নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২০
স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে। এতদিন মানুষ জানতো এখানে দুর্নীতি হয়, কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত মানুষগুলোর চেহারা খুব একটা চেনা হতো না। ক্রমেই স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের চেহারা প্রকাশ্যে আসছে। মিডিয়া প্রায় প্রতিদিন তাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে, দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরছে। করোনার সময় স্বাস্থ্যখাতের দুর্দশা নিয়ে মানুষ যখন দিকবিদিক, তখন একের পর এক দুর্নীতির খবর মানুষকে আরো বেশি হতাশ করছে। তাদের প্রশ্ন এমনি চলতে থাকবে নাকি এদের বিচার হবে? স্বাস্থ্যখাতটা ধ্বংসের পায়তারা করেছে একটা সিন্ডিকেট। সরকারের সব উন্নয়ন আর অর্জিত ভালোবাসা ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে এই একটি খাত। আর স্বাস্থ্যখাতের এই দুর্নীতির মাফিয়া হিসেবে সবার প্রথমে নাম আসছে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর।
প্রশ্ন হলো মিঠু দুর্নীতি কি আজকাল শুরু করেছেন? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিঠু প্রায় দশ বছর ধরে রাজত্ব করছেন স্বাস্থ্যখাতে। মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো বরাবরই। মিঠুকে দুর্নীতি দমন কমিশন সকল কাগজপত্র নিয়ে ডেকেছে আগামী ৯ জুলাই। সবাই অপেক্ষায় আছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের এই ডাকার ফল কি? যখন চারদিক থেকে মিঠুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ধুয়োধ্বনি উঠছে তখন কি তাকে ফের ‘সাদা’ করার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে?
কারণ ২০১২ সালের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় আজ। বাংলা ইনসাইডারের হাতে এসেছে তখনকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। যেখানে দেখা যায়, ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিঠুকে নোটিশ পাঠানো হয়। ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থআত্নসাত’ এর অভিযোগে তখন মিঠুকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর হতে অদ্যাবধি স্বাস্থ্য সেক্টরে বিভিন্ন উন্নয়ন, সেবা খাতে যে সমস্ত কাজ বাস্তবায়ন করেছেন/চলমান আছে এবং ঔষধ, মালামাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছেন সেগুলের প্রশাসনিক অনুমোদন, বরাদ্দপত্র, প্রাক্কলন, টেন্ডার, কোটেশন, দাখিলকৃত টন্ডার,টেন্ডার সিডিউল, ওপেনিং মেমম, তুলনামূলক বিবরণী, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কার্যবিবরণী, কার্যাদেশ/ সরবরাহ আদেশ, চুক্তি, কার্যসমাপ্তি প্রতিবেদন, মালামাল/ যন্ত্রপাত/ ঔষধ গ্রহন সংক্রান্ত, নোটশীট, বল ভাউচার, কাজ বুয়ে! নেয়ার রেকর্ডসহ প্রাসঙ্গিক সকল তথ্য/রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মিঠু কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি। মিঠুর তদন্তেরও কি অগ্রগতি হলো সেটাও জানা যায়নি।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মিঠুকে ফের একই অভিযোগে কাগজপত্র দাখিল করার নির্দেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। সে যাত্রাতেও মিঠু আদৌ কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি। দুদক তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট মিঠুকে আরেকবার রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মিঠুর কাজ মিঠূ করেছেন। মিঠু তোয়াক্কা না করে দুদকের এই নোটিশ এড়িয়ে গিয়েছেন।
মিঠু তার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থআত্নসাত’ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এটা যে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য তা নয়, দুদকই মিঠুকে ফের মনে করে। ২০১৬ দুদক বনানী থানায় দুদক মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার এজহারে মিঠূর কাছে বারবার তথ্যাদি চাওয়া ও নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার পরও জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে বলা হয় ৫০,১৫,৫১,২৩৪ পরিমাণ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছে মিঠু। সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়।
সেই তদন্তের রিপোর্ট বাংলা ইনসাইডারের কাছে। তদন্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায় যে, মিঠুর নামে ২০১১-২০১২ অর্থ বছর পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সুনামে/বেনামে প্রায় ৫০,১৫,৫১,২৩৪/- টাকা। বিপুল পরিমাণ সম্পদ/ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মায় বিধায় নিজ নামে, তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের নামে/বেনামে `অর্জিত প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ, অর্জনের পদ্ধতি/উৎস ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ উদঘাটনের জন্য তার যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পদ দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশ প্রাপ্তির ৭(সাত) দিবসের মধ্যে তাকে দাখিল করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং- দুদক/বিঃঅনুঃ ও তদন্ত-১/১৪৫-২০১২/৩২৫৭০ তাং- ২/১২/২০১৩ খ্রি: মূলে নির্দেশ দেয়া হয়। উক্ত আদেশটি করার জন্য জনাব মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক উপসহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত আদেশ (এক পাতা) ও সম্পদ বিবরণীর ফর্ম নম্বর ০০০১৫১৪ (`তিন পাতা) জনাব মো. আবু সায়েম খান, সিনিয়র অফিস এক্রিকিউটিভ, লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ, সাক্ষী (১) জনাব গোলাম কিবরিয়া, ম্যানেজার, লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ, (২) জনাব সিরাজুল ইসলাম, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ- এর কাছে দেওয়া হয়।
কিন্তু মিঠূ পরবর্তীতে জানান, তিনি এমন কোন ফর্ম পাননি। পরবর্তীতে মিঠূ তার ২০০৯-২০১০ হতে ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত প্রদত্ত যাবতীয় আয় এবং করের সনদ সংযুক্ত করেছেন। তাছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে জাতীয়ভাবে পুরস্কার পাওয়া সংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেটের কপি সংযুক্ত করে দুদকে জমা দিয়েছেন।
আর এর প্রেক্ষিতে দুদক মিঠূর বিরুদ্ধে তদন্ত করে। সেই তদন্তে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযাগ অনুসন্ধানকালে প্রমাণিত না হওয়ায় স্মারক নং-দুদক /বি:অনুঃ ও তদন্ত-১/১৪৫-২০১২/১৯৯০৭ তারিখ: ২৯/৬/১৭ খ্রি: মূলে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক অভিযাগের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিসমাপ্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিঠুর ১৬ টির বেশি কোম্পানি স্বাস্থ্যখাতের কাজ করে। দুদক থেকে পাওয়া তথ্যমতে এর মধ্যে রয়েছে- (১) মেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ এন্ড টেকনোক্রেট (২) লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ (৩) সিআর মার্চেন্ডাইজ (8) এলআর এভিয়েশন (৫)জিইএফ এন্ড ট্রেডিং (৬) ট্রেড হাউজ ও (৭) মেহরবা ইন্টারন্যাশনাল, (৮) ক্রিয়েটিভ ট্রেড,(৯) ফিউচার ট্রেড, (১০)লেক্সিকেন, আইটি(প্রাঃ)লিঃ, (১১) টেকনো ট্রেড, (১২) Bellaire aviation (১৩) GES and trading (14) Have International, (15) Lesicon Hospitalite, (16) North Tech LLC) Ltd।
কিন্তু এর কোনটার বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। মিঠূ দুদক থেকে ছাড়পত্র পেয়ে আবার স্বমহিমায় দুর্নীতিতে মেতে উঠেন। তার দুর্নীতি এখন করোনাকালে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। মিঠুকে আবার ডাকা হয়েছে দুদকে। যতদূর জানা যায় মিঠু দেশের বাইরে আছেন। মিঠু কি এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন কাগজপত্র জমা দিবে? সেটা অবশ্য সময়ই বলে দিবে।
কথা হলো মিঠু যদি ছাড়পত্র পেয়ে যায় তাহলেই সে পুতপবিত্র? মিঠুর দুর্নীতি অব্যাহত থাকে। মিঠু হয়তো কোনভাবে আবারও মুখোমুখি হবে দুদকের। কিন্তু তারপর কি? সেটা দেখার অপেক্ষায় জাতি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দুর্নীতির মামলার কি হলো? কিংবা তারেকের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলাও কি হলো সেটাও জানা যায়নি। তালিকাটি বেশ লম্বাই যে দুদক তদন্ত শুরু করে আর সেটার শেষ জানা যায় না।
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।