ইনসাইড বাংলাদেশ

এবারও কি মিঠুকে সততার সার্টিফিকেট দেবে দুদক?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে। এতদিন মানুষ জানতো এখানে দুর্নীতি হয়, কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত মানুষগুলোর চেহারা খুব একটা চেনা হতো না। ক্রমেই স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের চেহারা প্রকাশ্যে আসছে। মিডিয়া প্রায় প্রতিদিন তাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে, দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরছে। করোনার সময় স্বাস্থ্যখাতের দুর্দশা নিয়ে মানুষ যখন দিকবিদিক, তখন একের পর এক দুর্নীতির খবর মানুষকে আরো বেশি হতাশ করছে। তাদের প্রশ্ন এমনি চলতে থাকবে নাকি এদের বিচার হবে? স্বাস্থ্যখাতটা ধ্বংসের পায়তারা করেছে একটা সিন্ডিকেট। সরকারের সব উন্নয়ন আর অর্জিত ভালোবাসা ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে এই একটি খাত। আর স্বাস্থ্যখাতের এই দুর্নীতির মাফিয়া হিসেবে সবার প্রথমে নাম আসছে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর।

প্রশ্ন হলো মিঠু দুর্নীতি কি আজকাল শুরু করেছেন? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিঠু প্রায় দশ বছর ধরে রাজত্ব করছেন স্বাস্থ্যখাতে। মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো বরাবরই। মিঠুকে দুর্নীতি দমন কমিশন সকল কাগজপত্র নিয়ে ডেকেছে আগামী ৯ জুলাই। সবাই অপেক্ষায় আছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের এই ডাকার ফল কি? যখন চারদিক থেকে মিঠুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ধুয়োধ্বনি উঠছে তখন কি তাকে ফের ‘সাদা’ করার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে?

কারণ ২০১২ সালের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় আজ। বাংলা ইনসাইডারের হাতে এসেছে তখনকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। যেখানে দেখা যায়,  ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিঠুকে নোটিশ পাঠানো হয়। ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থআত্নসাত’ এর অভিযোগে তখন মিঠুকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর হতে অদ্যাবধি স্বাস্থ্য সেক্টরে বিভিন্ন উন্নয়ন, সেবা খাতে যে সমস্ত কাজ বাস্তবায়ন করেছেন/চলমান আছে এবং ঔষধ, মালামাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছেন সেগুলের প্রশাসনিক অনুমোদন, বরাদ্দপত্র, প্রাক্কলন, টেন্ডার, কোটেশন, দাখিলকৃত টন্ডার,টেন্ডার সিডিউল, ওপেনিং মেমম, তুলনামূলক বিবরণী, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কার্যবিবরণী, কার্যাদেশ/ সরবরাহ আদেশ, চুক্তি, কার্যসমাপ্তি প্রতিবেদন, মালামাল/ যন্ত্রপাত/ ঔষধ গ্রহন সংক্রান্ত, নোটশীট, বল ভাউচার, কাজ বুয়ে! নেয়ার রেকর্ডসহ প্রাসঙ্গিক সকল তথ্য/রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মিঠু কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি। মিঠুর তদন্তেরও কি অগ্রগতি হলো সেটাও জানা যায়নি।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মিঠুকে ফের একই অভিযোগে কাগজপত্র দাখিল করার নির্দেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। সে যাত্রাতেও মিঠু আদৌ কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি। দুদক তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট মিঠুকে আরেকবার রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মিঠুর কাজ মিঠূ করেছেন। মিঠু তোয়াক্কা না করে দুদকের এই নোটিশ এড়িয়ে গিয়েছেন।

মিঠু তার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থআত্নসাত’ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এটা যে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য তা নয়, দুদকই মিঠুকে ফের মনে করে। ২০১৬ দুদক বনানী থানায় দুদক মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার এজহারে মিঠূর কাছে বারবার তথ্যাদি চাওয়া ও নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার পরও জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে বলা হয় ৫০,১৫,৫১,২৩৪ পরিমাণ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছে মিঠু। সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়।

সেই তদন্তের রিপোর্ট বাংলা ইনসাইডারের কাছে। তদন্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায় যে, মিঠুর নামে ২০১১-২০১২ অর্থ বছর পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সুনামে/বেনামে প্রায় ৫০,১৫,৫১,২৩৪/- টাকা। বিপুল পরিমাণ সম্পদ/ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মায় বিধায় নিজ নামে, তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের নামে/বেনামে `অর্জিত প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ, অর্জনের পদ্ধতি/উৎস ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ উদঘাটনের জন্য তার যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পদ দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশ প্রাপ্তির ৭(সাত) দিবসের মধ্যে তাকে দাখিল করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং- দুদক/বিঃঅনুঃ ও তদন্ত-১/১৪৫-২০১২/৩২৫৭০ তাং- ২/১২/২০১৩ খ্রি: মূলে নির্দেশ দেয়া হয়। উক্ত আদেশটি করার জন্য জনাব মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক উপসহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত আদেশ (এক পাতা) ও সম্পদ বিবরণীর ফর্ম নম্বর ০০০১৫১৪ (`তিন পাতা) জনাব মো. আবু সায়েম খান, সিনিয়র অফিস এক্রিকিউটিভ, লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ, সাক্ষী (১) জনাব গোলাম কিবরিয়া, ম্যানেজার, লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ, (২) জনাব সিরাজুল ইসলাম, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ- এর কাছে দেওয়া হয়।

কিন্তু মিঠূ পরবর্তীতে জানান, তিনি এমন কোন ফর্ম পাননি। পরবর্তীতে মিঠূ তার ২০০৯-২০১০ হতে ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত প্রদত্ত যাবতীয় আয় এবং করের সনদ সংযুক্ত করেছেন। তাছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে জাতীয়ভাবে পুরস্কার পাওয়া সংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেটের কপি সংযুক্ত করে দুদকে জমা দিয়েছেন। 

আর এর প্রেক্ষিতে দুদক মিঠূর বিরুদ্ধে তদন্ত করে। সেই তদন্তে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযাগ অনুসন্ধানকালে প্রমাণিত না হওয়ায় স্মারক নং-দুদক /বি:অনুঃ ও তদন্ত-১/১৪৫-২০১২/১৯৯০৭ তারিখ: ২৯/৬/১৭ খ্রি: মূলে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক অভিযাগের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিসমাপ্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিঠুর ১৬ টির বেশি কোম্পানি স্বাস্থ্যখাতের কাজ করে। দুদক থেকে পাওয়া তথ্যমতে এর মধ্যে রয়েছে- (১) মেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ এন্ড টেকনোক্রেট (২) লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ (৩) সিআর মার্চেন্ডাইজ (8) এলআর এভিয়েশন (৫)জিইএফ এন্ড ট্রেডিং (৬) ট্রেড হাউজ ও (৭) মেহরবা ইন্টারন্যাশনাল, (৮) ক্রিয়েটিভ ট্রেড,(৯) ফিউচার ট্রেড, (১০)লেক্সিকেন, আইটি(প্রাঃ)লিঃ, (১১) টেকনো ট্রেড, (১২) Bellaire aviation (১৩) GES and trading (14) Have International, (15) Lesicon Hospitalite, (16) North Tech LLC) Ltd।

কিন্তু এর কোনটার বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। মিঠূ দুদক থেকে ছাড়পত্র পেয়ে আবার স্বমহিমায় দুর্নীতিতে মেতে উঠেন। তার দুর্নীতি এখন করোনাকালে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। মিঠুকে আবার ডাকা হয়েছে দুদকে। যতদূর জানা যায় মিঠু দেশের বাইরে আছেন। মিঠু কি এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন কাগজপত্র জমা দিবে? সেটা অবশ্য সময়ই বলে দিবে।

কথা হলো মিঠু যদি ছাড়পত্র পেয়ে যায় তাহলেই সে পুতপবিত্র? মিঠুর দুর্নীতি অব্যাহত থাকে। মিঠু হয়তো কোনভাবে আবারও মুখোমুখি হবে দুদকের। কিন্তু তারপর কি? সেটা দেখার অপেক্ষায় জাতি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দুর্নীতির মামলার কি হলো? কিংবা তারেকের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলাও কি হলো সেটাও জানা যায়নি। তালিকাটি বেশ লম্বাই যে দুদক তদন্ত শুরু করে আর সেটার শেষ জানা যায় না।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যাদের কোন ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের মধুখালী পঞ্চপল্লিতে নির্মাণ শ্রমিক দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও হৃদয় বিদারক উল্লেখ্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই’ তারাই দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা খুনি। এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। 

তিনি বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা মুসলিমও না, হিন্দুও না। তাদের কোনো ধর্ম নেই।
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগের দিন বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।
 
মন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা মনে করেছে, এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যাবে! তার কোন সুযোগ নাই। হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে আইনের ধারানুযায়ী হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিন্ত করা হবে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় ১৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের সমাজে কে হিন্দু, কে মুসলমান কে কোন জাতি এটা বড় বিষয় নয়, আমরা সকলেই মানুষ। কোন মানুষই এ ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারছে না। সকলেই শোকাহত পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন।
 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দ্যেশে এসময় মন্ত্রী বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন হত্যাকান্ডের তথ্য উদঘাটন করার জন্য। কেউ কেউ ঘটনাটিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য হয়তো চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেদিকে আপনারা সতর্ক অবস্থানে থাকুন। কোন ভাবেই শান্তি প্রিয় এ এলাকাকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। যা নিহত দুই ভাইয়ের মা-বাবা দেখে যেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
 
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশে এ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মৎস্য মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে যার যার এলাকায় নেতৃত্বস্থানীয় লোকজন নিয়ে সভা করেন। লোকজনকে বুঝিয়ে বলুন যে, দুই শ্রমিক হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। ঘটনাটি নিয়ে আবেগী হয়ে আপনারা কোন বিষয়ে উস্কানি দিবেন না। এলাকায় পাহারার মত অবস্থানে থাকুন। প্রয়োজনে আপনারা প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, কোন দল বা কোন সংগঠন যারাই এই পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসবেন, তাদেরকে আমি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবো। তবে এ ঘটনাকে ইস্যু করে কোন ধরণের অশান্তি সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীকের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত দুই শ্রমিকের বাবা শাহাজাহান শেখ, মধুখালী সার্কেলের এএসপি মিজানুর রহমান, ফরিদপুর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, পৌর মেয়র মোর্শেদ রহমান লিমন, উজানদিয়া মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ আলম হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুবাস রায় প্রমুখ। সভায় বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর বদরুল হুদা আকরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
 
উল্লেখ্য, ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর মন্দিরে আগুনের অভিযোগে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর থানায় মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৫জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান   ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’
 
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই  দিক থেকে বলছি। কেন এটা বলছি? স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।’


ভারত   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   মার্কিন দূতাবাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যে ঝুঁকছে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। 

আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে। 

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷ 

দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে। 

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের  দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।


মধ্যপ্রাচ্য   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সংস্থাটির ১৫ জন কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান, আকিব রায়হান, শাওন হাসান অনিক, তালুকদার ইনতেজার ও চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ প্রশাসন ক্যাডারে এবং আশরাফুল হোসেন, সুজনুর ইসলাম সুজন ও মো. ইমাম হোসেন পুলিশ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহসভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইকে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও  আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’ 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হত্যার হুমকি   থানায় অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন