নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২০
করোনায় ২ হাজার মৃত্যুর খুব কাছাকাছি চলে আসলো বাংলাদেশ। আজ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ৯০০ অতিক্রম করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে ৩৮ জন করোনা রোগী। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ১ হাজার ৯২৬ জনের। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। বিফিং উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর মিছিল খুব দ্রুতই দীর্ঘ হচ্ছে। দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত ২০ এপ্রিল দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১০০ অতিক্রম করে। এরপর ২৫ মে ছাড়িয়ে যায় ৫০০ এর কোটা। পরবর্তী ৫০০ অতিক্রম করতে লাগে মাত্র ১৫ দিন। ১০ জুন দেশে করোনায় মৃত্যু ১ হাজার অতিক্রম করে। আর দেড় হাজার ছাড়িয়ে যায় ২২ জুন। অর্থাৎ তৃতীয় দফায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয় মাত্র ১২ দিনে। আর এখন প্রতি দুই দিনে দেখা যাচ্ছে ১০০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। অর্থাৎ মৃত্যুর হার খুব দ্রুতই বাড়ছে।
গত মার্চে সব মিলিয়ে করোনায় মারা যান মাত্র ৫ জন। এপ্রিল মাসে এই ভাইরাস কেড়ে নেয় ১৬৩ জনের প্রাণ। মে মাসে এই সংখ্যা এপ্রিলের তুলনায় প্রায় তিন গুণ হয়ে যায়, মারা যান ৪৮২ জন। মৃত্যুর মিছিল বাড়তে থাকে জুনে।
জুন মাসের পরিসংখ্যান বলছে, কেবল এই মাসেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেনও প্রায় ১২শ মানুষ। এই মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১ হাজার ১৯৭ জন, যা মে মাসের মৃত্যুর প্রায় আড়াই গুণ। করোনায় মোট মৃত্যুর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ঘটেছে এই জুন মাসে। সুনির্দিষ্টভাবে বললে, ৬৪ দশমিক ৮১ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটেছে এই মাসে।
এ মাসেও মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই বলছিলেন, আক্রান্ত যত বাড়বে, মৃত্যুও তত বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের কথাই এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। এ সপ্তাহে গত ২০ জুন এক দিনে মৃত্যু হয় ৬৪ জনের, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড। এ মাসেই দৈনিক মৃত্যু একশ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।