ এপ্রিল।
রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে ধরে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ২৯ রমজানে (৯ এপ্রিল) সরকারি অফিস খোলা থাকছে। কোনো কারণে ২৯ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হলেও এদিন অফিস চলবে। এদিকে ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন পহেলা বৈশাখের সাধারণ ছুটি। ফলে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি চাকুরেরা।
তবে সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেকের ধারণা ছিল, ভুলবশত ২৯ রমজানে ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানা গেছে, ভুল নয় প্রযুক্তিগত নিশ্চয়তা থেকে ছুটির তালিকায় ২৯ রমজান রাখা হয়নি। ৩০ রোজা হলেও ঈদের ছুটি থাকবে তিন দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া ছুটি বাড়ানো বা আগের মতো চার দিন ছুটি সম্ভব নয়।
মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে, প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আগে থেকেই জানা যায়, কয়টি রোজা হবে, কবে ঈদ হবে। আগে অনিশ্চয়তা ছিল, সে কারণে ২৮ রমজানে ছুটি হয়ে যেত। এখন যেহেতু আগেই জানা যাচ্ছে কী হবে, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তালিকা অনুযায়ী ছুটির তালিকা হয়েছে।
তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, ঈদ কবে, তা নির্ধারণ করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ২৯ রমজান সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। সেদিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন (১০ এপ্রিল) ঈদ হবে। না দেখা গেলে (১১ এপ্রিল) ঈদ হবে। ছুটি নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার।
এদিকে নগরবাসী যেন ঈদযাত্রায় ধাপে ধাপে স্বস্তিতে গ্রামে যেতে পারে, এ জন্য ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সরকারি অফিস ঈদুল ফিতর অফিস টাইম রমজান
মন্তব্য করুন
ইউনূস সেন্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মন্তব্য করুন
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে
ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডের
ঘটনায় নিহত হন ২৬ জন। আর আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর
মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান
জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান
লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন
তদন্ত কর্মকর্তা।
একই বচরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি
গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
দেন।
এদিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য
মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার
দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন
হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি
অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত
করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ
করে চার্জশিট
জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল
ইসলাম।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের
আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে
থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর
রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম
ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য।
ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ,
রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে
আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত
হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর
আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে
মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলেও দায়িত্বভার না নিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ চার আইনজীবীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দেন বিএনপিপন্থি এ আইনজীবী নেতা।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে- প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।