ইনসাইড বাংলাদেশ

‘করোনা টেস্টে ২০০ টাকা ফি আপাতত স্থগিত করা জরুরী’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:০৫ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিকল্প নির্বাহী পরিচালক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, ‘আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি, তারা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে করোনা টেস্টের জন্য ২০০ টাকা ফি নেওয়াটা আপাতত স্থগিত করুক। বাড়িতে যেয়ে টেস্টের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে ৫০০ টাকা ফি ধার্য করেছে, সেটা নেওয়া যেতে পারে। কারণ বাড়িতে যারা নমুনা নিতে ডেকে পাঠায়, তাদের সেই টাকাটা দেওয়ার ক্ষমতা আছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য ২০০ টাকা ফি টা আপাতত বন্ধ রাখা জরুরী।’ ‘বাংলা ইনসাইডার’ এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এতদিন বাজেট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সদ্যই বাজেট পাস হয়েছে। এখন আমি বিশ্বাস করি যে, তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আরও উদ্ভাবনীমূলক দিক নির্দেশনা দিয়ে একটা পর্যায়ে আনতে পারবেন, যেখান থেকে আমাদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, `করোনার কারণে অনেক গরীব মানুষ আরও গরীব হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় ২০০ টাকা ফি ধার্য করলে অনেকে টেস্ট করবে না। এর ফলে জনগণের মধ্যে সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকবে। তাতে আমরা লকডাউনের সুফল পাবো না। সুতরাং আমার কাছে মনে হচ্ছে, যারা এই সিদ্ধান্তের পেছনে কাজ করেছে, তারা খুব চিন্তা করে এই সিদ্ধান্তটা নেয়নি।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটা বিরাট ভুল হচ্ছে করোনার প্রথম থেকে শুরু করে তারা একের পর কমিটি করছে। অথচ তারা কোনো কমিটির পরামর্শই তেমনভাবে শুনছে না। মিডিয়াতে দেখছি বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা এক ধরনের কথা বলছে, আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্য কাজ করছে। একের পর এক কমিটি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটা নোবেল পেতে পারে। কিন্তু আমাদের এখন এই নোবেল প্রাইজের দরকার নেই, আমাদের দরকার হচ্ছে করোনার সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনা।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছেন, সেগুলো যদি বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে যে, আমরা সঠিক পথে এগুচ্ছি। কিন্তু কিছু মানুষের ভুল ভ্রান্তি, অনিয়ম এবং কাজের প্রতি আন্তরিকতার অভাবের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।’

ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘জাফরুল্লাহ ভাই (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) যে কথাটা বলেছেন যে, অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল ধরার কাজ চলছে। আমি বলবো যে, শুধু আমরা না পৃথিবীর সবাই-ই এই কাজটা করছে। কোনো দেশেরই কোন অভিজ্ঞতা নেই। কারণ এ রকম মহামারী গত ১০০ বছরে আসেনি। সুতরাং সবার কাছেই এটা অজানা একটা সমস্যা। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও অন্ধকার ঘরেই কালো বিড়াল হাতড়ে বেড়াচ্ছে। তারা একে্ক বার একের ধরনের কথা বলছে। একবার বলছে মাস্ক ততটা দরকারি নয়, আবার সেই মন্তব্য থেকে সরে আসছে। করোনার ওষুধ নিয়েও একেক ধরনের কথা বলছে।’

তিনি বলেন, ‘সামনে ঈদ। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সবার আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। যদিও গবাদি পশু থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কম। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে যে, আমরা সাধারণ সময়েই স্বাস্থ্যবিধি মানি না, সামাজিক দূরত্ব মানি না। কোরবানির সময়ে তো এটা আরও মানা হবে না। গরুর হাটে, গরু জবাইয়ের সময় দেখা যাবে যে, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব মানবে না। এ অবস্থায় অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন। আর এই সময়টায় ২০০ টাকা করোনা পরীক্ষার জন্য ফি ধরা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এটাকে আমি পুরোপুরি বন্ধ করতে বলছি না, কিন্তু এটা আপাতত স্থগিত করা যেতে পারে। এখন  যে হারে টেস্ট করা হচ্ছে, তার ফলে অবস্থাটা কী দাঁড়াচ্ছে, সেটা দেখে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। কারণ টেস্টে টাকা ধরা হলে অনেকেই টেস্ট করবে না। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।’

ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, `শত সমস্যার মধ্যেও আমরা আশার আলো দেখছি। আমাদের দেশেই ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটা ভালো খবর। আমাদের প্রত্যেকের যে যার জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো মানতে হবে। কাজের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। তাহলে করোনাকে হারিয়ে দেওয়া আমাদের জন্য অসম্ভব কিছু হবে না।` 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র দাবদাহের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়াল

প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র দাবদাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবারই প্রথম বিদ্যুতের ঘাটতি এত বেশি দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়। অথচ এদিন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।


তীব্র দাবদাহ   লোডশেডিং   ১০০০ মেগাওয়াট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছর

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আজ ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক, আহত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক। মোমবাতি জ্বালিয়ে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করলেন তাদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় নিহতদের স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।

পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের পাশাপাশি রানা প্লাজার ট্রাজেডির সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায় শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকদের পরিবার।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর এই দিনে নিহতদের স্বরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। প্রতি বছরই বিভিন্ন দাবি তুলে ধরি।

দাবিগুলো হচ্ছে, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির কোনোটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।

রানাপ্লাজা ধ্বসে নিহত শ্রমিক আখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়ের লাশটাও পাইনি। ঘটনার ছয় মাস পর ডিএনএ সেম্পলের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাদের গাফিলতিতে মেয়েকে হারালাম তাদের আজও বিচার হলো না। আমরা বিচার চাই।

ভবন ধসে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় তখন চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অবহেলার কারণে মৃত্যু উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ, ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় মামলা করে রাজউক। পাশাপাশি ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুটি মামলা করে দুদক। চারটি মামলার মধ্যে সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হলেও দীর্ঘ এগারো বছরে বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না।

এর মধ্যে হত্যা মামলা ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য শুরু হলেও, অন্য মামলায় রয়েছে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ। আসামিপক্ষ বলছে, মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন ভবন মালিক সোহেল রানা। অন্যদিকে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

 

 


রানা প্লাজা   ট্রাজেডি   ১১ বছর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে শত টাকায় মিলবে চক্ষু চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নীলফামারীতে দীপ আই ফাউন্ডেশনের চক্ষু চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন

নীলফামারীতে চক্ষু রোগীদের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিশ্চিত করতে দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশনের ইপিজেড ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে। এখানে ১০০ টাকা দিয়ে মিলবে চক্ষু পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, চোখের ছানী অপারেশন সহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা।

 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সদরের সংগলশী ইউনিয়নের ইপিজেড মোড়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ইপিজেড ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান। 

 

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দীপ আই কেয়ারের হেড অব প্রোগ্রাম মাহমুদুল ইসলাম ও প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রোগ্রাম ম্যানেজার   এ.কে.এম নুরুল কবির। উদ্বোধনী দিনে প্রায় চার শতাধিক চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়।

 

এসময় হেড অব প্রোগ্রাম মাহমুদুল ইসলাম জানান,'ইপিজেড ভিশন সেন্টারে ১০০ টাকা দিয়ে মিলবে চক্ষু পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, চোখের ছানী অপারেশন সহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা। সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন চক্ষু রোগীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চোখের চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন।


চক্ষু সেবা   দীপ আই ফাউন্ডেশন   চক্ষু পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র তাপদাহ: অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশে হচ্ছে তীব্র তাপদাহ। টানা কয়েক দিনের তাপদাহের ফলে অস্বস্তিতে জনজীবন। নেই বৃষ্টির ছাপ। উত্তপ্ত রোদে পুড়ছে দেশের মানুষ। তাপদাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে। ব্যাঘাত ঘটে মানুষের চলাচলে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাত গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গায় হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা থেকে বিদ্যুৎ চমকানোর পর শোনা যায় মেঘের গর্জন। এর ১০ মিনিট পরই শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা থেকে বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হয়। বিদ্যুৎ চমকানোর ফলে আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এরপর শুরু হয় মেঘের গর্জন। রাত ১টা ১০ মিনিটে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তীব্র তাপদাহের পর রাতে হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। রাতে ২০ মিনিটে ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়’। 

টানা কয়েক দিন চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহ চলমান ছিল। জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড করা হয়। এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপদাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে। ব্যাঘাত ঘটে মানুষের চলাচলে


তাপদাহ   ‍বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহ: ইসতিসকার নামাজসহ ব্যাঙের বিয়ে, নেই বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৮:৪৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বেশিরভাগ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। হিটস্ট্রোকে নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কৃপা কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এ ছাড়া বৃষ্টির আশায় রাজশাহী ও নাটোরে ধুমধাম করে ‘ব্যাঙের বিয়ে’ দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনই বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হয়ে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আজ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কোথাও কোথাও। তবে ঢাকাসহ দেশের অন্য কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপপ্রবাহ আজ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গতকাল রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখীলী জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। এ ছাড়া মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে, অপরিবর্তিত থাকতে পারে রাতের তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তি বিরাজ করবে। আগামীকাল সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহী বিভাগের পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গোপালগঞ্জে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবানে ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনা বিভাগের যশোর ও খুলনায় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ময়মনসিংহে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তাপমাত্রা তুলনামূলক কম ছিল চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল।

ইসতিসকার নামাজ আদায়

বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কৃপা কামনা করে গতকাল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুহাত তুলে চোখের পানি ফেলেন মুসল্লিরা। রাজধানীর আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে গতকাল সকালে শায়খ আহমাদুল্লাহর ইমামতিতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন শতাধিক মুসল্লি। নামাজ শেষে মুসল্লিদের নিয়ে খুতবা ও দোয়া করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

এ সময় তিনি বলেন, বনায়ন ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। এখনই সচেতন না হলে সামনের দিনে আরও বিপদে পড়তে হবে।

খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে গতকাল সকাল ১০টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়ালের ইমামতিতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তিন দিনব্যাপী ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল প্রথম দিনে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি। মোরেলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল হক তালুকদারের আহ্বানে গতকাল সকাল ৭টায় উপজেলা সদর আবদুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন মোরেলগঞ্জ বাজার চাউলাপট্টি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ আলী।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, নাটোরের লালপুর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, বরগুনার পাথরঘাটায় বৃষ্টি কামনায় মুসল্লিরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন বলে জানিয়েছেন আমাদের সংবাদকর্মীরা।

ব্যাঙের বিয়ে

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার তাঁতারপুর গ্রামে ব্যাঙের বিয়ে দেন স্থানীয়রা। ‘আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে রে’ গানটি গেয়ে ষাটের অধিক বাড়িতে বৃষ্টির জন্য আর্তনাদ করেন তাঁতারপুর গ্রামের শিশুসহ একদল নারী-পুরুষ। প্রতীকী পুকুর খননের পর ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় গ্রামের ওসিমুদ্দিন মণ্ডলের আমবাগানে ভোজের আয়োজন করা হয়।

অন্যদিকে, এর আগেরদিন সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগশোষা গ্রামে মহাধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিয়ের জন্য ছায়াম গায়েহলুদ, আশীর্বাদ, ধান-দূর্বা, ভোজন সব আয়োজনই ছিল। বিয়েতে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরাও ব্যাঙ দম্পতিকে দিয়েছেন অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার। হয় এ 


তাপপ্রবাহ   ইসতিসকার নামাজ   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন