ইনসাইড বাংলাদেশ

মানবতার সঙ্কটের ৪ মাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৭ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া একজন হিন্দু ব্যবসায়ীর মুখাগ্নি করছেন এক মুসলিম কাউন্সিলর। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। মানবিক এ ঘটনার পেছনে রয়েছে এক বা একাধিক অমানবিক ঘটনাও, যা আমাদের বিবেককে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। কী ঘটেছিল সেখানে?

ওই ব্যবসায়ী ও তার ছয় বন্ধু কাছাকাছি থাকবেন তাই সবাই মিলে তৈরি করে নিয়েছেন সাততলা একটি ভবন। ওই ভবনের চতুর্থতলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। ছয় বন্ধুর সঙ্গে সখ্যও ছিল খুব। কিন্তু করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকে সবকিছু বদলে যেতে থাকে। তার বা পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়নি সেই বন্ধুরা। নিজেকে রক্ষার সীমাহীন দুশ্চিন্তা তাদের অন্ধ করে দেয়। ওই ব্যবসায়ীকে তার স্ত্রী আর দুই মেয়ে মিলে হাসপাতালে নেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনতলার সিঁড়ি পর্যন্ত নিতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। একটু পানি খেতে চেয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে সে পানিটুকু নিয়েও এগিয়ে আসেননি কেউ। তার লাশ কয়েক ঘণ্টা পড়েছিল সিঁড়িতেই।

খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার। তার নেতৃত্বে একদল স্বেচ্ছাসেবী ওই ব্যবসায়ীর শেষকৃত্য করার প্রস্তুতি নেয় কেন্দ্রীয় শ্মশানে। কিন্তু সেখানেও উপস্থিত হননি মৃতের আত্মীয়স্বজনরা কেউ। ফলে স্ত্রীর অনুমতিতে সরকারি পুরোহিতের সহায়তায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন কাউন্সিলর।

আতঙ্ক নয়, সচেতনতাই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির একমাত্র পথ। এমনটাই প্রচার চালাচ্ছে সরকার। তবু মানুষের ভেতর আতঙ্ক কমছে না। করোনা শনাক্ত হলেই ওই ব্যক্তি বা পরিবারের প্রতি নির্দয় হয়ে উঠছেন আশপাশের মানুষ। সংক্রমিত কারুর মৃত্যু হলে ওই পরিবার হয়ে পড়ে আরও অসহায়। তাদের সাহায্যে কেউ এগিয়েও আসেন না। যে মানুষটি প্রিয়জনদের বিপদে নানাভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই মানুষটি করোনায় আক্রান্ত হলে বা মারা গেলে অবহেলার পাত্র হয়ে দাঁড়ান। সবাই মুখ ফিরিয়ে নেন। তার পরিবার নিদারুণ এক কষ্টের মুখে পড়ে। যারা এই আচরণগুলো করছেন তারা কি নিশ্চিত তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না? করোনার সংক্রমণ থেকে যদি বেঁচেও যান কিন্তু মনের ভেতরের এমন নির্দয়তা ও নির্মমতার ভাইরাস থেকে তারা মুক্ত হবেন কীভাবে?

নিশ্চয়ই মনে আছে, কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত ধারণায় অসুস্থ মাকে তার ছেলেরা শফিপুরের জঙ্গলে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল! প্রশাসনের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এবং সেই মায়ের করোনা টেস্ট নেগেটিভ এসেছিল।

করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে আরেক প্রতিবন্ধী মহিলাকে পরিবারের সদস্যরা আইসোলেশনের নামে খেতের ঝুপড়িতে অনাহারে রেখেছিল।

 

এই দুঃসময়ে কিছু বাড়িওয়ালা স্বাস্থ্যকর্মী ভাড়াটিয়াদের বাসায় ঢুকতে দিতে চাইছেন না বা নোটিশ দিয়ে দিচ্ছেন। কিছু প্রতিবেশী করছে অমানবিক আচরণ, অত্যাচার, ঘৃণা। এই তো সেদিন এক স্বাস্থ্যকর্মীর বাসায় সারা রাত ঢিল ছুড়ে পরিবারসহ তাঁকে এলাকা ছাড়ানোর চেস্টা করেছিল।

ইদানীং হাসপাতালে বাবার লাশ রেখে ছেলেরা পালিয়ে যাচ্ছে। রাতের গভীরে নাম–পরিচয়হীন লাশ রাস্তায় পড়ে থাকছে। জানাজায় বা দাফনে আপনজন কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। খবরের বাইরে আছে এমন বহু খবর।

তাহলে কি এসব ঘটনা প্রমাণ করে যে করোনা মহামারি আমাদের অমানবিক করে তুলছে? অথবা আমরা আসলেই অমানবিক জাতি!

অবশ্যই না, কক্ষনো না!

যারা এ আচরণ করছে, তাদেরও আছে স্বপক্ষ যুক্তি। তারা নিজের ও পরিবারের সুরক্ষায় শঙ্কিত হয়েই এসব করেছে। এই ঘটনাগুলোর পেছনে কাজ করেছে অতি সচেতনতা বা অসচেতনতা। আর এর জন্য দায়ী অজ্ঞানতা।

কত মহামারি গেছে, যুদ্ধ গেছে এ দেশে। সবাই সবাইকে আঁকড়ে ধরে বেঁচেছে, মরেছে। এই আমরা আত্মীয়, বন্ধু, প্রতিবেশীর মৃত্যু বা অসুখের খবর শুনলেই ছুটে যাই। হাসপাতালে স্বজন ও দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। লাশবাহী গাড়ি, জানাজার মাঠে জায়গা পাওয়া যায় না। কেননা আমরা হচ্ছি সুখ, দুঃখ, ভালোবাসা, বিরহে ‘মরি বাঁচি একসাথে’- এই মন্ত্রব্রতে দীক্ষিত জাতি।

কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক দূরত্বের নামে যে অমানবিকতা হচ্ছে, এর পেছনে উতকণ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে অজ্ঞানতা। জানতে হবে, সর্দি–কাশি মানেই করোনা রোগ নয়। আর তা যদি হয়েই থাকে, তবে তার উপসর্গ অনুযায়ী ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে আইসোলেশন বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

করোনায় আক্রান্ত ও তার পরিবারের প্রতি অমানবিক ও নির্মম আচরণের কারণেই এখন অনেকেই ভয়ে আক্রান্তের খবর গোপন রাখার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি শেরপুরের নকলায় করোনায় আক্রান্ত এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর চিকিৎসা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেলে কর্মরত ২৭ জন চিকিৎসক, ১৩ জন নার্স ও ৩২ জন স্টাফ। বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে কর্মরতদের আক্রান্তের সংখ্যাও। এভাবে রোগীর তথ্য গোপনের চেষ্টা চলতে থাকলে বড় রকমের বিপদের মুখে পড়তে হবে। তাই এ বিষয়ে সতর্কতার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতার বিশেষ প্রয়োজন। করোনা আক্রান্তরা যেন স্ব-উদ্যোগে তা প্রকাশ করতে পারেনসেই সামাজিক পরিবেশটা তৈরি করতে হবে। এ কাজটি করতে হবে সবাই মিলে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ প্রার্থীর জয়

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে  চেয়ারম্যান হিসেবে সাতজনসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৬ জন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের তথ্য জানান।

ইসির কর্মকর্তারা জানান প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি একরামুলকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা।

মঙ্গলবার (, ২০২৪ এপ্রিল) জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।


 অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন 

সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন