ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা যুদ্ধে আলোকিত যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে করোনার চার মাস পূর্ণ হলো আজ। এই চার মাসে জনস্বাস্থ্য যেমন বিপর্যস্ত, তেমনি অর্থনীতির ধকলও সামলাতে হচ্ছে দেশকে। এই যুদ্ধে একাই লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং করোনা যুদ্ধে বাংলাদেশ যে সুখবরগুলো পাচ্ছে বা যা কিছু ইতিবাচক সব কিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি দিনরাত ২৪ ঘন্টা একাকার করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছেন, কর্মপরিকল্পনা করছেন। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে কিছু মানুষ সঙ্কট মোকাবেলায় যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছেন এবং শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিচ্ছেন। তাদের উদ্যোগের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সীমাহীন ব্যর্থতার পরেও বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছে। বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলেও অর্থনৈতিক চাকা সচল রেখে নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে করোনার সঙ্গে লড়ে যারা আলোকিত হয়েছেন তাদের নিয়েই এই প্রতিবেদন-

ড. আহমেদ কায়কাউস

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দিনরাত কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় করোনা মোকাবেলার সব দিক দেখভাল করছে, নির্দেশনা দিচ্ছে। ড. আহমেদ কায়কাউস যেখানে স্থবিরতা, দূর্নীতি, অনিয়ম সেখানেই নজর দিচ্ছেন এবং কাজে গতি আনার জন্য পরিশ্রম করছেন। ড. আহমেদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বেশিদিন নয়। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পেরেছেন, যোগ্যতা প্রমাণ করে করোনা মোকাবেলায় একটি বিশ্বস্ততার নামে পরিণত হয়েছেন। অনেক সংসদ সদস্য বলেছেন যে, তাকে যেকোন সময় ফোনে পাওয়া যায়। ফোনে করোনা সংক্রান্ত বা ত্রাণ সংক্রান্ত কোন সমস্যার কথা বললে সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধানের জন্য কাজ করেন এবং আন্তরিকতার পরিচয় দেন।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

প্রধানমন্ত্রীর সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসেছেন গত জানুয়ারি মাসের পরে। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি তার যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন। করোনা সঙ্কটে তিনি আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি টিম তৈরি হয়েছে যে টিমটি সারাদেশের করোনা সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো দেখাশোনা করছেন। কোথাও যেন সমস্যা না হয়, সঙ্কট যেন দ্রুত সমাধান হয় সে ব্যাপারে তাঁরা সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সচিব সারাদেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা করার বিষয়টিতে মূখ্য সচিবের সঙ্গে একসাথে কাজ করেছেন এবং সর্বত্র বিভিন্ন ধরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

বর্তমান করোনা সঙ্কটে নামীদামি অনেক চিকিৎসক যখন নামকাওয়াস্তে কাজ করে নিজেদের দায় মেটানোর চেষ্টা করছেন, সেখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ স্বেচ্ছা প্রনোদিত হয়েই করোনা নিয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলছেন। চিকিৎসকদের দাবিগুলো তুলে ধরছেন, একই সঙ্গে রোগীদের দুরবস্থার কথাগুলোও তিনি কোনোপ্রকার রাখঢাক না করেই বলছেন।

শেখ ইউসুফ হারুন

জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুনও করোনা মোকাবেলায় আলোচিত এবং আলোকিত নাম হিসেবে সামনে এসেছেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৬ হাজার নার্স নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছেন যে, আন্তরিকতা থাকলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন বাঁধাই বড় হয়ে দাঁড়াতে পারেনা। এছাড়াও জনপ্রশাসন সচিব এই সংকটাপন্ন সময়ে প্রশাসনকে চলমান রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

 মো. আবদুল মান্নান

সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান প্রতিকূল পরিবেশের মাঝে নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের ১ সপ্তাহের মধ্যে তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তার দুই সন্তান করোনায় আক্রান্ত হন। এই পরিস্থিতির মাঝেও আবদুল মান্নান কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দিনরাত কাজ করছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরেই দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে দুর্নীতির সিন্ডিকেট তা ভেঙে দেওয়ারও তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আবদুল মান্নানই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে কোভিড চিকিৎসা চালু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আগামীকাল তিনি ২৪ টি হাসপাতালে ১৪৫ জন টেকনোলজিস্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন, এছাড়াও আরো ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

হেলাল উদ্দিন

স্থানীয় সরকার সচিব হেলাল উদ্দিন-ও করোনা মোকাবেলার সময়ে আলোচিত হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির সময় ত্রাণ লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। করোনা সঙ্কটের সময় যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের ত্রাণ চুরি করেছে সেই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আইইডিসিআরের মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আলোচনায় আসেন। তিনি সাবলীলভাবে কোনোরকম আবেগকে প্রশ্রয় না দিয়ে বৈজ্ঞানিক শিষ্টাচার মেনে অত্যন্ত শান্ত, ধীরস্থিরভাবে যেভাবে টানা সংবাদ সম্মেলন করে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করেছেন- তাতে তিনি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ করেছেন। আইইডিসিআরকে তিনি যেমন জনগণের কাছে পরিচিত করেছেন, ঠিক তেমনিভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তিনি যে একজন যোগ্য পরিচালক, সেটিও প্রমাণ করেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ প্রার্থীর জয়

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে  চেয়ারম্যান হিসেবে সাতজনসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৬ জন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের তথ্য জানান।

ইসির কর্মকর্তারা জানান প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি একরামুলকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা।

মঙ্গলবার (, ২০২৪ এপ্রিল) জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।


 অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন 

সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন