ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ: আজাদকে হারালেন ফ্লোরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১১ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আটকে গেল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক দুর্নীতি। এর ফলে আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার কাছে হেরে গেলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমস্ত দুর্নীতি অনিয়মের হোতা মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

ঘটনার শুরু গত জুনে। সে সময় করোনা আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষার আওতা বাড়াতে বিশেষ ব্যবস্থায় ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ভয়াবহ জালিয়াতি করা হয়। যেই আইইডিসিআর এর কর্মীরা (মাস্টার রোল) করোনার শুরু থেকেই নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজ করছিলেন তাদের বাদ দিয়ে অনৈতিকভাবে অন্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ‘কেঁচো খুড়তে সাপ’ বেরিয়ে আসার মতো এই নিয়োগ বাণিজ্যের নেপথ্য নায়ক হিসেবে উঠে আসে তিন জনের নাম। তারা হলেন ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক পরিচালক ডা. ইকবাল কবীর এবং এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ডা. সামিউল ইসলাম।

দুর্নীতির এই পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে সক্ষম হন আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এরপর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন যে, আইইডিসিআর এ যারা শুরু থেকে অস্থায়ীভাবে কাজ করছেন তাদের আগে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিতে হবে, তারপর সুযোগ পাবেন অন্যরা। গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব এতে অনুমোদন দেন। এরপর এই ফাইল পাঠানো হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই ফাইল আটকে ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সেখানে ফোন দিয়ে অনতিবিলম্বে ফাইল ছাড়ার জন্য বলা হয়। আজকে সেই ফাইলটি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল একটি সূত্র। ফলে আবুল কালাম আজাদ গং সেব্রিনা ফ্লোরার দৃঢ়তার কাছে হেরে গেলেন।

প্রসঙ্গত যে, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই আবুল কালাম আজাদ গং এর সঙ্গে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার একটা বিরোধের কথা শোনা যাচ্ছিল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনার তথ্য গোপন করা, জেকেজি, রিজেন্টসহ বিভিন্ন ধাপ্পাবাজ প্রতিষ্ঠানের সাথে করোনা পরীক্ষার চুক্তি করাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন সেব্রিনা ফ্লোরা। যার ফলে তিনি আবুল কালাম আজাদের চক্ষুশূলে পরিণত হন। এ কারণে একটা পর্যায়ে করোনার নিয়মিত বুলেটিনের দায়িত্ব থেকে সেব্রিনা ফ্লোরাকে সরিয়ে দেন আজাদ। এর বদলে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা্কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সেব্রিনা ফ্লোরা তার যোগ্যতা, দক্ষতা এবং সততার কারণে প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। যার প্রমাণ পাওয়া গেল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার

প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি শীর্ষক সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দেশে ফেরেন তিনি।

এসময়ে তিনি আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং এর আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলন, ওয়ার্ল্ড স্পিকার সামিটসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

তিনি গভর্নিং কাউন্সিলের ২১৩তম সেশনে সংসদীয় প্রতিনিধিদলসহ অংশগ্রহণ করেন এবং 'পার্লামেন্টারি ডিপ্লোম্যাসি: বিল্ডিং ব্রিজেস ফর পিস অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং' শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির প্রথম দিন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার জেনেভাতে 'এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ মিটিং' এ সভাপতিত্ব করেন।

এছাড়াও তিনি 'প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস' শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল স্পিকার হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। '১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি' উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনেও বক্তব্য রাখেন তিনি। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন।


স্পিকার   ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা

প্রকাশ: ১২:০৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং সেক্টরকে স্মার্ট ও গতিশীল করতে প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।

বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা, সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং সদস্যদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের জন্য সমমনা সদস্য এবং সাবেক সভাপতিদের সঙ্গে নিয়ে ইলেকশন ফর ইউনিটি নামে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বিজিএপিএমইএ’র সদস্যদের সম্মানে ইফতার মাহফিল ও নৈশ্যভোজের আয়োজন করা হয়, সেখানে সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের খান তাদের প্যানেল ও এর নেতার নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএপিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, সফিউল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

আব্দুল কাদের খান বলেন, যখন এই সংগঠনের সভাপতি ছিলাম তখন সংগঠনকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি এবং যা সংগঠনকে একটা নতুন মাত্রা দিয়েছে। আমাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে শাহারিয়ার সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে শাহরিয়ার গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং শিল্পে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সফলভাবে কাজ করছেন এবং এই শিল্পের প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিজ্ঞতা আয়ত্ত করেছেন।
ট্রিম এবং আনুষাঙ্গিক আইটেম রপ্তানিতে তার অসামান্য অবদানের জন্য শাহরিয়ারকে যুব উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২২, বিজিএপিএমইএ প্রদান করা হয়। তিনি দ্য বিজ এন্টারপ্রিনিউরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ লাভ করেন এবং জেসিআই ট্রফি ২০২১ (বাংলাদেশের দশটি অসামান্য তরুণ ব্যক্তি ২০২১) খেতাব অর্জন করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ বলেন, বর্তমান সময়ে গার্মেন্টস এবং গার্মেন্টস এক্সেসরি সেক্টর বৈশ্বিক ও দেশীয় চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য একজন সঠিক নেতৃত্বে থাকা দরকার। নতুন নেতৃত্ব তার যোগ্যতার মাধ্যমে সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করে ব্যবসায়ীদের পক্ষে সকল দাবি অর্জন করতে সক্ষম হবেন। শাহরিয়ারের সেই যোগ্যতা এবং দক্ষতা আছে।

ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শাহরিয়ারের সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেকদিনের পরিচয়। উনি একজন দক্ষ, সৎ ও যোগ্য শিল্প উদ্যোক্তা। এক্সেসরিজ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, সঠিক নেতৃত্বের অভাবে আমরা সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারছি না। তাই আগামী দিনে ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের শক্তিশালী এবং ডায়নামিক লিডারশিপ প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজিএপিএমইএ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তপশিল অনুসারে আগামী ১১ মে ২০২৪-২০২৬ সময়ের জন্য একটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন বোর্ডের নেতৃত্বে রয়ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-৫) ড. মো. রাজ্জাকুল ইসলাম, বিপিএএ। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- আশরাফুর রহমান, উপসচিব (বাজেট) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (রপ্তানি শাখা) তানিয়া ইসলাম।


বিজিএপিএমইএ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের পর এখন পাল্টে গেছে চিত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী আচরণে পরিবর্তন এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পেয়েছে নতুন মাত্রা। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই। বাংলাদেশ নিয়ে ইতিবাচক কথা আসছে মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, টানাপোড়েনের পর বাস্তববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কারণেই দুই দেশ সম্পর্ক সঠিক অবস্থানে নিয়ে আসতে পেরেছে। এতে সামনের দিনগুলোয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের।

কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ চতুর্থবার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের বিষয়টিকে সেভাবে আর সামনে রাখছে না। নির্বাচনের বিষয়ে তাদের আগের অবস্থানের কথা বারবার ঘোষণা করলেও বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে অনেক বেশি আগ্রহী। এটি ¯পষ্ট হতে শুরু করে নির্বাচনের এক মাসের মাথায় ফেব্রুয়ারির শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় থেকে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে বিভিন্ন ইস্যু উল্লেখ করে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা খোলাসা করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মনোভাব।

নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলোয় সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারির পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখতে আন্তরিক আকাক্সক্ষার কথা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এ সম্পর্কের ভিত্তি।

বাইডেনের এ চিঠির পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের নেতৃত্বে ঢাকা সফর করে যান দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার। এইলিন লুবাখার ঢাকা সফরে এসে বলেছিলেন, সম্পর্ক এগিয়ে নিতেই মার্কিন প্রতিনিধি দল সফর করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, শান্তিরক্ষাসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঢাকাকে ওয়াশিংটনের গর্বিত অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বার্তায় ব্লিঙ্কেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকটে সাড়া দেওয়া, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গর্বিত অংশীদার। আমাদের এ অংশীদারি একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বশেষ স্বাধীনতা দিবসে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বাসাডর ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রশংসা করেন। তিনি ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি নির্মাণে বাংলাদেশি আমেরিকানদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের কাছে বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক চর্চা প্রথম অগ্রাধিকার। এ কারণেই বাংলাদেশের নির্বাচনের বেশ আগে থেকে শ্রম অধিকারসহ মানবাধিকার, সুশাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তাদের পররাষ্ট্রনীতির সফলতা বা ব্যর্থতা মেনে নিয়ে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাই তারা ব্যবসাবাণিজ্য, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোয় বেশি মনোযোগী হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. দেলোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী। এ সম্পর্কের মধ্যে কিছু টানাপোড়েনের ঘটনা যদিও ঘটেছে, কিন্তু বাস্তববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কারণে সেগুলো ছাপিয়ে দুই দেশই তাদের সম্পর্ক সঠিক অবস্থানে রেখেছে। তিনি বলেন, ভূরাজনৈতিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি ইমপ্লিমেন্ট করছে। এ অঞ্চলে তাদের মিত্রশক্তি প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশের পাশে মিয়ানমার, চীন, ভারত রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান মিয়ানমারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মিয়ানমারের অর্থনীতি ৮০ বিলিয়ন ডলার, অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় সাড়ে চার শ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের একদিকে ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব আছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিরও উত্থান হয়েছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সম্পর্কের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বজায় রাখছে।


বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   সম্পর্ক   আন্তর্জাতিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় ৮ এপ্রিলের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট মিলছে আজ

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঈদযাত্রায় ষষ্ঠ দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যার মধ্যে আজ পাওয়া যাচ্ছে আগামী ৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। অনলাইনে এই টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

এছাড়া দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বহির্গামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি।

জানা গেছে, এর আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই সাত দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।

এর আগে ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৭ মার্চ এবং ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৮ মার্চ। এ ছাড়া ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।


বাংলাদেশ   ঈদযাত্রা   বাংলাদেশ রেলওয়ে   ট্রেন টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়ার চেয়ে বেশি

প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও ভারতের চেয়ে বেশি খাবার অপচয় করেন বাংলাদেশে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি। যা গড়ে বছরে ৮২ কেজি খাবার। বিশ্বে ২০২২ সালে মোট অপচয় হওয়া খাবারের পরিমাণ ১০০ কোটি টনের বেশি, যা বিশ্ববাজারে আসা মোট খাবারের পাঁচ ভাগের এক ভাগ।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘের ‘খাবার অপচয় সূচক প্রতিবেদন ২০২৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচির (ইউএনইপি) ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে খাবারের এ অপচয়কে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি বছরে গড়ে সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় করে মালদ্বীপে-২০৭ কেজি। বিপরীতে সবচেয়ে কম খাবার নষ্ট হয় মঙ্গোলিয়ায়-১৮ কেজি।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাসায় একজন ব্যক্তি বছরে সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় করে পাকিস্তানে-১৩০ কেজি। এরপরেই আছে নেপাল-৯৩ কেজি। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে মিয়ানমার (৭৮ কেজি), শ্রীলঙ্কা (৭৬ কেজি) ও ভারত (৫৫ কেজি)। সবচেয়ে কম ১৯ কেজি খাবার অপচয় হয়েছে ভুটানে।

খাবার অপচয় সূচকের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে খাবার অপচয় করেছেন ৭৩ কেজি। যুক্তরাজ্যের তা ৭৬ কেজি। চীনের ক্ষেত্রেও হিসাবটা একই। তবে তুলনামূলক কম অপচয় হয়েছে রাশিয়ায়—৩৩ কেজি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে অপচয় হওয়া খাবারের ৬০ শতাংশই বাসাবাড়ির। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। ২৮ শতাংশ অপচয় হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যানটিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোয়। কসাই ও মুদিদোকানে অপচয় হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার।

ওই বছরে অপচয় হওয়া ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার ছিল বিশ্ববাজারে আসা খাদ্যদ্রব্যের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখো কোটি ডলারের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। এটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। প্রতিবেদনটি এখন পর্যন্ত খাবার অপচয়ের সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরেছে।

ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এটা আমাকে হতভম্ব করে দিয়েছে। আসলে বছরের প্রতিদিন এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, তা দিয়ে বর্তমানে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব।’


যুক্তরাষ্ট্র   যুক্তরাজ্য   রাশিয়া   ভারত   খাবার অপচয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন