নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৩ এএম, ০৫ জুলাই, ২০২০
সাবেক অর্থমন্ত্রী, কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদুল হক ইন্তেকাল করেছেন। শুক্রবার (৩ জুলাই) ৮৭ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয় বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৫ সালে মাস্টার্স শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন ড. ওয়াহিদুল হক। প্রথমে কিছুদিন তিনি বার্কেলি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন ও পরে টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের মে পর্যন্ত দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ড. ওয়াহিদুল হক।
ড. ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, অত্যন্ত মেধাবী ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব ড. ওয়াহিদুল হক আমার শিক্ষক ছিলেন। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে এ এম এ মুহিত, আব্দুর রব চৌধুরীসহ কিছু সিএসপি অফিসার একটি খসড়া দলিল প্রস্তুত করেছিলেন। এ খসড়া দলিল প্রস্তুত করার সময় ইসলামাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির শিক্ষক ড. ওয়াহিদুল হক অংশগ্রহণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবার ও তার শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। সেই সঙ্গে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
এদিকে আরেক শোকবার্তায় ড. ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মরহুমের পরিবার-পরিজন, সন্তানসহ সবাইকে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।