নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ১১ জুলাই, ২০২০
বাংলাদেশে করোনা টেস্ট ছাড়াই রেজাল্ট দিয়ে দেওয়ার যে প্রতারণা, এটা শুরু করেছিল জেকেজি হেলথকেয়ার। তাদের এই অপকর্ম প্রকাশ্যে আসার পর পেরিয়ে গেছে কয়েক সপ্তাহ। কিন্তু এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে আছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে রেজিস্টার চিকিৎসক হিসেবে চাকরিরত তিনি। আইনশৃংখলা বাহিনী জেকেজি হেলথ-কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ এই প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু কর্মীকে গ্রেপ্তার করলেও ডা. সাবরিনাকে স্পর্শ করতে পারছে না কেউ।
জানা যায় যে, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) এক প্রভাবশালী নেতার বান্ধবী হওয়ার কারণেই তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ওই প্রভাবশালী চিকিৎসক শুধু স্বাচিপের নেতা নন, তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম মহাসচিবও বটে। তার সঙ্গে সাবরিনার অনৈতিক সম্পর্কের কথা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে একটা ‘ওপেন সিক্রেট’। এই প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতার কারণেই সাবরিনাকে কেউ স্পর্শ করতে পারছে না বলে জানা গেছে। অথচ জেকেজি কেলেংকারির জন্য আরিফুল হক চৌধুরী যেমন দায়ী, তেমনি সাবরিনাও দায়ী। কারণ সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান। তার প্রভাবের কারণেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেকেজিকে করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দেয়। এই পরীক্ষার জন্য জেকেজির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকার বিলও জমা দেওয়া হয়। অথচ তারা লোকজনের কাছ থেকেও পরীক্ষার জন্য টাকা নিয়েছে। এই সাবরিনার কারণেই জেকেজি সব জায়গায় দাপট দেখাতো। রাজধানীর তিতুমীর কলে্জে করোনা টেস্টের ক্যাম্প বসায় জেকেজি। সেখানে যখন জেকেজির কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সমস্যা হয়, তখন সাবরিনাই সেখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়েছিলেন। একের পর এক দুর্নীতি অনিয়মের পরও এই সাবরিনা প্রকাশ্যে ঘুরে বেরিয়েছে। অথচ তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সাবরিনার অপরাধ হলো, প্রথমত; সরকারি চাকরি করেও তিনি জেকেজির মতো প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। দ্বিতীয়ত; এই প্রতিষ্ঠনের মাধ্যমেই অবৈধ এবং ভুয়া করোনার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত; এই ভুয়া করোনা পরীক্ষার বিল পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রভাব খাটিয়ে চাপ প্রয়োগ করেছে।
এত এত অপকর্ম করেও আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠনের এক নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে এখনও বহাল তবিয়তে দিন কাটাচ্ছেন সাবরিনা। তার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। কিন্তু সাবরিনার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে
গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার
দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের
বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপর একজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা
যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ২টার দিকে
কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মনির উদ্দিনের ছেলে মো. চান মিয়ার
বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন।
এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের
পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে
এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।
অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী
বড়িবাড়ি গ্রামে ধানখেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধান খেতের আড়াল
থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হন।
সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহারা বসিয়েছিল। শুক্রবার রাতে
গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন আসেন। গ্রামবাসী গরু চুরির বিষয়টি টের
পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পাশ্ববর্তী
বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে আরেকজন নিহত হন।
তিনি বলেন, আরও চার-পাঁচজন গরু চোর
এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আবু বকর মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করায়
তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন
যুদ্ধের বাকি দিনগুলোর মতো এদিনও পাক বাহিনীর তাণ্ডবলীলা চলছিল। অন্যদিকে বাঙালীরাও তাদের যৎসামান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় নৃশংস গণহত্যার রেশ কাটেনি; শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল। যারা পারছেন, সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে।
একাত্তরের ২৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে বিছিন্নভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলি হয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং সিলেটে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় উদ্বেগে পড়ে হানাদারেরা।
সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে হেলিকপ্টারে করে তেজগাঁও বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। রাতে সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে তাকে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সহচর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ঢাকা থেকে ফরিদপুর পৌঁছান।
২৯ মার্চ রাতে ঢাকায় একশর মত বাঙালি ইপিআর সদস্যকে পাকিস্তানি সেনারা প্রেসিডেন্ট হাউস থেকে তিনটি দলে ভাগ করে রমনা কালীবাড়ির কাছে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯৭১ সালের এদিন রাত দেড়টার দিকে আইনসভার সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে কুমিল্লার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সেনারা। তাকে ও তার ছেলে দিলীপ কুমার দত্তকে আর কখনো পাওয়া যায়নি।
বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে ‘বিপ্লবী’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এদিন স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে তিন বেলায় তিনটি অধিবেশন প্রচার করা হয়। মুক্তিকামী জনতার বাতিঘরের রূপ নেয় এই বেতার কেন্দ্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানি বিমান বাহিনী। হামলায় শহীদ হন একজন মুক্তিযোদ্ধা। সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশে নিহত হয় পাক বাহিনীর একটি দল।
মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভৈরব ও নরসিংদীর মধ্যে রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
চুয়াডাঙ্গায় থেকে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ইপিআর, আনসার, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বাহিনী কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা করে। পাকিস্তানি বাহিনী মর্টার, মেশিনগান নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালালে মুক্তি বাহিনী তিনভাগে ভাগ হয়ে আক্রমণ চালায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের সফল অভিযানে ৪০ জন পাকিস্তানি সৈন্য পাবনা থেকে গোপালপুরের পথে নিহত হয়। জীবিতদের অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে রাজশাহীর দিকে যাওয়ার পথে প্রাণ হারায়।
ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল ব্যাটালিয়নের অফিসার এবং সৈনিকদের টাউন হলে একত্রিত করে বাংলাদেশের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ।
পাকিস্তানি বাহিনী চট্টগ্রাম সেনানিবাসের বাইরে এসে মেডিকেল কলেজ ও নিকটবর্তী পাহাড়ে সমবেত হয়। সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানিরা প্রথম আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী সেই আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়।
বিদ্রোহ মুক্তিযুদ্ধ সেনাবাহিনী
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুদ্ধের বাকি দিনগুলোর মতো এদিনও পাক বাহিনীর তাণ্ডবলীলা চলছিল। অন্যদিকে বাঙালীরাও তাদের যৎসামান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় নৃশংস গণহত্যার রেশ কাটেনি; শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল। যারা পারছেন, সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।