ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ৩০ জুন, ২০২০


Thumbnail

করোনা মোকাবেলার শুরু থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একের পর এক দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড করছে, তাঁদের অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে, তাঁদের সমন্বয়হীনতা প্রকট আকারে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি এবং অযোগ্যতা যত দিন যাচ্ছে তত প্রকাশ্য হচ্ছে। আর এসমস্ত বাস্তবতার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকি করার দায়িত্ব নেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে তাঁদের পরামর্শ দেন যেন তারা জনকল্যাণ করতে পারে, জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বক্তব্য খণ্ডন করাই যেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ হয়ে উঠেছে। আমরা যদি দেখে নেই যে করোনা পরিস্থিতির পর থেকে কিভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বক্তব্যের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছে তাহলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে।

পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারি

প্রধানমন্ত্রী যখন সারাদেশের সবগুলো জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যু্ক্ত হয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে মাস্কগুলো দেওয়া হয়েছে সেই মাস্কগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের এবং সুরক্ষা সামগ্রীগুলোও মানসম্মত নয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের বললেন যে এন-৯৫ মাস্ক বলে যেগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো আসলে এন-৯৫ মাস্ক নয়৷ মোড়কে এন-৯৫ লেখা থাকলেও বাস্তবে তা নয়। একইসঙ্গে যে জিনিসগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে সেগুলো সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে কিনা, মোড়কে যা লেখা আছে তা ভেতরে ঠিকঠাকভাবে আছে কিনা তা যাচাই করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু এর পরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খণ্ডনের জন্য উঠেপড়ে লাগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে সিএমএইচডি`র সাবেক পরিচালক পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে যে দুর্নীতি হয়নি তার ফিরিস্তি দেওয়া শুরু করেন এবং উপর্যুপরি ৩ দিন এই ফিরিস্তিগুলো দেন। যেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই খণ্ডন করছেন। এরপর সিএমএইচডি’র পরিচালককে বিদায় দিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু বিদায় নেওয়ার সময় তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে প্যানডোরা বাক্স খুলে দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির হোতা কারা, কিভাবে দুর্নীতি হচ্ছে তাঁর বিস্তারিত তুলে ধরেন।

দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কথা। তিনি বলছেন দুর্নীতি যারাই করবে, বিশেষ করে করোনাকালে যারা দুর্নীতি করবে তাঁদের ছাড় দেওয়া হবেনা এবং এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফ থেকে তদন্তের নির্দেশনা দেন। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি এবং তদন্ত রিপোর্টে যাদের নাম এসেছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়নি।

এক ব্যক্তিকে পাঁচ দায়িত্ব

এই সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে এবং এটা যে এক প্রকার স্যাবোটাজ সেটা আরো স্পষ্ট হয় যখন করোনা মোকাবেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক এক ছাত্রদল নেতাকে। শুধু দায়িত্ব নয়, ঐ নেতাকে পাঁচটি দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছিল এবং এই বিষয়টি যখন প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে তখন প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সেই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করে। এরপর নতুন সচিব আব্দুল মান্নান দায়িত্ব গ্রহণের পর এই ব্যাপারটি নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত অনেক বিলম্ব হলেও ডা. ইকবাল কবীরকে সেই পাঁচটি দায়িত্ব থেকে ওএসডি করা হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডা. ইকবাল কবীরের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করে, ভাবখানা এমন যে যেন প্রধানমন্ত্রী ভুল বলছেন এবং তারাই সঠিক। 

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং করোনা চিকিৎসা শুরুতে বিনামূল্যে ছিল। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করাবে এবং সরকার টাকা দিবে৷ কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনা চিকিৎসার জন্য সরকারি টাকাও যেমন নিতে শুরু করে অন্যদিকে জনগণের টাকাও হাতিয়ে নেওয়া অব্যহত রাখে। এই অবস্থা প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং তিনি কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করে বলেন যে যারা সরকারি টাকা নেওয়ার পর জনগণের টাকাও নিচ্ছে তাদের সরকারি টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘুমিয়ে ছিল। তাহলে কি বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গোপন যোগসাজশ ছিল? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বেসরকারি হাসপাতালগুলো এখন যেমন খুশী তেমন বিল হাঁকছেন, এটা নিয়ন্ত্রণে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর।

২০ কোটি টাকা ১ মাসের বিল

ঢাকা মেডিকেল কলেজে করোনা ইউনিট করা হয়েছে অনেক গড়িমসির পর এবং প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে। এইখানে চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার ১ মাসের বিল এসেছে ২০ কোটি টাকা। এই বিল নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরবর্তীতে এরকম আর বিল দেওয়া হবেনা মর্মে এবারের বিল ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন বিষয়টি অস্বাভাবিক, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিপক্ষ হয়ে উঠলেন, তিনি বললেন যে, বিল সব ঠিকই আছে, কোন বাড়তি বিল হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রী কি বলতে পারবেন যে, এই ১ মাসে কতজন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী ডিউটি করেছেন, কতটি হোটেলে থাকা হয়েছে, হোটেল ভাড়া কত হয়েছিল এবং অন্যান্য খরচ কি? তিনি  না জেনে বুঝে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান করলেন। এটা শুধু শিষ্টাচার বিরোধী নয়, বরং জাতীয় সংসদীয় নিয়মনীতির-ও পরিপন্থি। এভাবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে। আসলে করোনা মোকাবেলা নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেন সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার মিশনে নেমেছে এবং এই মিশনে সফল হওয়ার জন্য সবাই যার যার অবস্থান থেকে প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নতুন সচিব আব্দুল মান্নান একাই যেন স্রোতের বিপরীতে লড়ছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পালনের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের সময় অল্প কয়েকদিন এবং পুরো বিষয়টিই যখন একটি সিণ্ডিকেটের কাছে জিম্মি তখন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব একা কি করবেন সেটাও দেখার বিষয়।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলার মধুখালীতে গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

এ বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন বলেন, একটি বিদ্যালয়ের নির্বাচন কাজে শ্রমিকদের মন্দিরে আগুন দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। এতে দুই সহদর নিহত হয়েছেন। পুলিশসহ আহতদের মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

নিহত দুই সহদরের বাড়ি নওপাড়া ইউনিয়নে ঘোপঘাট গ্রামে। তবে আহতদের সবার পরিচয় জানা যায়নি।  


ফরিদপুর   গণপিটুনি   নির্মাণ শ্রমিক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে চলে যায় বাস, নিহত ১

প্রকাশ: ০২:০৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে গেছে। এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে করেছেন।

নিহতের নাম মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল এভিশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসে নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, নিহতের মরদেহের সুরতহাল চলছে এখন। সুরতহাল শেষে নিয়ন্ত্রণ মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনায় জড়িত বাসচালক, হেলপার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


বিমানবন্দর   তৃতীয় টার্মিনাল   দূর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র স্বচ্ছতার সঙ্গে বাছাই করা হবে

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে। সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যাতে অনুদানের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন, সরকার সেটিও নিশ্চিত করতে চায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাছাই কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্রগুলোকে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেখে স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্যরা গোপনীয়ভাবে আলাদা আলাদা নম্বর দিয়েছেন। এ সময় চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্যরাও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘সরকারি অনুদান দেওয়ার জন্য স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে চলচ্চিত্র বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সামনে প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদন করা মোট ১৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা ৪৫টি চলচ্চিত্রের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে’।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাছাই কমিটির সদস্যরা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত বিভিন্ন মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদন করা চলচ্চিত্রের প্রস্তাবনার উপর আলাদা আলাদাভাবে নম্বর দিয়েছেন। পরে সব সদস্যদের নম্বরগুলো গড় করে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া আবেদনগুলো অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার স্বার্থে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে’। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, যুগ্ম সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ ও আফসানা মিমি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরম্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী চলচ্চিত্রের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত)–এর ভিত্তিতে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়।


চলচ্চিত্র   সচিবালয়   তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়   প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ এ আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মেলায় নজর কেড়েছে ৭৫০ কেজি ওজনের ষাঁড়

প্রকাশ: ১২:৪৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বয়স ৩ বছর, লম্বা ৯ ফুট, ওজন ৭৫০ কেজি। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বিশাল দেহের ষাঁড়টি সবার নজর কেড়েছে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মেলায় ষাঁড়টি প্রদর্শন করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে প্রদর্শনী ও সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়। মেলায় ষাঁড়টি প্রদর্শন উদ্বোধন করেন জয়পুরহাটের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক সরকার মো. রায়হান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান। বক্তারা প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রদর্শনীতে ৪০টি স্টল আছে। এর মধ্যে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড়টি সবার নজর কেড়েছে। ষাঁড়টি মেপে ৭৫০ কেজি ওজন পাওয়া গেছে।

মেলায় ৪০টি স্টলে উন্নত জাতের বিভিন্ন প্রাণী, দুগ্ধজাত খাবার ও যন্ত্রাংশের ব্যবহার প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড় অতিথি ও দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। ষাঁড়ের মালিক আক্কেলপুর পৌর শহরের হাস্তাবসন্তপুর মহল্লার জোবাইদ হোসেন। তিনি পেশায় পশুচিকিৎসক। ১৫ বছর ধরে তিনি এ পেশায় আছেন। এ পেশায় আসার আগে থেকে বাড়িতে বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করছেন।

জোবাইদ হোসেন বলেন, ‘এখন তার বাড়িতে বিদেশি জাতের তিনটি গরু আছে। এর মধ্য দুটি ষাঁড় ও একটি গাভি। ষাঁড় দুটির একটি ফ্রিজিয়ান জাতের, অন্যটি ব্রাজিলিয়ান গির জাতের। গাভিটি ব্রাজিলিয়ান গির জাতের। সেটিও এখন গর্ভবতী। তবে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড় ও গাভির মায়ের জাত ছিল ভিন্ন। তাদের মায়ের জাত ছিল শাহিওয়াল। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বীজ সংগ্রহ করে শাহিওয়াল জাতের গাভিতে দেওয়া হয়। এতে শাহীওয়াল জাতের গাভি থেকে শতভাগ ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বাছুর হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড়ের বয়স তিন বছর। এ বয়সে ষাঁড়টি ৯ ফুট লম্বা। ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও স্কয়ার মেপে ওজন ৭৫০ কেজি পাওয়া গেছে’।

প্রতিবেশী শামীম হোসেন বলেন, ‘জোবাইদ অনেক আগে থেকে বাড়িতে বিদেশি গরু লালন-পালন করছেন। গরু লালন-পালন করতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে পশুচিকিৎসক হয়েছেন। তিনি নতুন নতুন জাতের বড় বড় গরু লালন–পালন করেন’।

জোবাইদ হোসেন বলেন, ‘ষাঁড়টি প্রতিদিন পাঁচ-সাত কেজি দানাদার খাবার, কাঁচা ঘাস ও খড় খায়। এতে প্রতিদিন ষাঁড়ের পেছনে ৫০০ টাকার মতো খরচ হয়। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের গরুর দুধ ও মাংস বেশি হয়। এখন তাঁর ষাঁড়ের দাম আট লাখ টাকা হবে। তবে তিনি ষাঁড়টি এখনই বিক্রি করবেন না। এ ষাঁড় থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন। বীজ প্রজনন উন্নয়নের জন্য তিনি ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন। খামারিদের এ জাতের গরু পালনে উদ্বুদ্ধ করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী মেলায় ষাঁড় এনেছিলেন। প্রদর্শনী মেলায় ব্রাজিলিয়ান ষাঁড়টি দেখে সবাই বিস্মিত হয়েছেন’।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক সময় যারা নুন-ভাতের কথা বা ডাল ভাতের কথা চিন্তাও করতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংস ডিমের কথাও চিন্তা করে। ফলে যারা সরকারের সমালোচনা করেন তাদের সেগুলো মাথায় রেখে উন্নয়ন হয়েছে কি না তা বিবেচনা করতে হবে। 

আজ (শুক্রবার) সকালে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করা উচিত। এটা করতে পারলে জীবনেও কোনো খাদ্যের অভাব হবে না।

সরকার বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দেখানো পথে সমবায় কৃষি নিশ্চিত করা হলে দেশে কখনও খাদ্যের অভাব হবে না।

সরকারপ্রধান বলেন, অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হয়েছে বলেই দেশের মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, বরং মাছ-মাংসের দাম নিয়ে চিন্তা করে। যারা সমালোচনা করছেন তাদের এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত। ৭৫ পরবর্তী সময়ে যারা ছিল, তাদের মূল আগ্রহ ছিল ব্যবসা করা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীজ উৎপাদন বিএডিসিসহ নানা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো নানা সময়ে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই কৃষি গবেষণায় জোর দেয়। বীজ, মাছ, ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করবো। উদ্বৃত্ত থাকলে অন্যকে সাহায্য করবো। 


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   কৃষক লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন