ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাণঘাতী করোনাকে জয় করে ফিরলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

দেশে প্রাণঘাতী করোনা সংকটের চার মাস পূর্ণ হল। দীর্ঘ এই চার মাসে এখনো পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জন। আর এখন পর্যন্ত মরণ ব্যাধী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেণ ২ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যুর এই তালিকায় রয়েছে রাষ্ট্রের সিনিয়র সিটিজেন, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, র‍্যাব, পুলিশ, চিকিৎসক, ব্যাংকার, সাংবাদিকসহ আরও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। কিন্তু মন খারাপের এই তালিকার পাশে রয়েছে করোনা জয়ের গল্পও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব মতে, প্রাণঘাতী করোনা এখনো পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ১০২ জন। সুস্থতার এই তালিকা যেন খুব দীর্ঘ হয়ে উঠুক। করোনাকে জয় করে সবাই সুস্থ হয়ে ফিরে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক

গাজীপুর-১ আসনের এমপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক করোনা ভাইরাস জয় করে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। তবে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু।

বীর বাহাদুর উশৈসিং

টানা ১৯ দিনের লড়াই শেষে করোনা জয় করে বাসায় ফিরলেন মন্ত্রী উশৈসিং। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে হেয়ার রোডের বাসায় ফিরে যান তিনি।

মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন

করোনাকে জয় করলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি গত ১৮ দিন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল (৭ জুলাই) তার পুনরায় নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের ফল নেগেটিভ এসেছে। ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এখন সুস্থ ও ভালো আছেন।

সাবেক হুইপ শহিদুজ্জামান সরকার

দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত সাংসদ শহিদুজ্জামান সরকার করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। শহিদুজ্জামান সরকার বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রানা দাশগুপ্ত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত করোনাভাইরাসের চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। তার স্ত্রীও সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই প্রবীণ আইনজীবী। গতকাল মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) সস্ত্রীক সুস্থ হওয়ার খবর জানিয়েছেন তিনি।

আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেন, ১৩ জুন জ্বর এসেছিল। গলা ব্যথার পর ১৫ জুন টেস্ট করা হয়। ১৭ জুন রাতে জানানো হলো স্ত্রীসহ করোনা পজিটিভ। পরদিন মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে বিভিন্ন টেস্ট করানো হলো। এর মধ্যে খবর এলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আমাদের ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। তখন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অক্সিজেনসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৪ দিন পর জানানো হলো করোনা নেগেটিভ। তারপরেও তিনদিন অবজারভেশনে রাখা হলো। সর্বশেষ ২ জুলাই অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রামে নিজ বাসায় ফিরেছেন বলে জানান রানা দাশগুপ্ত।

এমপি এবাদুল করিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) থেকে নির্বাচিত এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবু্লের করোনার নমুনা পরীক্ষায় দ্বিতীয় বারও নেগেটিভ এসেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকার বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে সুস্থ আছেন। তিনি তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। একইসাথে দেশের বৃহৎ ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠান বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস এর কর্ণধার। গত ১৯ মে তার নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়।

মুনতাসীর মামুন

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে জয় করে বাসায় ফিরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে টানা ১৬ দিন পর বাসায় ফিরেন তিনি।

স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর

সরকারের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন। গত ২২ জুন করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর গত ১০ জুন থেকে সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন।

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল

নিজ বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা জয় করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। গত ২২ মে তার শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা শুরু করেন। বর্তমানে পরীক্ষা শেষে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। জানা যায়, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তিনি মনোবল হারাননি। মনের শক্তি দিয়ে তিনি এখন করোনা মুক্ত।

সুজেয় শ্যাম

টানা ১১ দিন চিকিৎসার পর করোনা জয় করে বাসায় ফিরেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম। দুবার করোনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ হওয়ার পর বাসায় ফেরেন তিনি।

ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তিনি এখন তার দায়িত্বও পালন করছেন। তিনি সুস্থ হয়ে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলো রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান ও সিলগালা। ২৪ জুন তিনি করোনামুক্ত হন। সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। গত ৬ জুন রাতে ফেসবুকে করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি লেখেন- ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ফলাফল পজিটিভ। আলহামদুলিল্লাহ, শারীরিকভাবে ভালো আছি। সবার নিকট দোয়া ও ক্ষমার দরখাস্ত রইল।তার স্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটে ভর্তি হলেও বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন সারোয়ার আলম।

গানবাংলা’র নির্বাহী তাপস ও মুন্নী

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন গানবাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত সংগীত শিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস। এছাড়া টেলিভিশনটির চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুসংবাদ হলো তারা দুজনই এখন করোনা মুক্ত হয়েছেন।


কোচ আশিকুর রহমান

করোনাকে জয় করলেন সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ আশিকুর রহমান। গত ১২ মে আশিকের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ১৮ মে ও ২৬ মে আবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। পর পর দুইবার করোনা পরীক্ষায় আশিকের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। এরপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

এছাড়া তথ্য সচিব কামরুন নাহার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাও সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানান তার ছোট বোন। করোনায় আক্রান্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী এবং ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাসাতেই আইসোলেশনে আছেন। তার কোন অসুস্থতা নেই।

তাছাড়া, এখনো পর্যন্ত ৭৮ হাজারের বেশি আক্রান্ত ব্যক্তি করোনাকে জয় করেছেন। খুব দ্রুত বাড়তে থাকুক করোনা জয়ের এই তালিকা। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক আক্রান্তদের সবাই। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমেছে মুঠোফোনের ব্যবহার, অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেটের বাইরে

প্রকাশ: ০৯:০৪ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।

২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।

বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।

সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে।  যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।

যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।

দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।

মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়।  কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।

দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। 

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে। 


মুঠোফোন   ইন্টারনেট   আইসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এ ঘটনায় ওই কর্মচারীকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দিবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় সেবাগ্রহীতা আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, একটা বিহিত (ব্যবস্থা) হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’

স্থানীয় লোকজন ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ভূমি কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন না তিনি।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর অভিযুক্ত ভূমি সহকারী আবদুল কাদিরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিন দিন আগে তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সহকারী কমিশনার।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের নবজাগরণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন নবজাগরণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মোস্তফার দোকান এলাকায় এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহাম্মেদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, সংগঠনটির সদস্য মাসুদ করিম শিফন, তোফাজ্জল হোসেন সবুজ, এডভোকেট মহসিন, মো: আরমান, মিজান মল্লিক, আলমগীর হোসেন, রাকিবুল ইসলাম, মো : মাহতাব, মো: ইব্রাহিম খলিল রাজু প্রমূখ।

ইফতারে প্রায় ছয় শতাধিক হত-দরিদ্র মানুষকে ইফতার করানো হয়। 

ইফতারের আগ মুহূর্তে সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা ও মুসলিম উম্মাহের সুখ-শান্তি সুনাম এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

লক্ষ্মীপুর   ইফতার ও দোয়া মাহফিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রায়পুরে কলেজছাত্রকে অপহৃরণের ঘটনায় দুজন আটক


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তানভীর হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে অপহৃরণের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। অপহৃত তানভীর উপজেলার চর পাতা গ্রামের চুনু মিঝি বাড়ির মোঃ হানিফের ছেলে ও গিত কালন্দি সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র।

মঙ্গলবার কলেজ ছাত্রর বাবা বাদী হয়ে সাত জনের নামে রায়পুর থানায় অপহৃরণের একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্থানীয় রিফাতসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তানভীরের মা শাহানারা বেগম বলেন, আমার ছেলে অপহৃরণ করে নিয়ে গেছে। পরে আমরা রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করি। এতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমার ছেলে ফিরে এসেছে। তাবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কার্যকরী ভুমিকা চাই।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, অপহৃরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অপহৃরণ   লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় চীন

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চীনা রাষ্ট্রদূত গতকাল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পাট এবং বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে চীনের কোন বিনিয়োগ নেই। এমনকী চীনের এ ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহের কথাও জানা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে পাট পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। 

শুধু তাই নয়, অন্যান্য পণ্য বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার ব্যাপারেও চীনা রাষ্ট্রদূত আগ্রহ দেখিয়েছেন। হঠাৎ করে পাট কেনায় চীনের আগ্রহ হল কেন—এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটার আগ্রহ দেখিয়ে আসলে চীন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাইছেন এবং তাদের চীনের প্রতি মনোভাব জানার জন্য চেষ্টা করছেন। এটি আসলে কেনাকাটার বৈঠক নয়, বরং রাজনৈতিক বৈঠক। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্কের কথা শোনা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভারতের একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসেছেন, যেখানে আওয়ামী লীগের আরও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ গেছে। পঁচাত্তরের পরে যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ভারত দীর্ঘদিন গভীর সম্পর্ক রেখে চলেছেন, তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক অন্যতম। আর এই কারণেই জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত—এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে চীনের আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের রাষ্ট্রদূত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। এই অঞ্চলকে ঘিরে চীনের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই উপমহাদেশে চীনের কর্তৃত্ব এবং প্রভাব বেড়েছে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপে চীন এখন ভারতকে প্রায় হটিয়ে দিয়েছে। 

বাংলাদেশের ব্যাপারে চীনের আগ্রহ দীর্ঘদিনের। কিন্তু বাংলাদেশে চীন অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিলেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। এর অন্যতম কারণ হল যে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি, সোজাসাপটা পররাষ্ট্র নীতি এবং কৌশল। আওয়ামী লীগ ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’—এই নীতিতে বিশ্বাস করে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ চীনের সঙ্গে যেমন সম্পর্ক রাখছে, ঠিক তেমনই একইভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। চীনের সঙ্গে যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি ভারতের সাথে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা এক আবেগ এবং অনুভূতির সম্পর্ক রয়েছে। দুটি সম্পর্ক আলাদা আলাদা এবং ভিন্ন। দুটি সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশ এই ধারাটিকে অব্যাহত রাখছে। তবে চীন এখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে মনোযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, চীন এখন বেছে বেছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে নানা রকম ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগের টোপ দিচ্ছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে চাইছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে ভারত বিরোধী স্লোগান এবং ভারত বিরোধী উচ্চারণ তার পিছনেও চীনের একটা হাত রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। আর এ সমস্ত কারণে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাকে একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ   চীন   চীনা রাষ্ট্রদূত   জাহাঙ্গীর কবির নানক   বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন