নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৪ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২০
রিজেন্ট হাসপাতাল যখন সিলগালা করা হলো তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘুম ভাঙলো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রিজেন্ট হাসপাতালের অনুমোদন বাতিল করেছে। যে হাসপাতালের অনুমোদন ২০১৪ সাল থেকেই ছিলো না, তা কিভাবে হাস্যকরভাবে বাতিল করবে?
যখন রিজন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে জালিয়াতি প্রতারণার অভিযোগ এনে র্যাব সিলগালা করলো, যখন তাদের জালিয়াতি হাতেনাতে ধরা হলো তখন ঘুম ভাঙলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। অথচ এই বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির আলোকেই রিজেন্ট হাসপাতাল করোনার চিকিৎসা করছিল। সেই চুক্তির আলোকেই সরকারের কাছে তারা প্রায় দুই কোটি টাকা বিল করেছিল। সেই চুক্তির আলোকেই তারা নমুনা সংগ্রহ করে প্রতারণা করার সার্টিফিকেট পেয়েছিল। অথচ এই বিষয়গুলো দেখভাল নজরদারি করার কথা ছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তো শুরু থেকেই নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। অবশেষে র্যাবের অভিযানের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করলো রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে তারা চুক্তি বাতিল করেছে। এই হাসপাতালের সব সনদ তারা বাতিল করেছে।
কিন্তু রিজেন্ট হাসপাতালের এমন জালিয়াতির পেছনে আসলে কাদের হাত? একটা ছবি বলে দিচ্ছে অনেক কিছু। সেখানে দেখা যাচ্ছে স্বাচিপের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সনাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে খোশ আমেজে মিটিং করছেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ। ছবিতে দেখা যায় পায়ের ওপর পা উঠিয়ে কথা বলছেন সাহেদ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রগুলো জানিয়েছে, হাওয়া ভবনের দালাল প্রতারক সাহেদের সঙ্গে এদের নিয়মিত বৈঠক হতো।
প্রতারণা- জালিয়াতির অভিযোগে শুধু কেন সাহেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে? কেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অভিযুক্ত হবেন না? কেন স্বাচিপের সভাপতি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? কারণ যে অবৈধ অর্থ রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণার মাধ্যমে আত্নসাত করেছে সেই অবৈধ অর্থের ভাগিদার যে তারা নন তা প্রমাণ করতে হবে তাদেরকেই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।